ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা

পরিবারের লোকজন প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই প্রেমিক-প্রেমিকা। বুধবার (১৭ মে) সকালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের জোড়বাড়ী এলাকায় রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গড়াশিন মধ্যপাড়া গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে হাবিল মিয়া (১৭) ও একই উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ময়শানন্দনাল গ্রামের মনজুরুল ইসলামের মেয়ে রিতা আক্তার (১৫)। তারা দুজনেই ভাতকুড়া এলাকায় আলাউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শ্রমিক।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাবিল ও রিতা আলাউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে একত্রে শ্রমিকের কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের পরিবার সম্পর্কটি মেনে না নেওয়ায় মঙ্গলবার তারা কর্মস্থল থেকে নিখোঁজ হন।
এরপর তারা বুধবার ভোরে বাসাইল জোড়বাড়ী এলাকায় গিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় প্রেমিক হাবিলের পরিবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।
নিহত হাবিলের বড় ভাই আমির হামজা জানান, তাদের দুজনের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিকভাবে মেনে না নেওয়ায় অভিমানে তারা আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে জোড়বাড়ী লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। পুরে খোঁজ নিয়ে শুনি ওই দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে রেলওয়ে পুলিশ তাদের মরদেহ নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশের এএসআই ফজলুল হক জানান, প্রেমঘটিত কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এসআইএইচ
