শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজে ধীরগতি, বাড়তে পারে প্রকল্পের মেয়াদ

প্রমত্তা ও উত্তাল যমুনার বুকে বসানো হয়েছে ভারি ভারি যন্ত্র। তারমাঝেই সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রতিটি দৃশ্যমান পিলার। উত্তাল এই যমুনা নদীর উপর পুরাতন বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে নির্মাণ করা হচ্ছে আরেকটি বৃহত্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। সেতুকে ঘিরে যমুনার নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও সিরাজগঞ্জের ২ প্রান্তে দিন-রাত বিরতিহীনভাবে কাজ করছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা। দেশের অন্যতম এই বৃহৎ মেগা প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে ৬১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত গতিতে কাজ চলমান থাকলেও শুকনো মৌসুম থাকায় কাজে ধীর গতি। যার ফলে কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত ৩-৪ মাস বেশি সময় লাগতে পারে বলে প্রকল্প সূত্র থেকে জানা যায়।

ইতিমধ্যে যমুনা নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ৭৫ শতাংশ এবং সিরাজগঞ্জ অংশে ৪৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার সঙ্গে ট্রেন চলাচল সহজ করতে যমুনা নদীর উপর পৃথক রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, যা আন্ত:এশিয়া রেল যোগাযোগে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ডুয়েলগেজের এই সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সাধারণত ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ চলছে। শত শত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা কাজের দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ পাইলিংয়ের কাজ করছেন, কেউ স্পেনের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টির মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং ১৬ টি পিলারে ইতিমধ্যে দেড় কিলোমিটারের বেশি স্প্যান বসানো ও ২৬টি পিলারে স্প্যান বসানোর উপযোগী করা হয়েছে। বাকি পিলারে বিভিন্ন স্তরে ঢালাইয়ের কাজ চলমানসহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে। অন্যদিকে, যমুনা নদীতে পানি কম থাকায় সেতু নির্মাণ কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করে। নতুন রেল সেতু চালু হলে মালবাহীসহ ৮৮টি ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সাইটের কর্মীরা রাত-দিন পরিশ্রম করছেন। সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬১ শতাংশ কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও শুকনো মৌসুম থাকায় কাজ ধীর গতিতে চলছে। এ কারণে আরও অতিরিক্ত ৩-৪ মাস সময়ের প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছি।

প্রকল্প সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের নকশা প্রণয়নের পর প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। পরে ডিসেম্বরে প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নসহ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দেশের বৃহত্তম এই রেল সেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণের আশ্বাস দেয়। প্রথম দফায় ডিপিপি সংশোধনের পর সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।

এর মধ্যে জাইকার ঋণ দেওয়ার কথা ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। যদিও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৬৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। এই হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদনে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে জমি অধিগ্রহণ ও আনুষঙ্গিক খাতে কোনো ব্যয় ধরা ছিল না।

তবে সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) জমি ব্যবহারে পরবর্তীতে রেলওয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে। এতে ১৮৭ একর জমি স্থায়ীভাবে ব্যবহার ও ২৬৩ একর জমি অস্থায়ীভাবে ব্যবহারে বাসেককে (সেতু কর্তৃপক্ষ) ৩৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দিতে সম্মত হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া মাটির কাজে ১৬৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ও রেল ট্র্যাক নির্মাণে ৫৮ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয় বেড়ে যায়। সম্ভাব্যতা যাচাই ও খসড়া নকশায় সেতুর পিলারের সংখ্যা ৪১টি ধরা হয়েছিল। চূড়ান্ত নকশায় তা বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে।

এরপর খসড়া নকশায় পাইলের গভীরতা ২৭ দশমিক ৭৯ মিটার ধরা হয়েছিল। চূড়ান্ত নকশায় গভীরতা বাড়িয়ে ৩৭ মিটার ধরা হয়েছে। খসড়া নকশায় স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১২০ মিটার ধরা হয়েছিল। পরে কমিয়ে ১০০ মিটার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মূল সেতু, রেলওয়ে ট্র্যাক, এমব্যাংকমেন্ট, স্টেশন বিল্ডিং ও সাইট অফিস ইত্যাদি নির্মাণে ৫ হাজার ২১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ে। এর বাইরে সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশন খাতে ব্যয় বেড়েছে ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। তবে পরামর্শক খাতে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় কমেছে। এ ছাড়াও আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় বেড়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তা ছাড়াও সাধারণ প্রয়োজনীয় খাতে ১ হাজার ৩৩২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, পরিবেশগত সেফগার্ড খাতে ২২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।

এদিকে পরিদর্শন বাংলো ও জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। এই খাতে ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

আইএমইডি বলছে, ডিপিপিতে প্রথমে প্রকল্পটি ৯০ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও ২৪ মাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটাও প্রকল্পের অন্যতম দুর্বল দিক। রেলের সড়ক বাঁধ নির্মাণে যথাযথ ও অনুমোদিত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। এটাও প্রকল্পের অন্যতম দুর্বল দিক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে ৩০০ মিটার দূরে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য পৃথকভাবে নদী শাসন করতে হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর উভয় দিকে ৫৮০ মিটার ভায়াডাক্ট (সংযুক্ত উড়ালপথ) থাকবে। যমুনা ইকো পার্কের পাশ দিয়ে এটা বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম অংশের রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ জন্য ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার সংযোগ রেলপথ নির্মাণ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ৩টি স্টেশন বিল্ডিং, ৩টি প্লাটফর্ম ও শেড, ৩টি লেভেল ক্রসিং গেট ও ৬টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। রেল সেতুর পূর্ব পাশে লুপ লাইনসহ প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার, ১৩টি কালভার্ট ও ২টি সংযোগ স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পারাপারের সময় গতি অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুর উপর দিয়ে ব্রডগেজ পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। এটা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা করে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে পৃথক রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০১৭ সালের মার্চে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন শেষ হয়। দুই অংশের জন্য ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঠিকাদার নিয়োগের চুক্তি সই হয়।

আরও জানা গেছে, নির্মাণাধীন এই বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চালানোর উপযুক্ত করে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য স্টিল অবকাঠামোয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসআইএইচ 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত