বালু উত্তোলনে নদীর গতিপথ পরিবর্তন, ভাঙনের আশঙ্কায় শতশত পরিবার

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিউ ধলেশ্বরী নদীর ভয়াবহ ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের জোকারচর গ্রামের শতশত পরিবার এ দাবি জানায়।
এ ব্যাপারে গ্রামবাসীর আবেদন গ্রহণ করে জেলা প্রশাসনের এনডিসি খায়রুল ইসলাম জানান, তিনি আবেদনটি যথাযথভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করবেন।
জানা যায়, নিউ ধলেশ্বরী নদীর মুখ (অফটেক) বাঁধাইয়ের ফলে বর্ষা মৌসুমে যমুনা থেকে প্রবল ধারায় নদীতে পানি প্রবাহ হয়ে থাকে। প্রমত্তা যমুনার পেট চিড়ে নিউ ধলেশ্বরী নদী মুখ থেকে প্রবাহিত হয়ে কুর্শাবেনু দিয়ে পূর্ব দিকে গিয়ে জোকারচর গ্রামের অংশে দক্ষিণে বাঁক নিয়ে পুনরায় পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়েছে।
এ ছাড়া জোকারচরের বাঁক নেওয়া স্থানে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খননের উত্তোলিত ড্রেজড ম্যাটারের লট নিলামে কিনে নেয় ওই গ্রামের বালু ব্যবসায়ী মাসুদ রানা ও নুরুল ইসলাম (মেম্বার)। তারা ক্রয়কৃত বালু বিক্রির অজুহাতে ৩৫-৪০ ফুট গভীর করে নদীতীর কেটে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর ফলে আগামী বর্ষায় নিউ ধলেশ্বরী নদীটি গতিপথ পরিবর্তন করে দক্ষিণে বাঁক না নিয়ে সোজা পূর্ব দিকে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এতে নদী ভাঙনে জোকারচর গ্রাম নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়া রোধ করতে জেলা প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
জোকারচর গ্রামের লাল মিয়া, নজরুল ইসলাম, নাছিমা আক্তার, হাজেরা সুলতানা, ইউনুস শেখ, সুলতান ফকির, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. আম্বিয়া খাতুন, লাভলী আক্তার ও নয়ন জানায়, তারা নদী তীরবর্তী মানুষ। নদীর ভাঙা-গড়ার সঙ্গে তারা পরিচিত। বালু ব্যবসায়ীরা তীর কেটে ৪০-৫০ ফুট গভীর করে দিন-রাত বালু বিক্রি করায় নিউ ধলেশ্বরী নদী আগামী বর্ষায় এ গ্রামটি গ্রাস করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, জোকারচর গ্রামের লোকজন এসে একটি আবেদন দিয়ে গেছে। তিনি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এসজি
