শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

২৩৪ কোটি টাকার গাইড বাঁধে ধস, ভাঙনের আশঙ্কায় হাজারো পরিবার

টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর সোয়া কিলোমিটার দক্ষিণে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের বেলটিয়া ও হাটবাড়ী আলীপুর অংশে ৪টি লটে ভাগ করে ওই গাইড বাঁধ নির্মাণ করেছিল ৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেই গাইড বাঁধের পাশে যমুনা নদীতে বড় বড় ড্রেজার বসিয়ে বালু লোড-আনলোড, উত্তোলন ও বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ায় বাঁধ ভেঙে সরকারের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় শত শত পরিবারের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

২০২১ সালে ওই স্থানের ৬-৭টি বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে যায়। ২০২২ সালের বর্ষায় গাইড বাঁধের মাঝখানে ২-৩ জায়গায় ডেবে যায়। আবার ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী বালু উত্তোলন ও বাল্কহেড থেকে খালাস বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

বাপাউবো সূত্রে জানা যায়, বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার (নিউ ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশাই-তুরাগ-বুড়িগঙ্গা রিভার সিস্টেম) প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু সেতুর ভাটিতে নিউ ধলেশ্বরী নদীর মুখে (অফটেক) খনন ও ১৫৩০ মিটার গাইড বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। আর এই বাঁধটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ২৩৪ কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

স্থানীয়রা জানায়, গাইড বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় বেলটিয়া এলাকার নদীভাঙা মানুষ ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। দুই বছর আগে বেলটিয়ার অংশে ভাঙনের ফলে বিশালাকার পুকুর তৈরি হয়। ওই স্থানে প্রথমে জিও ব্যাগ ও সিমেণ্টের তৈরি ব্লক ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়। পরে ভাঙনের ফলে কর্তৃপক্ষ প্রণীত নকশা পরিবর্তন করে চন্দ্রা কারে গাইড বাঁধ নির্মাণ করতে বাধ্য হয়।

এ ছাড়াও বর্ষা মৌসুমে যমুনা ক্ষেপে গেলে ওই স্থান দিয়ে পৃথক নদীমুখ বের করে নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বেলটিয়া ও কুর্শাবেনু গ্রামের ২ হাজার পরিবার ভাঙনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ওই চন্দ্রাকার বাঁধের স্থানে বড় বড় ৫টি ড্রেজার মেশিন স্থাপন করায় নদী ভাঙনের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকা চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোমেন লিমিটেড। ওই প্রকল্পের সড়ক প্রশস্তকরণে বালু-মাটি সরবরাহ করতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সাব-ঠিকাদারী নিয়েছেন। তাদের মধ্যে গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

অংশীদারদের মধ্যে রয়েছেন-গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম(মেম্বার), বালু ব্যবসায়ী মাসুদ রানা, ৮ নম্বর (বেলটিয়া) ইউপি সদস্য মো. শাজাহান আলী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার, সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান ফকির প্রমুখ। তারা যমুনা নদীর বাম তীরের বেলটিয়া অংশে বড় বড় ৫টি ড্রেজার ও ৩টি বাল্কহেড(বলগেট) এনে পাইপের ৪টি সারি প্রস্তুত করেছেন। আরও একটি প্রস্তুতের পর্যায়ে রয়েছে। ৩টি বাল্কহেডের মধ্যে একটিতে যমুনাগর্ভে ড্রেজার বসানোর জন্য স্টিলের পাইপ আনা হয়েছে। অন্যটি থেকে বালু খালাস করা হচ্ছে এবং অপরটি তীরে ভেড়ানো রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অংশীদার জানান, গোহালিয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জের তাপস ঠিকাদারের নেওয়া বালুঘাটে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে অংশীদার হন তারা (উক্ত অংশীদাররা)। সেখান থেকে বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু এনে বেলটিয়ায় খালাস করা হচ্ছে। ওই বালু আব্দুল মোনেম লিমিটেডের কাছে বিক্রি করার কথা রয়েছে।

এদিকে আলীপুর গ্রামের প্রবাসী হাতেম আলী জানান, যমুনায় তাদের বাড়ি দুই দফায় ভেঙে গেছে। নিউ ধলেশ্বরী নদীর মুখ বাঁধাই করায় তিনি ও তার দুই ভাই মফিজ উদ্দিন ও হাফেজ উদ্দিন যমুনার বেলটিয়া অংশে পৈত্রিক জমিতে নতুন বাড়ি করেছেন। তিনি দুই মেয়ে-এক ছেলে ও ভাইদের নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন।

তিনি জানান, নদীর মুখে বাঁধ নির্মাণ করায় এ অঞ্চলের মানুষ বসবাসের নির্ভরতা খুঁজে পেয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে সরকার বাঁধ নির্মাণ করে উপকার করেছে।

চরহামজানী গ্রামের শিক্ষক আব্দুল বাছেদ ও তার ভাই আব্দুল মালেক বেলটিয়ায় এসে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তারা জানান, নিউ ধলেশ্বরীর মুখে (অফটেক) বাঁধ নির্মাণ না হলে বেলটিয়ায় এসে বাড়ি করার কল্পনাও করা যেত না। বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় তারা বাড়ি তৈরি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারছেন।

তারা আরও জানান, যমুনা ক্ষেপে গিয়ে গত বছর বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় তারা এমনিতেই শঙ্কিত। এর মধ্যে ড্রেজার বসালে বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনা নদীর বাম তীরে বেলটিয়া অংশে প্রকল্পের ১ নম্বর লটে ৪৫০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঢাকাস্থ এসএস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং ২ নম্বর লটে ১৭৮ মিটার টার্নিংসহ ৩২৮ মিটার বাঁধ নির্মাণ করে ঢাকাস্থ এআরকেএল ও কিউএইচএমসিএল জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।

প্রকল্পের ১ নম্বর লটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার গৌতম দাস ও ২ নম্বর লটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার রুবায়েতুল ইসলাম তন্ময়সহ নদী শাসন সংশ্লিষ্ট প্রায় আধা ডজন প্রকৌশলী জানান, প্রমত্ত্বা যমুনার পেট চিরে জন্ম হওয়া নিউ ধলেশ্বরীর অফটেক বাঁধাই একটি যুগান্তকারী সাফল্য। এই সাফল্যের কৃতিত্ব বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের(বাপাউবো) সঙ্গে সঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় জনসাধারণেরও। গাইড বাঁধের ফলে যমুনার মূলস্রোত বাম তীর ঘেষে বইছে।

তাৎক্ষণিক সামান্য লাভের জন্য ড্রেজার বসিয়ে যমুনা থেকে বালু উত্তোলন বা বাঁধের উপর চর পড়ার আগেই বালু-মাটি লোড-আনলোড করা বাঁধের জন্য হুমকি। বর্ষায় প্রমত্ত্বা যমুনা ক্ষেপে গেলে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব। বাঁধ ভেঙে গেলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ সরকারের ২৩৪ কোটি টাকা নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। এজন্য আগেই সতর্ক হওয়া জরুরি বলে তারা মতপ্রকাশ করেন।

এ প্রসঙ্গে গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাজাহান আলী জানান, বেলটিয়ায় তার বাড়ি হওয়ায় তাকে বালু সরবরাহে কিঞ্চিৎ অংশীদার রাখা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের বালুমহাল থেকে বালু কিনে এনে মহাসড়কের মাটি ভরাট কাজে দেওয়ার কথা রয়েছে। যমুনা ক্ষেপে গেলে এমনিতেই ভাঙবে। যমুনার ভাঙন ঠেকানো সত্যিই দূরূহ বিষয়। গত বছর ড্রেজার বসানো বা বালু খালাসের কোনো বিষয় ছিল না তবুও গাইড বাঁধ ধসে গর্ত হয়েছিল। পরে তা মেরামত করা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, গাইড বাঁধ সম্পূর্ণ বালুর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কারণে বাঁধের নিচে গর্ত হয়ে পানি ঢুকলে পুরো বাঁধ ধ্বসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী তালুকদার জানান, বেলটিয়া ও কুর্শাবেনু এলাকায় তাদের অনেক জমি-জমা আছে। জমির উপর দিয়ে পাইপ নিতে হয়। তাই তাকে কিঞ্চিৎ অংশের ভাগিদার রাখা হয়েছে। বাঁধের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজকে তিনি সমর্থন করবেন না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে বালু এনে যমুনার বেলটিয়া অংশে আনলোড করা বা যমুনা থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তাকে কেউ জানায়নি। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হবে- এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।

অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বালু ব্যবসায়ীদের নেতা আব্দুল হাই আকন্দ জানান, তারা সিরাজগঞ্জের ঘাট থেকে বালু কিনে বাল্কহেডের মাধ্যমে এনে বেলটিয়ায় খালাস করছেন। ড্রেজার বসিয়ে যমুনার চর থেকে বালু আনার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তারা যাই করুক না কেন বাসেক ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেই করবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন জানান, যমুনায় ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো তথ্য তার কাছে নেই। নিউ ধলেশ্বরী নদীতে ড্রেজার বসানোয় পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মহাসড়ক প্রশস্তকরণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাউবো’র উত্তোলিত বালু (ড্রেজড ম্যাটার) কিনেছে। মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ বিশাল। তারা কোথা থেকে, কীভাবে মাটি-বালু এনে মহাসড়ক প্রশস্ত করবে-এটা উপর মহলের বিষয় তাই তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারেন না বলে জানান তিনি।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার (পিএম) মো. আব্দুল আওয়াল জানান, মহাসড়ক প্রশস্তকরণে মাটি ভরাটের জন্য তারা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পাউবো কর্তৃক নিউ ধলেশ্বরীর উত্তোলিত বালু (ড্রেজড ম্যাটার) দরপত্রের মাধ্যমে কিনেছেন। এ ছাড়াও যমুনার চর থেকে বালু কেটে আনার নিমিত্তে তাদের অনুমতি রয়েছে। তবে তা বঙ্গবন্ধু সেতুর উজান ও ভাটির (কেপিআই) অঞ্চল থেকে আনা হবে কি-না তা তিনি বলতে পারেননি।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, গাইড বাঁধ ও এর আশপাশে ড্রেজিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পাউবোর কোনো ড্রেজারও ওই এলাকায় নেই। কেউ ড্রেজার বসানোর চেষ্টা বা বাঁধের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু সেতুর সোয়া কিলোমিটার দক্ষিণে ২৩৪ কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকায় ১৫৩০ মিটার গাইড বাঁধ (অফটেক বাঁধাই) নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ বাঁধের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে।

এ ছাড়াও যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতুর উজানে ৬ কিলোমিটার ও ভাটিতে ৬ কিলোমিটার এলাকা বাসেকের বলে জানান পাউবোর এই প্রকৌশলী। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্দিষ্ট ১২ কিলোমিটার নদী বাসেকের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস দেখভাল করবে।

বাসেকের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর উজানে ৬ ও ভাটিতে ৬ এই ১২ কিলোমিটার এলাকা কেপিআই হিসেবে চিহ্নিত। এই এলাকার মধ্যে ড্রেজার বসানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কেউ ড্রেজার বসানো বা বালু উত্তোলনের চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। লোড-আনলোড করার বিষয়টি তার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ তার সাথে কোনো আলোচনা করেনি। মহাসড়কে বালু দেওয়ার জন্য লোড-আনলোড করে থাকলে বিষয়টি পাউবো বা স্থানীয় প্রশাসন দেখবে। তাছাড়া গাইড বাঁধের ক্ষতি হবে-এমন কাজ কাউকেই করতে দেওয়া হবে না।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, কোন কারণেই গাইড বাঁধের ক্ষতি এবং মানুষের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি করা যাবে না। যমুনায় ড্রেজার বাসানো ও লোড-আনলোডের বিষয়টি তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে বাঁধের বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান, সিয়াম আহমেদ ও মিমসহ একঝাঁক তারকা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রাচুর্যপূর্ণ গানের ভিডিও। শাকিব খানের প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান আসন্ন বিপিএলে যে ঢাকা ক্যাপিটাল নামে টিম কিনেছে সেই টিমেরই থিম সংয়ের শুটিং ছিল এটা। যাতে শাকিব খানের সঙ্গে নেচেছেন দেশের শোবিজের ১৫ জন তারকা। যাতে স্পর্শিয়া, ইরফান সাজ্জাদ, মিথিলা ও সারিকা সাবাও অংশ নিয়েছেন। অংশ নিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটাল দলের খেলোয়াড়রাও।

এফডিসিতে বিশাল সেট, তাতে শুটিং করছিলেন ঢাকাই ছবির একঝাঁক তারকাশিল্পী। শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষনায়ক শাকিব খানও। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে বিগ বাজেটের কোনো সিনেমার শুটিং হচ্ছে বুঝি। নাহ, কোনো সিনেমার শুটিং নয়। গানের শুটিং! অবাক হওয়ার মতোই খবর এটি। কেবল গানের শুটিং? তাতে আবার অংশ নিয়েছেন শাকিব খান, সিয়াম আহমেদ, বিদ্যা সিনহা মিম, ইমন, পূজা চেরি, দীঘির মতো শিল্পীরা। শুধু গানের শুটিংয়ের জন্য তো এই শিল্পীদের এক হওয়ার কথা না।

রাসেল মাহমুদের লেখা গানটি তৈরি করেছেন প্রীতম হাসান। বিএফডিসিতে সেট ফেলে গানটির ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাকিব আহমেদ। কোরিওগ্রাফির কাজ করেছেন বিল্লাল-রোহান।

অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম গানটিতে পারফর্ম করে বেজায় খুশি। পাশাপাশি টিমের দুর্দান্ত জয়েরও আশাবাদের কথা জানালেন। মিম বলেন, সবাই জানেন আমরা রিমার্ক হারল্যান পরিবারের একটি অংশ। প্রতিষ্ঠানটি এখন পুরো বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানটির বিপিএলে টিম হচ্ছে ঢাকা ক্যাপিটাল। আমার বিশ্বাস, নান্দনিক খেলা উপহার দিয়ে এই টিমও সারা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষদের ভালোবাসার টিম হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হবে। ভালো লাগছে টিমের থিম সংয়ের একটি পার্টে আমিও আছি। দারুণ একটি থিম সং হয়েছে। সবকিছুর মতো গানটিতেও চমক রেখেছে হারল্যান টিম। আমার বিশ্বাস, এবারের বিপিএল আসরে সেরা থিম সং হবে এটি।

অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার ভাষায়, গানটি আসন্ন বিপিএল আসরের চোখ ধাঁধানো গান হয়েছে। আমার বিশ্বাস, ঢাকা ক্যাপিটাল এবার চ্যাম্পিয়ন হবে।

থিম সংটির শুটিং শেষ। আগামী ৩০ ডিসেম্বর গানটি ঢাকা ক্যাপিটালের ফেসবুক ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন টিমের অন্যতম দায়িত্বশীল কর্তা নায়ক ইমন।

তিনি বলেন, রিমার্ক হারল্যান সবকিছুই চমক নিয়ে আসছে। এবার বিপিএলেও চমক হচ্ছে ঢাকা ক্যাপিটাল। আর ঢাকা ক্যাপিটালের পক্ষ থেকে প্রথম চমক হচ্ছে এই গান। আশা করি, গানটি সবার ভালো লাগবে এবং আমরা এবার চ্যাম্পিয়ন হব।

মূলত রিমার্ক হারল্যানের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন শাকিব খান। তাঁর নেতৃত্বে এই দলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ঢাকাই শোবিজের অর্ধডজন তারকা। আগেই ঘোষণা হয়েছে, কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে দলটির থিম সং। গানটির শুটিংয়ে তারই প্রমাণ মিলল। শুটিংয়ের পরও ঢাকা ক্যাপিটাল কর্তৃপক্ষ জানালেন গানটি নির্মাণে খরচ হয়েছে কোটি টাকারও বেশি।

গানের শুটিংয়ে অংশ নেওয়া সিয়াম আহমেদ বলেন, আমি রিমার্ক হারল্যানের অ্যাম্বাসাডর হিসেবে আছি। আর ঢাকা ক্যাপিটাল হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের একটি টিম। তাই ঢাকা ক্যাপিটাল আমাদেরও টিম। সেই টিমের সদস্য হিসেবেই থিম সংয়ে পারফর্ম করা। দারুণ একটি গান হয়েছে; যা ঢাকা ক্যাপিটালের শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার জানান দেবে।

Header Ad
Header Ad

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!  

ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন নামের ননভেরিফাইড এক ফেসবুক পেইজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গেল বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে এই হুমকি দেওয়া হয়।

সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের তালিকার কথা উল্লেখ করে ওই পোস্টে বলা হয়, ‘১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের তালিকা অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের তথ্য এবং তাদের ঠিকানা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। একটিকেও পালাতে দেওয়া হবে না।’

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘যারা এই তালিকায় আছেন, তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সম্পর্কিত সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যাতে পালানোর কোন সুযোগ না থাকে।’

তবে ননভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ হওয়ায় পেজটি ছাত্রলীগ নেতার কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি। পেইজটিতে প্রায় ২ লাখ ফলোয়ার সংখ্যা রয়েছে।

এদিকে, ফ্যাক্ট রিউমার স্ক্যান এখনও নিশ্চিত করে বলেনি বক্তব্যটি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেনের কিনা।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  

লেখক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীকে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত নয় বলে মনে করেন লেখক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। কেন তাদের এ নামে রাজনীতি করা উচিত নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা, দলটির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন এই বিশ্লেষক।

ফরহাদ মজহার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর চিন্তাধারাটা কী? আধুনিক ইসলামী জাতিবাদী চিন্তা এই তো? এটা গড়ে উঠছে জাতিবাদীর সময়; ঠিক আছে। আর বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে তারা কী চান? তারা কিন্তু গণতন্ত্র চান। তারা কিন্তু বলছেন জামায়াতে ইসলামী, তারা কিন্তু আমাদের যে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন যেটা বা যে নির্বাচন সংক্রান্ত যে আইন আছে, সেখানে তো তারা দাখিল করেছেন তাদের কর্মসূচি ও গঠনতন্ত্র।

তিনি আরও বলেন, সেখানে তারা কী চাইছেন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র চাইছেন তো? তারা যদি গণতন্ত্র চায়, আমার তো কোনো বিরোধ নাই। তবে এখানে কিন্তু আছে। আমি মনে করি, জামায়াতে ইসলামীকে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত নয়। এটা আমাদের এই বাংলাদেশের তার যে জাতিগত সত্তা বাংলাদেশের যে ইতিহাস, এটা কিন্তু তার বিরোধী। কেন? কারণ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করেনি। এই নামে তারা করেনি ফলে আমি জামায়াতে ইসলামীর যারা নেতা আছেন, তাদের যারা সদস্য আছেন, বিনয়ের সঙ্গে তাদের বলব, অবিলম্বে তারা যেন এই নামটা বদলান।

এই লেখক ও চিন্তক বলেন, বাংলাদেশে বাঙালি জনগোষ্ঠী যারা ৭১ সালের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রটা কায়েম করেছে, এটা কিন্তু এটার সঙ্গে অসংগতি। ফলে আমি মনে করি যে এই নামটা বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। তারা রাজনীতি অবশ্যই করবে এবং তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। কিন্তু এটা তো এর বাইরে। আমি কখনো দেখিনি তারা আমাকে কিছু বলেছে, যেটা আমার জন্য আপত্তিকর হতে পারে। ইসলাম তো আমার সংস্কৃতির অংশ, ইসলাম আমার দার্শনিক চিন্তায় ভূমিকা রাখবে। আমি যেহেতু একটা মুসলিম পরিবার জন্মগ্রহণ করেছি।

ফরহাদ মজহার বলেন, ইসলাম আমার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম, ফলে ইসলামের দার্শনিক দিকের ইসলামের যে তত্ত্বগত দিক ইসলামের যে ইতিহাস এটা তো আমাকে প্রভাবিত করবে; হ্যাঁ এটা তো আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না কৃত্রিমভাবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!  
জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  
দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার
পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী