শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১০ মাসের বাছুর প্রতিদিন দুধ দিচ্ছে ৩ লিটার!

১০ মাসের বকনা বাছুর দুধ দিচ্ছে। শুনে অবাক হওয়ারই কথা। যেখানে নিজে বেঁচে আছে মায়ের দুধ পান করে। প্রসব ছাড়াই সেই দুধের বাছুরই আবার প্রতিদিন দিচ্ছে আড়াই থেকে ৩ লিটার দুধ। একইসঙ্গে বাছুরটির মা প্রতিদিন দুধ দিচ্ছে দেড় লিটার। এ নিয়ে উৎসুক মানুষের মাঝে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামে। বকনা বাছুরটির মালিকের নাম আব্দুস ছালাম মিয়া।

আব্দুস ছালামের স্ত্রী পারভীন বেগম ১০ মাস বয়সের বকনা গরুর ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করছেন। এমন দৃশ্য দেখতে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করছেন। সকালে ও বিকালে দেড় লিটার করে একদিনে তিন লিটার দুধ সংগ্রহ করছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, একটা দিন দুধ সংগ্রহ না করলেও ওলান থেকে দুধ ঝরে পড়ে।

পারভীন বেগম বলেন, ৭-৮ মাস আগে বাছুরসহ ১ লাখ ৩ হাজার টাকায় একটি গাভী গরু কিনে যমুনার চরাঞ্চলে লালন-পালন করছেন। বাছরটি মা শুরু থেকে ৩-৪ লিটার করে দুধ দিত। গেল রমজান মাসে ১০ মাস বয়সী বাছুরকে নদীতে গোসল করাতে গেলে সেটির ওলান ফোলা দেখে ধারণা করেন- এখানে দুধ জমেছে। তিনি তাৎক্ষণিক গরুটির ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করেন। প্রথম কয়েক দিন আধা লিটার দুধ পান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ১০ মাস বয়সী বকনা বাছুরটি প্রসব ছাড়া দুধ দেওয়ার বিষয়টি দেখে আমরা অবাক হয়েছি। শুরুতে দুধের পরিমাণ কম হলেও এখন দুধের পরিমাণ বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল-বিকাল ২ থেকে ৩ লিটার করে দুধ দিচ্ছে। বাছরটির মাও দেড় লিটার করে দুধ দিচ্ছে। প্রথমে বাছুরের দুধ ছাগলের বাচ্চাকে খাওয়ালেও এখন পরিবারের সদস্যরা এই দুধ পান করছেন। মাঝে-মধ্যে প্রতিবেশিদেরও বিনামূল্যে দিয়ে আসছি।

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদশা মিয়া, আনছার আলীসহ স্থানীয়রা জানান, সাধারণত যে গাভী বাচ্চা জন্ম দেয়, সেই গাভীই দুধ দিয়ে থাকে। অল্প বয়সী যে বাছুরটি প্রসব ছাড়া দুধ দিচ্ছে এটা একটা বিরল ও ব্যতিক্রমী ঘটনা। বিষয়টি শুনে প্রথম বিশ্বাস করছিলাম না। পরে ছালামের বাড়িতে গিয়ে দেখেছি ঘটনাটি সত্যি ও আশ্চর্য হয়েছি। এই খবর শুনে আশপাশের লোকজন ছাড়াও এ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।

তবে এমন বিরল ঘটনায় বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুকুমার চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, হরমোনজনিত কারণে এমনটা অনেক সময় হয়ে থাকে। এ ঘটনাটি ভিন্ন রকম মনে হলেও ওই দুধ পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত। এ ধরনের ঘটনা দেশে আগেও ঘটেছে। অতএব আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। যে কেউ ওই বাছুরের দুধ পান করতে পারবেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. রানা মিয়া বলেন, এসব বকনা বাছুর গরুর দুধ পান করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। এই দুধ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। তবে দুধ পান না করাই ভালো। মূলত অতিমাত্রার হরমোন পরিবর্তন জনিত কারণে বাচ্চা প্রসব ছাড়াই দুধ দিতে পারে গরু। তবে এই ঘটনা খুবই বিরল তা নয়। এর আগে জেলার সখীপুর উপজেলাতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এটি স্বাভাবিক ঘটনা। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার

দুর্নীতি দমন কমিশনের সদ্য পদত্যাগ করা কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সংস্থারেই একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ধরা পড়ছেন দুর্নীতির অভিযোগে। সদ্য পদত্যাগ করা কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতি, অনিয়ম, সরকারি প্লট জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সরকারি গাড়ি ও ড্রাইভারকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার মতো একাধিক অভিযোগ।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে শিগগিরই তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান দল গঠন করবে দুদক। ইতোমধ্যে দৈনন্দিন অভিযোগ যাচাই-বাছাই সেল (যাবাক) থেকে তার সংশ্লিষ্ট নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশনের সভায় তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দুদকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এই ঘটনা দুদকের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে।

ওই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের বিরুদ্ধে দুদকে যে অভিযোগ জমা হয়েছে, সেটি অত্যন্ত কনক্রিট অভিযোগ। তাই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, জহুরুল হক বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনের তরঙ্গ বরাদ্দে জালিয়াতি, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানিকে তার অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও বহু পুরোনো। সাবেক মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক গত ২৯ অক্টোবর দুদক কমিশনারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০২১ সালের ২ মার্চ তিনি দুদক কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

এদিকে জহুরুল হকের পাসপোর্ট বাতিল করে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অর্ডার, ১৯৭৩-এর ৭(২) (সি) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিম্নোক্ত ছকে বর্ণিত ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিলপূর্বক তিনি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে জহুরুল হকের নামপরিচয়, ঠিকানা, বাবার নাম, ন্যাশনাল আইডি নম্বর ও পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিডিআর হত্যা মামলার বিচারক ছিলেন মো. জহুরুল হক। বিডিআর হত্যা মামলার রায় নিয়ে একটি পক্ষ অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি, পতিত সরকার আদালতের বিচারকদের প্রভাবিত করে মামলায় পক্ষপাতমূলক রায় করিয়েছে। এরই মধ্যে বিডিআর হত্যা পুনর্তদন্তে নতুন করে কমিশন গঠন করেছে সরকার। এ কারণে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, দুদক কমিশনার (তদন্ত) হিসেবে জহুরুল হক দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরে ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট তার নিজের নামে বরাদ্দ দেওয়া পাঁচ কাঠার প্লটের পরিবর্তে ১০ কাঠা আয়তনের প্লট দিতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩ নভেম্বর গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে রাজউক চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জহিরুল হকের পাঁচ কাঠা ও তার স্ত্রী মাছুদা বেগমের নামে থাকা পাঁচ কাঠার প্লট দুটি সমর্পণ সাপেক্ষে একটি ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বলা হয়।

রাজউকের বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জহুরুল হককে ১৩/এ ধারায় ২৫ নম্বর সেক্টরের ২০৬ নম্বর সড়কের ১০ কাঠা আয়তনের ৪৭ নম্বর প্লটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি বাড়ি নির্মাণে নকশার অনুমোদন নিয়েছেন। আইন অনুযায়ী, স্বামী ও স্ত্রীর নামে আলাদা আলাদা প্লট বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। কোনো প্রকল্পে স্বামী ও স্ত্রীর নামে আলাদা প্লট বরাদ্দ পেলে একটি প্লট বহাল রেখে আরেকটি সমর্পণ করতে হবে। স্বামী-স্ত্রী আলাদা প্লট বরাদ্দ নিলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু জহুরুল হক ও তার স্ত্রী মাছুদা বেগম আলাদা আলাদা প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। অথচ তারা একটি প্লট সমর্পণ করেননি, রাজউকও তাদের একটি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করেনি। উল্টো জহুরুল হক দুদক কমিশনার হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।

এ ছাড়া দুদক কমিশনার হিসেবে জহুরুল হকের নিজের জন্য একটি গাড়ি বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বরাদ্দকৃত গাড়ির বাইরে স্ত্রী ও সন্তানদের সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য চালকসহ তিনি বেআইনিভাবে জন্য আরও একটি গাড়ি বরাদ্দ নেন। জহুরুল হকের একান্ত সচিব চালকসহ গাড়ি বরাদ্দে দুদকে আবেদন করেন। সেই আবেদনে তিনি বলেছিলেন, জহুরুল হক ধানমন্ডির সরকারি বাংলোতে বাস করেন। তিনি তার অনুকূলে চালকসহ অতিরিক্ত আরেকটি গাড়ি বরাদ্দ চান। গাড়ি ব্যবহার বাবদ সরকারি ফি তিনি পরিশোধ করবেন। তার বাসভবনে চালকের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গাড়ি বরাদ্দ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি ইস্যু করা হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, কমিশনার জহুরুল হকের অনুরোধে চালক সাদ্দাম হোসেন এবং ঢাকা মেট্রো-গ৪২-৭৬৩০ গাড়িটি সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে দুদকের অভ্যন্তরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, কারণ সংস্থাটিতে গাড়ির সংকট দীর্ঘদিনের। এমনকি উপপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও শেয়ার করে গাড়ি ব্যবহার করতে হয়।

জহুরুল হকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে বহু দুর্নীতিবাজকে মামলা থেকে রেহাই দিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ পতিত সরকারের কয়েক ডজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও আমলা।

Header Ad
Header Ad

পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো নথিপত্র নিয়ে যাওয়া দুটি ট্রাক স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়ে পুলিশে সোপর্দ হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে ঘটে। পরে, ট্রাক দুটি সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জিয়াউল ইসলাম সাবু জানান, সচিবালয়ে আগুন দিয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ হয় সেই ধরনের কোনও ঘটনা কিনা। এ কারণে তারা ট্রাক দুটি আটকে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানকে বিষয়টি জানায়। এরপর ঘটনাস্থলে এসে নির্বাহী প্রকৌশলী সবাইকে বলেন, এগুলো বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো কাগজ এবং আসবাবপত্র। পুড়িয়ে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার পর ট্রাক দুটি ছেড়ে দেয় স্থানীয় জনতা।

এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় এক যুগের পুরোনো দাফতরিক নথিপত্র এগুলো। যার কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে বিধায় পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ভাড়া করা দুটি ট্রাকে এসব নথিপত্র ও আসবাবপত্র ভর্তি করে তা নগরের ময়লা খোলার ভাগাড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার জন্য অফিসের দুই কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দু’দিন আগে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে। শুক্রবার যখন দুই ট্রাকবোঝাই পুরাতন নথি এই এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখনই সবার মনে সন্দেহ জাগে। বাজারের মধ্য দিয়ে এত কাগজ এর আগে কখনো নদীর ধারে নিতে দেখেনি কেউ। ট্রাক আটক করার পর গাড়ির চালক এগুলো সরকারি নথি এবং পোড়ানো হবে জানালে জনতা পুলিশে খবর দেয়।

এ ধরনের ঘটনা অনেকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী

অধ্যাপক হাছানাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বছর থেকে ক্লাস শুরু করতে চেয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক হাছানাত আলী। দায়িত্ব নিয়ে তিনি সেই ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে সাড়া পাননি। আর এতেই হতাশা নিয়ে ফেসবুকে ‘মেধার চর্চা করতে চাই’ শিরোনামে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন তিনি।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে উপাচার্য অধ্যাপক হাছানাত আলী তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে পোস্টটি করেন।

ফেসবুকে পোস্টে তিনি লেখেন, ‌‘অনেক আশা নিয়ে গত অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলাম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদান করার পর তৎকালীন শিক্ষা সচিব মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এবছর থেকেই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর উৎসাহে অনুপ্রাণীত হয়ে আমি যোগদানের ঠিক ১০ দিনের মাথায় গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর চারটি অনুষদের অধীনে ৬টি বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিলাম।

আশায় ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনক্রমে চলতি শিক্ষা বছর থেকেই নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।

একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নওগাঁ শহরে ৭তলা বিশিষ্ঠ একটি অস্থায়ী একাডেমিক ভবনের ব্যবস্থাও করে রেখেছিলাম। নওগাঁর একজন দানশীল ব্যক্তির আর্থিক সহায়তায় এক হাজার পাঠ্য পুস্তক সম্বলিত একটি লাইব্রেরি ও ৫০টি কম্পিউটার সম্মৃদ্ধ একটি কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠার সকল প্রস্ততি নিয়ে রেখেছিলাম। একটি ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৬টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ক্লাস রুমের জন্য ৬টি ল্যাপটপ সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া অনেকটাই সম্পন্ন করে ফেলেছি। অন্য আরেকটি ব্যাংকের সহায়তায় একটি স্টাডি সেন্টার ও আরেকটি ব্যাংকের সহায়তায় আইটি সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক দু’টির সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট গঠনের কাজ শেষ করে ফেলেছি। ৫০ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্লান তৈরীর কাজ শুরু করেছি। এ লক্ষ্যে একটি লিখিত প্রস্তবনা ইউজিসিতে দাখিল করেছি। গত আড়াইটি মাস দিনরাত একাকার করে কাজ করেছি, শুধু শিক্ষক হিসেবে ক্লাসরুমে ফিরে যাব বলে। আমার বড় পরিচয় আমি একজন শিক্ষক।

আমি নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই। অত্র অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। সবার জানা যে, গত ১৮টি বছর বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাটকে চরমভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রকাশ্যে প্রতিজ্ঞা করছি, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করব, মেধাবীরা শিক্ষক হবেন, মেধার চর্চা হবে। আমি হাল ছাড়িনি, আশাহতও হইনি, বুকভরা আশা নিয়ে এখনও একটি ভালো সংবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছি।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার
পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা