থাকেন রাস্তার পাশে, তবুও পাননি প্রধানমন্ত্রীর ঘর

বিধবা লাইলী বেগম। তার নেই ঘর ও নিজস্ব জায়গা-জমি। থাকতে হচ্ছে সরকারি রাস্তার পাশে। ভোটার না হওয়ায় পাননি মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘ভূমি ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর’ কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড। লাইলী বেগমের স্বামী আব্দুল কদ্দুছ ছিলেন ভূমিহীন হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রি। প্রায় ১০ বছর আগে মারা যান তিনি।
বৃদ্ধা লাইলী বেগম থাকতেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বামনহাটা কালী মন্দিরের পশ্চিমে সরকারি রাস্তার পাশে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে সিরাজগঞ্জের যমুনার চরাঞ্চলে বিয়ে করে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করছেন। মেয়েটিকেও অন্যের সাহায্য-সহযোগিতায় বিয়ে দিয়েছেন।
লাইলী বেগমের স্বামী আব্দুল কদ্দুছ মারা যাওয়ার পর থেকে রাস্তার উপরে স্বামীর ঘরটি আঁকড়ে ধরে অতি কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। অন্যের বাড়িতে পেটে-ভাতে ও সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। শারীরিক অসুস্থতা থাকলে, কাজে যেতে না পারলে অনাহারে থাকতে হয় তাকে। দরিদ্র ছেলেও ঠিকমতো তার খোঁজ-খবর রাখেন না।
বিধবা লাইলী বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ সদরের সয়াশেখা গ্রামের ছেলের শ্বশুর বাড়িতে থাকাকালে সেখানে পরিচয়পত্র করিয়ে দেয় ছেলে। সেখান থেকে চলে এসে আবার ভূঞাপুরের বামনহাটার কালী মন্দিরের পাশে রাস্তার পাশে স্বামীর পরিত্যক্ত ঘরটিতে বসবাস করছি। জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলে আপনি এখানকার ভোটার না, তাই তারাও কোনো সাহায্য দেয় না।
তিনি আরও বলেন, ‘ফের সিরাজগঞ্জের ওইখানে গেলে বলে-আপনি এখানে থাকেন না। থাকেন ভূঞাপুরে। সেখান থেকে বিধবা ভাতা ও ঘরের আবেদন করেন। এই টানা-হেঁচরায় পড়ে আমি নাজেহাল।’ যার ফলে
দীর্ঘদিন যাবত সরকারি সড়কের উপর মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন বিধবা লাইলী বেগম।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, ওই নারী আমাদের কাছে আসলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও ঘর এবং বিধবা ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআইএইচ
