সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঈদের বাজারেও ক্রেতা সংকটে ভুগছে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প

প্রাচীনকাল থেকে নারীদের প্রথম পছন্দ তাঁতের শাড়ি। এই শাড়ির চাহিদা পূরণ করে আসছে টাঙ্গাইলের তাঁত পল্লী। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাঁতের শাড়ি তৈরি হলেও দেলদুয়ার উপজেলার চন্ডী-পাথরাইল ও পাশের এলাকা নিয়ে সেই তাঁত পল্লীটি। টাঙ্গাইল তাঁত শিল্প দেশের অন্যতম পুরানো কুটির শিল্প। এখানকার মানুষের রোজগারের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এই শিল্প। সুঁতা কাটা থেকে শাড়ি বানানো, শাড়ি বানানো থেকে শাড়ি বিক্রি পর্যন্ত সম্পৃক্ত তাঁত পল্লীর অধিকাংশ মানুষ। শাড়ির বাজারের সঙ্গে ঘুরে এখানকার সাধারণ মানুষের ভাগ্যের চাকা। অথচ ঈদের বাজারেও সংকটে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প।

নব্বই দশকের হিসেব অনুযায়ী টাঙ্গাইলের কুটির শিল্পের তাঁতগুলো তাঁতীদের বাড়ির অভ্যন্তরে বসানো হয়। এর মধ্যে ৭২ শতাংশ ৫টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত, ১১ শতাংশ তাঁত ৬ থেকে ১০টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত এবং ৬ শতাংশ তাঁত ১১ থেকে ১২টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত এবং অবশিষ্ট ১১ শতাংশ ১২টির অধিক তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৯২ সালের হিসেব অনুযায়ী টাঙ্গাইল জেলায় ১ লাখের অধিক তাঁত শিল্প ছিল এবং তাঁতীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার। ২০০৮ সালে এক লাখ ছোট-বড় কারখানায় ৩৭ হাজার ২২২টি তাঁত এবং ৭০ হাজার তাঁতী ছিল।

২০১৩ সালের শুমারিতে পাওয়া তথ্যানুযায়ী টাঙ্গাইল জেলায় ওই সময়ে ৬০ হাজার তাঁত ছিল। এর মধ্যে ৮ হাজার ৩০৫টি পিট তাঁত, ৫১ হাজার ১৪১টি চিত্তরঞ্জন তাঁত এবং ৮৯২টি পাওয়ার লোম তাঁত। সেই ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের তাঁতের সংখ্যা কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৪০২টি। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শিল্পটি। দফায় দফায় সুঁতার দাম বৃদ্ধি, করোনাভাইরাস এবং ওমিক্রনের ধাক্কাসহ কারিগরের অভাবে এই শিল্প হুমকির মুখে। রমজানে চলে ঈদের প্রস্তুতি। শাড়ির চাহিদা মেটাতে রমজানজুড়ে থাকে তাঁতের সেই খঁটখঁটি শব্দ।

তাঁত পল্লীর বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকে সারি-সারি ব্যক্তিগত গাড়ি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে খুচরা ও পাইকারি শাড়ি ক্রেতারা। অথচ ঈদ ঘনিয়ে এলেও এবারে নেই সেই পুরানো চিত্র। জেলার একমাত্র শাড়ির হাট করটিয়ার চিত্রও একই। মধ্যম দামের সুতি জামদানি শাড়ির চাহিদা থাকলেও অন্য শাড়ির চাহিদা অনেকটাই কম।

এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক বছরে ১০০ শতাংশের বেশি সুঁতার দাম বেড়েছে। সুঁতার দাম বৃদ্ধি, করোনাকালীন হোঁচট-এমন কি কারিগরের অভাবে তাঁত শিল্প হুমকির মুখে। এ ছাড়াও সুঁতার দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কিছু শাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমেছে। খরচ কমাতে চিত্তরঞ্জন ও পাওয়ার লোমে শাড়ি উৎপাদন হচ্ছে। কম খরচে একই ধরনের শাড়ি পাওয়ায় হস্তচালিত তাঁত শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলেও সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

শাড়ি ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের লকডাউনে তাঁতে শাড়ি তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। দীর্ঘস্থায়ী লকডাউনে অসংখ্য কারিগর বেকার হয়ে পড়েন। বেঁচে থাকার তাগিদে এই পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় যান তাঁতীরা। এরপর ২০২০ সালের বন্যায় জেলার তাঁত শিল্প আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানিতে কারখানার তাঁত, তাঁতে থাকা সুঁতার ভিম, কাপড় ও সরঞ্জামাদি নষ্ট হওয়ায় বিনিয়োগের লোকসান হয়। এর পরও তাঁতশিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের রমজানের আগ মুহূর্তে তাঁত খুলে। এরই মধ্যে সুঁতা, রঙ, রাসায়নিক কেমিক্যালসহ কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে সেখানেও আরেক ধাক্কা দেয়। প্রথমে তাঁতীরা অস্থায়ী সংকট মনে করলেও ক্রমশ তাঁতপল্লী স্থায়ী সংকটে পড়ে। বর্তমানে ৮৫ শতাংশ হস্তচালিত তাঁত বন্ধ রয়েছে। হস্তচালিত তাঁতের জায়গা দখল করছে পাওয়ার লোম।

তাঁত বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় তাঁতের সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৪ হাজার ৪০২টি। তাঁত মালিকের সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজার ১৫১ জন। এই তাঁত পল্লীতে কেউ শাড়ি বুনেন, কেউ চরকায় সুঁতা কাটেন , কেউ কাপড়ের নকশার সুঁতা কাটেন। আবার সুঁতা রঙ করা, শুকানো, পাটিকরা, সুঁতা কাটা, ড্রাম থেকে ভিমে সুতা পেঁচানো, তানা সাজানো, মালা বা নকশার ডিজাইন তোলা, কাপড় ভাঁজ করা, পেটি করা এবং বাজারজাত ও আনা-নেওয়ার কাজ করে থাকে এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্তরা। পেশাটি নিয়ে তৃণমূলে যারা সম্পৃক্ত তারাও উদ্বিগ্ন।

স্থানীয় অধিকাংশ তাঁতীরা ইতিমধ্যে পেশা পরিবর্তন করেছে। যমুনা চরাঞ্চল ও সিরাজগঞ্জের কারিগররা টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লীর হাল ধরেছে। এসব এলাকা থেকে প্রায় আড়াইশ কারিগর এসে তাঁত পল্লীতে তাঁতের কাজ করছেন।

কাতুলী থেকে আসা বুদ্দু মিয়া, জব্বার হোসেন ও সিরাজগঞ্জ থেকে আসা মোন্তাজ আলী, আবু তাহের, আলম, হোসেন আলী ও রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। এসব কারিগররা জানান, হস্তচালিত তাঁত বিলুপ্তির পথে। অধিকাংশ কারিগর চিত্তরঞ্জনে চলে গেছেন। অনেকে পাওয়ার লোমেও চলে গেছেন। হস্তচালিত তাঁতে শাড়ি বানাতে সময় বেশি লাগে। শাড়ি বানিয়ে যা উপার্জন হয় এতে সংসার চলে না। কিন্তু পাওয়ার লোমে অল্প সময়ে বেশি শাড়ি বানানো যায়। ফলে কারিগররা পাওয়ার লোম ও চিত্তরঞ্জন তাঁতের দিকে ঝুঁকছে। অন্যান্য শ্রমিকদের উন্নয়নে নানা ধরনের সংগঠন থাকে। আমাদের পেশায় কোনো সংগঠনও নেই। যারা নিরুপায় তারাই এখনও এই পেশায় আছে।

প্রবীণ তাঁতী সচীন রাজবংশী বলেন, টাঙ্গাইলে শাড়ির অবস্থা ভালো না। কারিগর পাওয়া যায় না। হস্তচালিত তাঁতে শাড়ি বানাতে বেশি সময় লাগে। সেই অনুযায়ী কারিগরদের মুজুরি দেওয়া যায় না। ফলে কারিগররা চিত্তরঞ্জন ও পাওয়ার লোমের দিকে ঝুঁকছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মহাজনদের কাছ থেকে সুঁতা, তানা এনে কারিগর দিয়ে শাড়ি বানাই। শাড়ি তৈরি করে মহাজনদের দেই। তারাই বিক্রি করেন। সেক্ষেত্রে আমরা ক্ষুদ্র মুজুরি পাই। ইচ্ছে করলে আমরা কারিগরদের মুজুরি বাড়াতে পারি না।

পবন দাসের মতো অনেকেই হস্তচালিত তাঁত বন্ধ করে শুরু করেছেন ছোট্ট পরিসরে পাওয়ার লোমের কারখানা। তিনি জানান, কারিগরের অভাব থেকে মূলত পাওয়ার লোম শুরু। পাওয়ার লোমের কারখানা বিদ্যুৎ চালিত। ফলে অল্প কারিগরে বেশি উৎপাদন সম্ভব।

এদিকে কম কারিগরে অধিক শাড়ি উৎপাদন করতে চায়না থেকে র‌্যাপিয়ার মেশিন এনেছেন বাদল রাজবংশী। হস্তচালিত তাঁতে তিন দিনে তৈরি করা হতো একটি শাড়ি। জানা গেছে, এই মেশিনে একদিনে তৈরি করা হচ্ছে একই মানের ৩টি শাড়ি। কম্পিউটারে ডিজাইন করে দিলে নির্ধারিত ডিজাইনে অটো শাড়ি বানানো যাবে। একই তানায় একাধিক ডিজাইনের শাড়ি বানানো যাবে । নতুন এই মেশিন কারিগরের অভাব দূর করে গুণগত মান বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।

শাড়ি ব্যবসায়ী তারাপদ শাড়ি হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী পলাশ বসাক জানান, এবারের ঈদে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতায় সাধারণ মানুষ তুলনামূলকভাবে কম শাড়ি কিনছে। উৎসবে কেনাকাটার জন্য সবারই একটা বাজেট থাকে। বাজেটের ভেতরে যেটা বেশি জরুরি সেটা আগে কেনেন। অনেকে শাড়ির পরিবর্তে থ্রি-পিস কিনে ঈদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।

তাঁত পল্লীর বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্ত্বাধিকারী সোরহাব হোসেন জানান, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির মূল ব্যবসা ঈদ-পূজাকে কেন্দ্র করে। সারা বছর ব্যবসাটাকে ধরে রাখা হয়। ঈদ বা পূজাকে ঘিরে সারা বছরের উৎপাদিত শাড়ি বিক্রি শেষ হয়। রমজান চলছে। ঈদের আগে সব শাড়ি বিক্রি শেষ হয়। এবার তুলনামূলকভাবে বিক্রি কম। তবে ঈদের আগে বিক্রি বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের তাঁত পল্লীর শাড়ী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বলেন, ঈদের বাজারে এই বছর শাড়ি বিক্রি কম। সুঁতার দাম ১০০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মধ্যম দামের শাড়ির বিক্রয় মূল্য বাড়লেও অন্যান্য শাড়ি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবুও দামি ও কমদামি শাড়ির ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। মধ্যম দামের শাড়ি কিছুটা বিক্রি হচ্ছে। আমার ধারণা ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শাড়ি বিক্রি বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, এটা দেশের অন্যতম কুটির শিল্প। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা