শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঈদের বাজারেও ক্রেতা সংকটে ভুগছে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প

প্রাচীনকাল থেকে নারীদের প্রথম পছন্দ তাঁতের শাড়ি। এই শাড়ির চাহিদা পূরণ করে আসছে টাঙ্গাইলের তাঁত পল্লী। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাঁতের শাড়ি তৈরি হলেও দেলদুয়ার উপজেলার চন্ডী-পাথরাইল ও পাশের এলাকা নিয়ে সেই তাঁত পল্লীটি। টাঙ্গাইল তাঁত শিল্প দেশের অন্যতম পুরানো কুটির শিল্প। এখানকার মানুষের রোজগারের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এই শিল্প। সুঁতা কাটা থেকে শাড়ি বানানো, শাড়ি বানানো থেকে শাড়ি বিক্রি পর্যন্ত সম্পৃক্ত তাঁত পল্লীর অধিকাংশ মানুষ। শাড়ির বাজারের সঙ্গে ঘুরে এখানকার সাধারণ মানুষের ভাগ্যের চাকা। অথচ ঈদের বাজারেও সংকটে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প।

নব্বই দশকের হিসেব অনুযায়ী টাঙ্গাইলের কুটির শিল্পের তাঁতগুলো তাঁতীদের বাড়ির অভ্যন্তরে বসানো হয়। এর মধ্যে ৭২ শতাংশ ৫টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত, ১১ শতাংশ তাঁত ৬ থেকে ১০টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত এবং ৬ শতাংশ তাঁত ১১ থেকে ১২টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত এবং অবশিষ্ট ১১ শতাংশ ১২টির অধিক তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৯২ সালের হিসেব অনুযায়ী টাঙ্গাইল জেলায় ১ লাখের অধিক তাঁত শিল্প ছিল এবং তাঁতীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার। ২০০৮ সালে এক লাখ ছোট-বড় কারখানায় ৩৭ হাজার ২২২টি তাঁত এবং ৭০ হাজার তাঁতী ছিল।

২০১৩ সালের শুমারিতে পাওয়া তথ্যানুযায়ী টাঙ্গাইল জেলায় ওই সময়ে ৬০ হাজার তাঁত ছিল। এর মধ্যে ৮ হাজার ৩০৫টি পিট তাঁত, ৫১ হাজার ১৪১টি চিত্তরঞ্জন তাঁত এবং ৮৯২টি পাওয়ার লোম তাঁত। সেই ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের তাঁতের সংখ্যা কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৪০২টি। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শিল্পটি। দফায় দফায় সুঁতার দাম বৃদ্ধি, করোনাভাইরাস এবং ওমিক্রনের ধাক্কাসহ কারিগরের অভাবে এই শিল্প হুমকির মুখে। রমজানে চলে ঈদের প্রস্তুতি। শাড়ির চাহিদা মেটাতে রমজানজুড়ে থাকে তাঁতের সেই খঁটখঁটি শব্দ।

তাঁত পল্লীর বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকে সারি-সারি ব্যক্তিগত গাড়ি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে খুচরা ও পাইকারি শাড়ি ক্রেতারা। অথচ ঈদ ঘনিয়ে এলেও এবারে নেই সেই পুরানো চিত্র। জেলার একমাত্র শাড়ির হাট করটিয়ার চিত্রও একই। মধ্যম দামের সুতি জামদানি শাড়ির চাহিদা থাকলেও অন্য শাড়ির চাহিদা অনেকটাই কম।

এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক বছরে ১০০ শতাংশের বেশি সুঁতার দাম বেড়েছে। সুঁতার দাম বৃদ্ধি, করোনাকালীন হোঁচট-এমন কি কারিগরের অভাবে তাঁত শিল্প হুমকির মুখে। এ ছাড়াও সুঁতার দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কিছু শাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমেছে। খরচ কমাতে চিত্তরঞ্জন ও পাওয়ার লোমে শাড়ি উৎপাদন হচ্ছে। কম খরচে একই ধরনের শাড়ি পাওয়ায় হস্তচালিত তাঁত শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলেও সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

শাড়ি ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের লকডাউনে তাঁতে শাড়ি তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। দীর্ঘস্থায়ী লকডাউনে অসংখ্য কারিগর বেকার হয়ে পড়েন। বেঁচে থাকার তাগিদে এই পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় যান তাঁতীরা। এরপর ২০২০ সালের বন্যায় জেলার তাঁত শিল্প আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানিতে কারখানার তাঁত, তাঁতে থাকা সুঁতার ভিম, কাপড় ও সরঞ্জামাদি নষ্ট হওয়ায় বিনিয়োগের লোকসান হয়। এর পরও তাঁতশিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের রমজানের আগ মুহূর্তে তাঁত খুলে। এরই মধ্যে সুঁতা, রঙ, রাসায়নিক কেমিক্যালসহ কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে সেখানেও আরেক ধাক্কা দেয়। প্রথমে তাঁতীরা অস্থায়ী সংকট মনে করলেও ক্রমশ তাঁতপল্লী স্থায়ী সংকটে পড়ে। বর্তমানে ৮৫ শতাংশ হস্তচালিত তাঁত বন্ধ রয়েছে। হস্তচালিত তাঁতের জায়গা দখল করছে পাওয়ার লোম।

তাঁত বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় তাঁতের সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৪ হাজার ৪০২টি। তাঁত মালিকের সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজার ১৫১ জন। এই তাঁত পল্লীতে কেউ শাড়ি বুনেন, কেউ চরকায় সুঁতা কাটেন , কেউ কাপড়ের নকশার সুঁতা কাটেন। আবার সুঁতা রঙ করা, শুকানো, পাটিকরা, সুঁতা কাটা, ড্রাম থেকে ভিমে সুতা পেঁচানো, তানা সাজানো, মালা বা নকশার ডিজাইন তোলা, কাপড় ভাঁজ করা, পেটি করা এবং বাজারজাত ও আনা-নেওয়ার কাজ করে থাকে এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্তরা। পেশাটি নিয়ে তৃণমূলে যারা সম্পৃক্ত তারাও উদ্বিগ্ন।

স্থানীয় অধিকাংশ তাঁতীরা ইতিমধ্যে পেশা পরিবর্তন করেছে। যমুনা চরাঞ্চল ও সিরাজগঞ্জের কারিগররা টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লীর হাল ধরেছে। এসব এলাকা থেকে প্রায় আড়াইশ কারিগর এসে তাঁত পল্লীতে তাঁতের কাজ করছেন।

কাতুলী থেকে আসা বুদ্দু মিয়া, জব্বার হোসেন ও সিরাজগঞ্জ থেকে আসা মোন্তাজ আলী, আবু তাহের, আলম, হোসেন আলী ও রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। এসব কারিগররা জানান, হস্তচালিত তাঁত বিলুপ্তির পথে। অধিকাংশ কারিগর চিত্তরঞ্জনে চলে গেছেন। অনেকে পাওয়ার লোমেও চলে গেছেন। হস্তচালিত তাঁতে শাড়ি বানাতে সময় বেশি লাগে। শাড়ি বানিয়ে যা উপার্জন হয় এতে সংসার চলে না। কিন্তু পাওয়ার লোমে অল্প সময়ে বেশি শাড়ি বানানো যায়। ফলে কারিগররা পাওয়ার লোম ও চিত্তরঞ্জন তাঁতের দিকে ঝুঁকছে। অন্যান্য শ্রমিকদের উন্নয়নে নানা ধরনের সংগঠন থাকে। আমাদের পেশায় কোনো সংগঠনও নেই। যারা নিরুপায় তারাই এখনও এই পেশায় আছে।

প্রবীণ তাঁতী সচীন রাজবংশী বলেন, টাঙ্গাইলে শাড়ির অবস্থা ভালো না। কারিগর পাওয়া যায় না। হস্তচালিত তাঁতে শাড়ি বানাতে বেশি সময় লাগে। সেই অনুযায়ী কারিগরদের মুজুরি দেওয়া যায় না। ফলে কারিগররা চিত্তরঞ্জন ও পাওয়ার লোমের দিকে ঝুঁকছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মহাজনদের কাছ থেকে সুঁতা, তানা এনে কারিগর দিয়ে শাড়ি বানাই। শাড়ি তৈরি করে মহাজনদের দেই। তারাই বিক্রি করেন। সেক্ষেত্রে আমরা ক্ষুদ্র মুজুরি পাই। ইচ্ছে করলে আমরা কারিগরদের মুজুরি বাড়াতে পারি না।

পবন দাসের মতো অনেকেই হস্তচালিত তাঁত বন্ধ করে শুরু করেছেন ছোট্ট পরিসরে পাওয়ার লোমের কারখানা। তিনি জানান, কারিগরের অভাব থেকে মূলত পাওয়ার লোম শুরু। পাওয়ার লোমের কারখানা বিদ্যুৎ চালিত। ফলে অল্প কারিগরে বেশি উৎপাদন সম্ভব।

এদিকে কম কারিগরে অধিক শাড়ি উৎপাদন করতে চায়না থেকে র‌্যাপিয়ার মেশিন এনেছেন বাদল রাজবংশী। হস্তচালিত তাঁতে তিন দিনে তৈরি করা হতো একটি শাড়ি। জানা গেছে, এই মেশিনে একদিনে তৈরি করা হচ্ছে একই মানের ৩টি শাড়ি। কম্পিউটারে ডিজাইন করে দিলে নির্ধারিত ডিজাইনে অটো শাড়ি বানানো যাবে। একই তানায় একাধিক ডিজাইনের শাড়ি বানানো যাবে । নতুন এই মেশিন কারিগরের অভাব দূর করে গুণগত মান বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।

শাড়ি ব্যবসায়ী তারাপদ শাড়ি হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী পলাশ বসাক জানান, এবারের ঈদে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতায় সাধারণ মানুষ তুলনামূলকভাবে কম শাড়ি কিনছে। উৎসবে কেনাকাটার জন্য সবারই একটা বাজেট থাকে। বাজেটের ভেতরে যেটা বেশি জরুরি সেটা আগে কেনেন। অনেকে শাড়ির পরিবর্তে থ্রি-পিস কিনে ঈদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।

তাঁত পল্লীর বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্ত্বাধিকারী সোরহাব হোসেন জানান, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির মূল ব্যবসা ঈদ-পূজাকে কেন্দ্র করে। সারা বছর ব্যবসাটাকে ধরে রাখা হয়। ঈদ বা পূজাকে ঘিরে সারা বছরের উৎপাদিত শাড়ি বিক্রি শেষ হয়। রমজান চলছে। ঈদের আগে সব শাড়ি বিক্রি শেষ হয়। এবার তুলনামূলকভাবে বিক্রি কম। তবে ঈদের আগে বিক্রি বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের তাঁত পল্লীর শাড়ী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বলেন, ঈদের বাজারে এই বছর শাড়ি বিক্রি কম। সুঁতার দাম ১০০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মধ্যম দামের শাড়ির বিক্রয় মূল্য বাড়লেও অন্যান্য শাড়ি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবুও দামি ও কমদামি শাড়ির ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। মধ্যম দামের শাড়ি কিছুটা বিক্রি হচ্ছে। আমার ধারণা ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শাড়ি বিক্রি বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, এটা দেশের অন্যতম কুটির শিল্প। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান, সিয়াম আহমেদ ও মিমসহ একঝাঁক তারকা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রাচুর্যপূর্ণ গানের ভিডিও। শাকিব খানের প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যান আসন্ন বিপিএলে যে ঢাকা ক্যাপিটাল নামে টিম কিনেছে সেই টিমেরই থিম সংয়ের শুটিং ছিল এটা। যাতে শাকিব খানের সঙ্গে নেচেছেন দেশের শোবিজের ১৫ জন তারকা। যাতে স্পর্শিয়া, ইরফান সাজ্জাদ, মিথিলা ও সারিকা সাবাও অংশ নিয়েছেন। অংশ নিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটাল দলের খেলোয়াড়রাও।

এফডিসিতে বিশাল সেট, তাতে শুটিং করছিলেন ঢাকাই ছবির একঝাঁক তারকাশিল্পী। শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষনায়ক শাকিব খানও। প্রথম দেখায় মনে হতে পারে বিগ বাজেটের কোনো সিনেমার শুটিং হচ্ছে বুঝি। নাহ, কোনো সিনেমার শুটিং নয়। গানের শুটিং! অবাক হওয়ার মতোই খবর এটি। কেবল গানের শুটিং? তাতে আবার অংশ নিয়েছেন শাকিব খান, সিয়াম আহমেদ, বিদ্যা সিনহা মিম, ইমন, পূজা চেরি, দীঘির মতো শিল্পীরা। শুধু গানের শুটিংয়ের জন্য তো এই শিল্পীদের এক হওয়ার কথা না।

রাসেল মাহমুদের লেখা গানটি তৈরি করেছেন প্রীতম হাসান। বিএফডিসিতে সেট ফেলে গানটির ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাকিব আহমেদ। কোরিওগ্রাফির কাজ করেছেন বিল্লাল-রোহান।

অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম গানটিতে পারফর্ম করে বেজায় খুশি। পাশাপাশি টিমের দুর্দান্ত জয়েরও আশাবাদের কথা জানালেন। মিম বলেন, সবাই জানেন আমরা রিমার্ক হারল্যান পরিবারের একটি অংশ। প্রতিষ্ঠানটি এখন পুরো বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানটির বিপিএলে টিম হচ্ছে ঢাকা ক্যাপিটাল। আমার বিশ্বাস, নান্দনিক খেলা উপহার দিয়ে এই টিমও সারা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষদের ভালোবাসার টিম হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হবে। ভালো লাগছে টিমের থিম সংয়ের একটি পার্টে আমিও আছি। দারুণ একটি থিম সং হয়েছে। সবকিছুর মতো গানটিতেও চমক রেখেছে হারল্যান টিম। আমার বিশ্বাস, এবারের বিপিএল আসরে সেরা থিম সং হবে এটি।

অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার ভাষায়, গানটি আসন্ন বিপিএল আসরের চোখ ধাঁধানো গান হয়েছে। আমার বিশ্বাস, ঢাকা ক্যাপিটাল এবার চ্যাম্পিয়ন হবে।

থিম সংটির শুটিং শেষ। আগামী ৩০ ডিসেম্বর গানটি ঢাকা ক্যাপিটালের ফেসবুক ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন টিমের অন্যতম দায়িত্বশীল কর্তা নায়ক ইমন।

তিনি বলেন, রিমার্ক হারল্যান সবকিছুই চমক নিয়ে আসছে। এবার বিপিএলেও চমক হচ্ছে ঢাকা ক্যাপিটাল। আর ঢাকা ক্যাপিটালের পক্ষ থেকে প্রথম চমক হচ্ছে এই গান। আশা করি, গানটি সবার ভালো লাগবে এবং আমরা এবার চ্যাম্পিয়ন হব।

মূলত রিমার্ক হারল্যানের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন শাকিব খান। তাঁর নেতৃত্বে এই দলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ঢাকাই শোবিজের অর্ধডজন তারকা। আগেই ঘোষণা হয়েছে, কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে দলটির থিম সং। গানটির শুটিংয়ে তারই প্রমাণ মিলল। শুটিংয়ের পরও ঢাকা ক্যাপিটাল কর্তৃপক্ষ জানালেন গানটি নির্মাণে খরচ হয়েছে কোটি টাকারও বেশি।

গানের শুটিংয়ে অংশ নেওয়া সিয়াম আহমেদ বলেন, আমি রিমার্ক হারল্যানের অ্যাম্বাসাডর হিসেবে আছি। আর ঢাকা ক্যাপিটাল হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের একটি টিম। তাই ঢাকা ক্যাপিটাল আমাদেরও টিম। সেই টিমের সদস্য হিসেবেই থিম সংয়ে পারফর্ম করা। দারুণ একটি গান হয়েছে; যা ঢাকা ক্যাপিটালের শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার জানান দেবে।

Header Ad
Header Ad

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!  

ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন নামের ননভেরিফাইড এক ফেসবুক পেইজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গেল বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে এই হুমকি দেওয়া হয়।

সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের তালিকার কথা উল্লেখ করে ওই পোস্টে বলা হয়, ‘১৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের তালিকা অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের তথ্য এবং তাদের ঠিকানা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। একটিকেও পালাতে দেওয়া হবে না।’

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘যারা এই তালিকায় আছেন, তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সম্পর্কিত সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যাতে পালানোর কোন সুযোগ না থাকে।’

তবে ননভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ হওয়ায় পেজটি ছাত্রলীগ নেতার কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি। পেইজটিতে প্রায় ২ লাখ ফলোয়ার সংখ্যা রয়েছে।

এদিকে, ফ্যাক্ট রিউমার স্ক্যান এখনও নিশ্চিত করে বলেনি বক্তব্যটি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেনের কিনা।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  

লেখক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীকে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত নয় বলে মনে করেন লেখক, কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। কেন তাদের এ নামে রাজনীতি করা উচিত নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা, দলটির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন এই বিশ্লেষক।

ফরহাদ মজহার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর চিন্তাধারাটা কী? আধুনিক ইসলামী জাতিবাদী চিন্তা এই তো? এটা গড়ে উঠছে জাতিবাদীর সময়; ঠিক আছে। আর বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে তারা কী চান? তারা কিন্তু গণতন্ত্র চান। তারা কিন্তু বলছেন জামায়াতে ইসলামী, তারা কিন্তু আমাদের যে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন যেটা বা যে নির্বাচন সংক্রান্ত যে আইন আছে, সেখানে তো তারা দাখিল করেছেন তাদের কর্মসূচি ও গঠনতন্ত্র।

তিনি আরও বলেন, সেখানে তারা কী চাইছেন গণতন্ত্র, গণতন্ত্র চাইছেন তো? তারা যদি গণতন্ত্র চায়, আমার তো কোনো বিরোধ নাই। তবে এখানে কিন্তু আছে। আমি মনে করি, জামায়াতে ইসলামীকে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে বাংলাদেশের রাজনীতি করা উচিত নয়। এটা আমাদের এই বাংলাদেশের তার যে জাতিগত সত্তা বাংলাদেশের যে ইতিহাস, এটা কিন্তু তার বিরোধী। কেন? কারণ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করেনি। এই নামে তারা করেনি ফলে আমি জামায়াতে ইসলামীর যারা নেতা আছেন, তাদের যারা সদস্য আছেন, বিনয়ের সঙ্গে তাদের বলব, অবিলম্বে তারা যেন এই নামটা বদলান।

এই লেখক ও চিন্তক বলেন, বাংলাদেশে বাঙালি জনগোষ্ঠী যারা ৭১ সালের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রটা কায়েম করেছে, এটা কিন্তু এটার সঙ্গে অসংগতি। ফলে আমি মনে করি যে এই নামটা বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই। তারা রাজনীতি অবশ্যই করবে এবং তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। কিন্তু এটা তো এর বাইরে। আমি কখনো দেখিনি তারা আমাকে কিছু বলেছে, যেটা আমার জন্য আপত্তিকর হতে পারে। ইসলাম তো আমার সংস্কৃতির অংশ, ইসলাম আমার দার্শনিক চিন্তায় ভূমিকা রাখবে। আমি যেহেতু একটা মুসলিম পরিবার জন্মগ্রহণ করেছি।

ফরহাদ মজহার বলেন, ইসলাম আমার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম, ফলে ইসলামের দার্শনিক দিকের ইসলামের যে তত্ত্বগত দিক ইসলামের যে ইতিহাস এটা তো আমাকে প্রভাবিত করবে; হ্যাঁ এটা তো আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না কৃত্রিমভাবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!  
জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  
দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার
পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী