আতশবাজি ফুটানো নিয়ে নারীসহ ৯ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ
মাদারীপুরে ইফতারের পরে আতশবাজি ফুটানোকে কেন্দ্র করে নারীসহ ৯ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন-হাসান মোল্লা (২৫), শাহিন মোল্লা (৪৫), লিটন মোল্লা (৪৭), দেলোয়ার মোল্লা (৫০), আদম দর্জি(৩০), কেরামত দর্জি (২৮), শহিদুল মোল্লা (৩২), রাজু ও সাহিদা বেগম।
ভুক্তভোগী পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মস্তোফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা গ্রামে ইফতারের পরে নামাজ শেষে আতশবাজি ফোটান হাসান মোল্লা। এ নিয়ে ইউপি সদস্যের ছেলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন হাসান। পরে ইউপি সদস্য আবুল হাসান দর্জি এটা মিমাংসা করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরে ইউপি সদস্যের ছেলে আক্তার দর্জি ১০-২০ জন লোককে নিয়ে হাসান মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশে কোপাতে থাকলে তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে বাঁচাতে আসলে তখন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৮-৯ জন আহত হন। তাদের মধ্যে হাসান মোল্লার অবস্থা গুরুতর।
ভুক্তভোগী হাসান মোল্লা বলেন, ইফতারের পরে নামাজ শেষে যখন একটি আতশবাজি ফুটাই তখন মেম্বারের ছেলের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এই বিষয় মেম্বার মিমাংসা করে দেন। মিমাংসা করার কিছুক্ষণ পরেই তার ছেলে লোকজন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়। এ সময় আমার চাচা-চাচী ভাই-বোনরা আমাকে বাচাতে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। আমরা তাদের সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল হোসেন দর্জি বলেন, তারা আমাদের লোকজনকে মেরেছে। এখন তারা উল্টা আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য এগুলো বলছে। তাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ ছিল না।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মারামারির ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
এসআইএইচ