সাভারের সিমটেক্সের পরিচালনা পর্ষদ স্থগিত

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গঠন করা সাভারের সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন পরিচালনা পর্ষদ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রজের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মো. সারোয়ার হোসাইন। এর আগে গত ২ এপ্রিল বিএসইসির নির্দেশনার বিপরীতে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মো. সারোয়ার হোসাইনের রিট আবেদন করেন।
রিটের প্রেক্ষিতে এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার।
স্থগিত করা সেই পরিচালনা পর্ষদের সদস্য করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সুবোধ দেবনাথ, দ্যা জুরিস্ট ঢাকা বাংলাদেশের পার্টনার কাওসার আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম, ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা আবিদ আল হাসান ও লে. জেনারেল (অব) শেখ মামুন খালেদকে।
গত ২২ মার্চ পরিচালনা সিমটেক্সের বর্তমান পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপরে চেয়ারম্যানসহ নতুন ওই ৫ জনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় সংস্থাটি।
সিমটেক্সের শেয়ার হোল্ডাররা জানিয়েছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতে তিনি নানা অনৈতিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। যার ফলে ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি কোম্পানিটির কারখানায় ভাড়া করা সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের উপর হামলা করেন। এমনকি গুলিও ছোড়েন। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ আনিসুর রহমান গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন। এই দুর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসি সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেন।
সিমটেক্সের চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) এমএ আবুল শাহজাহান বলেন, যাদের নিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে তাদের তো এ বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই। উনারা এসে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার ফলে উৎপাদন ব্যাহত হবে, বিপণন কর্মকাণ্ড, প্রশাসনিক বিঘ্নতা ঘটবে। অচিরেই কোম্পানীটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আমরা হাইকোর্টের এ রায়কে সাধুবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মোঃ সারোয়ার হোসাইন বলেন, আনিসুর রহমান চেয়ারম্যান থাকাকালীন কোম্পানির অর্থ বিভিন্নভাবে লোপাট করেছেন। সেই সময়র চেয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দ্বিগুণ লভ্যাংশে পৌঁছেছে। এর পরেও তিনি নানা সমস্যার সৃষ্টি করছেন। আসলে তিনি এখন অর্থ লোপাট করতে পারছেন না। তাই ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করছেন।
এসআইএইচ
