‘শেখ হাসিনা যাকে ইচ্ছে মনোনয়ন দিতে পারেন’

কিশোরগঞ্জ -১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ড. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি বলেছেন, সুদূর লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সবকিছু রেখে চলে এসেছি। আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। আমরা খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। বাবার ভালোবাসা বড় ভাইদের কাছে পেয়েছি। পরিবারের কারোর মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। পুরো পরিবারকে এক করে রাখার জন্য বড় চার ভাই বাবার মতো দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, মনোনয়ন যে কেউ চাইতেই পারে। সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম আমার বড় ভাই, তিনি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য ছেলে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ভাই, আমিও উনার বোন। সেই হিসেবে মনোনয়ন চাইতেই পারে। আমরা এক পরিবারের হলেও মানুষ স্বতন্ত্র। মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার সবার আছে। প্রধানমন্ত্রী যাকে ইচ্ছে তাকে মনোনয়ন দিতে পারেন। আমাদের পরিবার থেকে মনোনয়ন দেন আর বাইরে থেকে দেন সম্পূর্ণ জননেত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা।
রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সার্কিট হাউজ হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সৈয়দ পরিবারকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল। মেডিকেল পাস করার পর ১৭ জায়গায় ইন্টারভিউ দিয়েও চাকরি পাইনি। ইন্টার্নির পর তিন বছর কোনো ক্লিনিকেও চাকরি পাইনি। আমার বাবার পরিচয় পাওয়ার পর অনেক হাসপাতালে পরীক্ষাও দিতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে জন্মেছি, আব্বাকে খুব কম কাছে পেয়েছি। রাতে শুনতাম আব্বা বাসায় এসেছে আবার সকালে উঠেই দেখতাম আব্বা চলে গেছে। আমরা জানতাম আব্বা দেশের কাজে ব্যস্ত। আমাদের জন্মের পর থেকেই দেখেছি আমার পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আওয়ামী লীগের রাজনীতি সৈয়দ পরিবারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে।
এসময় সাংবাদিকরা জেলার বিভিন্ন সমসাময়িক সমস্যার কথা বললে তিনি সেগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক বাদল রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সৈয়দ পরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার ছোট বোনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এসজি
