‘জিনিসপত্রের যা দাম, আমরা খামু কী’
এক কেজি বেগুন ৮০ টাকা, ভেন্ডি ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা। তাহলে আমরা খামু কী? জিনিসপত্রের যা দাম মানুষের পেট বাঁচবে কী দিয়া? স্বাধীনতা দিবস নিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের অনুভূতি জানতে চাইলে এসব কথা বলেন জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের ফুলবিক্রেতা আমেনা খাতুন।
২৬ মার্চ (রবিবার) মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের অনুভূতি জানতে কয়েকজন হকার ও দিনমজুরের সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশ-এর। এসময় তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তাদের ক্ষোভ ঝাড়েন।
এসময় ফুলবিক্রেতা আমেনা খাতুন বলেন, অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে আমাদের। ফুল বেইচা যা পাই, তাতে আমার হয় না। এক কেজি চালের দাম ৬০-৭০ টাকা, বাজারে ৭০-৮০ টাকা ছাড়া কোনো সবজি পাওয়া যায় না। এক কেজি বেগুন ৮০ টাকা, ভেন্ডি ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা। তাহলে আমরা খামু কী? জিনিসপত্রের যা দাম মানুষের পেট বাচবে কী দিয়া?
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে জানতে চাইলে রিকশাচালক মোকশেদ মিয়া বলেন, এইডা নিয়া কিছু কওয়ার নাই। জিনিসপত্রের দাম নিয়া কইয়াও আর লাভ নাই। ভাগ্যে যা আছে, তাই পাইছি। যা রোজগার করি তা দিয়া চলবার পারি না। উপর আল্লায় চালাইতেছে। কষ্টে দিন যাইতেছে, কইয়া আর কি লাভ হইবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণে নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বর্তমানে মধ্যবিত্তদেরও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এসজি