‘মানুষই নাই, বেচা-বিক্রি হইব ক্যামনে’
আগে এইরকম (বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস) দিনে ম্যালা টাকা বিক্রি হইত। আইজকা তেমন হয় নাই। শুক্রবারের দিনেও এর চাইতে বেশি বেচা হয়। মানুষই নাই, বেচা-বিক্রি হইব ক্যামনে?- কথাগুলো বলছিলেন রঙিন বেলুন বিক্রেতা জরিনা খাতুন।
রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভেতরে বেলুন হাতে দুঃখ প্রকাশ করে কথাগুলো বলছিলেন তিনি। শুধু জরিনা খাতুনই নয়, স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধে থাকা হকার কিংবা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা এমন কথা বলছেন।
জরিনা খাতুন বলেন, মানুষ আর আগের মতো এসব জিনিসপত্র কেনে না। এসব হইল পোলাপাইনের খেলনার জিনিস, শখের জিনিস। জিনিসপত্রের যা দাম তাতে বাজার-সদাই করতেই মানুষের টাকা শেষ হইয়া যায়। পোলাপাইনের লাইগা শখের জিনিস কিনব ক্যামনে?
ফুলবিক্রেতা জেবুন্নেসা আক্তার বলেন, আগে এইরকম দিনে দুপুরের মধ্যে দুই-তিন হাজার টাকার ফুল বেচা হইত। আইজকা পাঁচ-সাতশ টাকার ফুল বেচতেই কষ্ট হইছে। মানুষ তেমন নাই, কার কাছে বেচমু?
মহান স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানায় দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বরাবর এমন জাতীয় দিবসে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে। তবে এবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। তেমন কোনো ভিড় ছিল না জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে। শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার লম্বা সারিও ছিল না।
এসজি