রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কৃষিমন্ত্রীর আসনে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি ভাঙতে চায় বিএনপি

মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা নিয়ে টাঙ্গাইল-১ আসন গঠিত। টাঙ্গাইল সদর আসনের মতো জেলার রাজনীতিতে এই আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৩টি আসন পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও মধুপুর-ধনবাড়ীর আসনটি হাতছাড়া হয়ে যায়। তখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহেন্দ্র লাল বর্মণকে পরাজিত করেন জাসদ মনোনীত প্রার্থী আবদুস সাত্তার। এরপর থেকে এই আসনটি জয়ে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি।

এ ছাড়াও বিশেষ করে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী এই আসন থেকে বিজয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আবদুর রাজ্জাক এই আসন থেকে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই ঘাটি ভাঙতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি ও তার সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আগামী নির্বাচনের বৈতরনী পার হতে আওয়ামী লীগকে মাত্রাতিরিক্ত কাঠখড় পোড়াতে হবে। নির্বাচনে আসবে কি-না তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেও এই আসনে সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার ব্যাপারে মনোনিবেশ করেছে বিএনপি। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সরকারের (সরকার শহীদ) অকাল মৃত্যুতে সাংগঠনিক কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা এলেও শোককে শক্তিতে পরিণত করে বিএনপি নেতারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

এদিকে ইতিমধ্যে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার সব পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছে। সংগঠনটি নিজস্ব ভোট ব্যাংকের সঙ্গে ক্ষুব্ধ মানুষের ভোট যুক্ত করে বিএনপি আসন পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে। শোনা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান এমপি ও সরকারের কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক। তবে এই আসনে তিনি একাই মনোনয়ন চাইবেন এমনটি নয়।

মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তারেকুল ইসলাম তারেক, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম হিরণও মনোনয়ন চাইবেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ১ বছর আগে থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় আছেন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। ডাকসুর সাবেক সদস্য ও টাঙ্গাইল-১ আসনের সাবেক এমপি খন্দকার আনোয়ারুল হক, দুই নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থী বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

২০০১ সাল থেকে টানা ৪ বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাকের দখলে আছে আসনটি। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সুযোগটা কাজেও লাগিয়েছেন এই নেতা। এরই মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এই আসনে কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করবে বিএনপি। আলোচনায় উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত শক্তিশালী প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করার মতো বিএনপির উপযুক্ত প্রার্থী হচ্ছে নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন।

তবে সাধারণ মানুষের ধারণা, এবার এই আসনে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।

জানা গেছে, এই দুই প্রার্থী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে মোট চার বার ভোট যুদ্ধে মুখোমুখি হবেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মো. আব্দুর রাজ্জাক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সবমিলিয়ে এ আসন থেকে মোট ৪ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

এদিকে মনোনয়ন পাওয়ার আগেই নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অংশগ্রহণ করছেন বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে। নির্বাচন উপলক্ষে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সাটিয়ে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে আলোচনায় আসার চেষ্টা করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিং করছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এবারও পাচ্ছেন নৌকার টিকেট। আওয়ামী লীগ এবারো তাকেই মনোনয়ন দেবেন এবং তিনিই বিজয়ী হবেন।

ধনবাড়ীতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল, মডেল উপজেলা ও থানা ভবন, ফায়ার সার্ভিসসহ নানা উন্নয়নের কথা বলে তারা জানান, সিদ্দিকী ও খান পরিবার কোণঠাসা হয়ে পড়ায় ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাকই কেন্দ্রীয় সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বর্তমানে আওয়ামী রাজনীতির টাঙ্গাইলের অভিভাবক। এ আসনে তার বিকল্প প্রার্থী নেই বলেও জানান বেশিরভাগ দলীয় নেতা-কর্মীরা।

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক বৃহৎ রাজনৈতিক দল। দলে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকতেই পারেন। তবে দল থেকে ফকির মাহবুব আনাম স্বপন মনোনয়ন পাচ্ছেন। তাদের ধারণা, কেন্দ্র দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। আর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ফকির মাহবুব আনাম স্বপন জয়লাভ করবে।

জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন মধুপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সার্জেন্ট (অব.) মোহাম্মদ আলী। এ ছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মধুপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা জহিরুল ইসলাম দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিগত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার নির্বাচনী এলাকা ধনবাড়ী-মধুপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ধনবাড়ীতে মডেল উপজেলা ভবন, ৫০ শয্যার হাসপাতাল, থানা ভবন, ফায়ার সার্ভিস, প্রাণী হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, সড়ক নির্মাণ, মধুপুরে ৭২ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ, মধুপুর অডিটরিয়ামসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দুই উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। বিপুল এই উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে মধুপুর-ধনবাড়ীর প্রতিটি মানুষ। মধুপুর-ধনবাড়ী উপজেলা এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন জানান, তাদের নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়নের মধ্যে দিয়ে তারা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। দলের হাই-কমান্ডের নির্দেশনা মেনে কাজ করছেন। দল তাকে মূল্যায়ন করবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারলে এই আসনে বিএনপি প্রার্থী অবশ্যই জয়ী হবে।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল-১ আসনটি মধুপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন এবং ধনবাড়ী উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আগের তালিকা অনুযায়ী এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪৭ জন।

Header Ad

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম

ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮৩৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। যা আজ ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। এর আগে গত ২১ নভেম্বর ভরিতে ১৯৯৪ টাকা বাড়া‌নো হয়েছিল।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

এর আগে, গত ২১ নভেম্বর সোনার দাম বাড়য়েছিল বাজুস। যা ২২ নভেম্বর কার্যকর হয়, ওই দামে এই দুই দিন সোনা কেনাবেচা হয়েছে। সেই হি‌সে‌বে আজ‌কে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা সোনা এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। সরকারি সফরের অংশ হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে আসার পরিকল্পনা করছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকে শরীরে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর বিদেশ সফর থেকে বিরত রয়েছেন ব্রিটিশ এই রাজা। তবে কিছু দিনের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফর করতে পারেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারেন, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’

Header Ad

নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

যেসব নেতাকর্মী সামনে নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন। তারা সাবধান হন। সামনে ভয়ংকর অন্ধকার দেয়াল আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলার বিষয়ে আইনজীবীর প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পড়ে গেছে, পালিয়ে গেছে। তারা তো বসে নাই, তারা ষড়যন্ত্র করছে। যদি তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়- মামলা তো উঠবেই না বরং নেতাকর্মীদের নামে জ্যামিতিক হারে ২০টা মামলা হয়ে যাবে। সেই সম্ভাবনাও আছে। সেই সম্ভাবনাকে যদি নস্যাৎ করে দিতে হয়, তাহলে আজকে থেকে আপনাদের প্রত্যেকেই সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের একটাই টার্গেট হতে হবে। জনগণ, জনগণ অ্যান্ড জনগণ। এর বাইরে যদি কিছু চিন্তা করেন। তাহলে পতিত স্বৈরাচার সফল হবে। তারা সফল হলে আইনজীবী সহকর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা আপনাদের মিটবে না। বরং মাথার ওপরে আরও ১০টি, ২০টি মামলা চেপে বসবে। আপনাদের নিজেকে যদি বাঁচাতে হয় তাহলে উপায় একটাই- জনগণের আস্থা অর্জন করেন। আপনার পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করতে হলে উপায় একটাই জনগণের আস্থা আর্জন করেন।

তিনি বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা আছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। বিএনপির বাইরে অন্য সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে, তারা যথাযথভাবে এটা দেখেনি। পতিত স্বৈরাচার সরকার প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য ইচ্ছা করেই করেনি। আমরা সময়মতো অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ করবো। আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়েই কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণের ইচ্ছে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গবেষণায় উঠে আসছে বাংলাদেশের অনেকাংশ, অর্ধেক বা তার কম অংশ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এই দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। খালেদা জিয়া সরকারের সময় আমরা বৃক্ষমেলা করতাম। আমাদের যেভাবেই হোক, এই কর্মসূচি আবার শুরু করতে হবে। সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে বৃক্ষরোপণের জন্য। গাছ প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। আগামী দিনে আমরা সুযোগ পেলে পাঁচ বছরে আমরা পাঁচ কোটি বৃক্ষরোপণ করব।

এর আগে সকাল ১০টায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এসময় বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মাহাদী আমিন।

কর্মশালায় আলোচনা করেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা ও কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিব। সভাপতিত্ব করেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত।

বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী