‘সেনানিবাসের ফলে এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। সেনাবাহিনীর উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। হাওরাঞ্চলে রাস্তা নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।’
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিঠামইন সদরের ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ২৭৫ একর জমির উপর নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সেনানিবাসের আধুনিকায়নে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সেনানিবাসের ফলে এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার প্রসার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সেনানিবাসে স্কুল হবে, কলেজ হবে, চিকিৎসা কেন্দ্র হবে। এরই মধ্যে রাস্তাঘাট করে দিয়েছি এবং নির্দেশ দিয়েছি যে প্রতিটি হাওর অঞ্চল, বিল, জলাভূমি অঞ্চলে প্রতিটি রাস্তা হবে এলিভেটেড। এর ফলে বর্ষাকালে পানি চলাচল অব্যাহত থাকবে। মাছ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে না। নৌকা চলাচল অব্যাহত থাকবে। আবার মানুষের যোগাযোগ সুবিধা হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ আরো উন্নত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলাই ছিল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রতিরক্ষা নীতিমালা করে দিয়ে যান। আমরা তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল্ড ২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করেছি। আমরা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছি।’
এ সময় বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ভাব যেন আমাদের ওপর না আসে সেজন্য আমাদের সতর্ক হয়ে চলতে হবে। আমাদের সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে, সঞ্চয়ী হতে হবে।
দীর্ঘ দুই যুগ পর ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে সকাল ১১টায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনানিবাসের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর তিনি সেনানিবাস প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন করেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের কথা তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন।
এ ছাড়াও দুপুরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে কামালপুরের বাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিবেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির পারিবাবিক সূত্রে জানা গেছে,হাওরের বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ ও অষ্টগ্রামের বিখ্যাত পনির দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করা হবে।
এরপর বিকাল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশ শেষে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে মিঠামইন ছেড়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তখন আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর মিঠামইন সফরে আসলেন তিনি।
এসআইএইচ
