মাতৃভাষা দিবসে শ্রীপুরে বিজ্ঞান মেলা
মাতৃভাষা দিবস আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, গর্ব এবং চেতনার নির্দিষ্ট দিন। বিজ্ঞান আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সময়। এ দুটোকে কাজে লাগিয়ে আমরা নতুন ও নিশ্চিত ভবিষ্যত গড়ার প্রত্যয় পেয়েছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিজ্ঞান মেলায় উদ্ভাবন ঘটিয়ে কথাগুলো বলেন নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিয়া তাসনুভা আলভী। তার সাত সহপাঠী মিলে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বর্জ্যরে পরিবেশ বান্ধব ব্যবহার ঘটানোর প্রযুক্তিগত প্রকল্প উদ্ভাবন করে তারা।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা এলাকায় আবেদ আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থী আতকিয়া তাসনিম বুশরা বলেন, দুর্ঘটনায় যেন কারো প্রাণহানি না ঘটে সেজন্য আমরা স্বয়ংক্রিয় সড়ক সংকেত উদ্ভাবন করেছি, যা গাড়ী প্রবেশ, বের হওয়া, আশপাশে থাকা ইত্যাদি বিষয়ে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীকে সংকেতের মাধ্যমে অবহিত করবে। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসনিয়া তাহসিন আকন্দ আদৃতা বলেন, স্কুলে এ উদ্যোগ আমাদেরকে বিজ্ঞান মনস্ক হওয়ার এবং মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছে।
আবেদ আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান জানান, মাতৃভাষা দিবসটিকে ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদযাপন করতেই শিক্ষার্থীদের জন্য এ আয়োজন। বিদ্যালয়ে ৯ শ'র বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৪২২ জন শিক্ষার্থী মেলায় তাদের স্ব স্ব প্রকল্প উপস্থাপন করেছে। মোট ৩২টি স্টলে ৬৪টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক দুলাল মিয়া বলেন, মাত্র এক সপ্তাহের আয়োজনে শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তারা তাদের মেধার পরিচয় দিয়েছে।
অভিভাবকদের পক্ষে আবুল কাশেম বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করার সুযোগ পেয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক বিজ্ঞান মেলায় বিদ্যালয়ের মাত্র কিছু শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। কিন্ত অভ্যন্তরীণ এ উদ্যোগে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পেল। মেলায় অংশ নেওয়া ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি শ্রেণীতে তিনটি করে পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।
মেলায় বিচারকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কাউন্সিলর অমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সৃষ্টি দেখে বিষ্মিত হতে হয়েছে। তাদের উদ্ভাবনী শক্তি আমাদেরকে বিজয়ী নির্ধারণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ শিশুরাই আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে ভূমিকা রাখবে।
এএজেড