টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কারিগর আটক
সাড়ে তিন লাখ টাকাতেই মিলবে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ, মাস শেষে পাবেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত ভাতাও-এমন লোভনীয় প্রস্তাবের ফাঁদ পেতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক প্রতারককে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৪। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী।
আটক প্রতারকের নাম ইকবাল হাসান (৩৮)। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসুদপুর উপজেলার গারলগাতি এলাকায় মো. আফসার উদ্দিন মুন্সির ছেলে। বর্তমানে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার স্থানীয় মতিউর রহমানের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, আটক ইকবাল তার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে- এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগী সাব্বির আহমেদেকে তার চাচার নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রলোভন দেখায়। পরে গত বছরের ১৫ নভেম্বর ভুক্তভোগী সাব্বির তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির কাগজপত্র হাতে পাবার শর্তে স্ট্যাম্প করে আরো তিন লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। কিন্তু গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতারক ইকবাল ফোন দিয়ে তার কাজ হয়ে গেছে বলে আরো নগদ ২ লাখ টাকা দাবি করলে ভুক্তভোগীর মনে সন্দেহ জাগে। পরে তিনি বিষয়টি র্যাব-৪ কে জানালে তারা গতকাল দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে বাইপাইল এলাকার নিজ বাসা থেকে প্রতারক ইকবালকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটক ইকবাল প্রতারক চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন যাবত তার সহযোগীকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোমেনুল ইসলাম বলেন, গতকাল র্যাব অভিযান চালিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরির কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাব্বির আহমেদ থানায় দুইজনকে আসামি করে একটি প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আজ দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসআইএইচ