সাভারে জাল টাকার কারখানায় র্যাবের অভিযান, গ্রেপ্তার ২
সাভারের পৌর এলাকায় একটি জাল টাকা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় জাল টাকার নোট ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে একই দিন বিকালে সাভারের পৌর এলাকার মজিদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাগুরা জেলার বাসিন্দা মো. মহিবুল্লাহ (২৩) ও রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ আল তুহিন (২১)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, সোমবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল সাভারের মজিদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাল নোট তৈরি চক্রের মূল হোতা ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আটক আসামিদের কাছ থেকে ৪৯ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোট, ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি ল্যাপটপ, ১টি পিস্তল লাইটার, ২টি ছরি, ১টি প্রিন্টার, ১টি পেন ড্রাইভ এবং নগদ ৬ হাজার ৭৬০ টাকাসহ জাল নোট তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদী জব্দ করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্ন লোকদের কাছে স্বল্প মূল্যে জাল নোট বিক্রি করে আসছে। এই চক্রটির মূল হোতা গ্রেপ্তারকৃত মো. মহিবুল্লাহ এবং অন্যতম সহযোগী মো. আব্দুল্লাহ আল তুহিন । তাদের তৈরি এই জাল নোট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে এই চক্রের সঙ্গে আরও ১৫-২০ জন সদস্য জড়িত রয়েছেন। পলাতক এই সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৪ এর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেই সঙ্গে এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও র্যাবের জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসআইএইচ