পিঠার স্বাদ নিতে মেলায় ভোজন রসিকদের ভিড়
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার বাহারি পিঠা। একসময় পাড়া-মহল্লা ছোট-বড় সবাই পিঠা খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠত। পিঠা সবারই পছন্দের। বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে পিঠা দেশের মানুষের অনুভূতিতে মিশে আছে।
ঐতিহ্যের ধারা বজায় রাখতে কিশোরগঞ্জের আখড়া বাজারের ঝর্ণা ধারা প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। নতুন ধানের পিঠার স্বাদ নিতে ভোজন রসিকরা ভিড় জমিয়েছেন পিঠা মেলায়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ছুটির দিন হওয়ায় কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় আয়োজিত এ পিঠা উৎসবে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভিড় জমিয়েছেন মানুষজন।
ছুটির দিন হওয়ায় পরিবার নিয়ে মুখরোচক বিভিন্ন জাতের পিঠা খেতে এসেছেন অনেকে। মেলায় ভাপা পিঠা, শাহি ভাপা পিঠা, দুধ চিতই, ঝাল পুলি, গরুর মাংসের সমুচা, মুরগির মাংসের সমুচা, ছানার পুলি, পাটিসাপটা, নারকেলের তিল পুলি, ক্ষীরে ভরা পাটি সাপটা, সুজির পোয়া পিঠা, নারিকেলের নাড়ু, নকশি পিঠা,কলা পিঠাসহ বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু পিঠার সমাহার।
পরিবার নিয়ে পিঠা মেলায় ঘুরতে আসা আনিসুজ্জামান খোকন বলেন, চাকরির ব্যস্ততার কারণে বাসায় পিঠা বানিয়ে খাওয়া হয়নি। এখানে এসে পিঠা খেয়ে বাসার পিঠার মতোই স্বাদ পেয়েছি। এরকম আয়োজন প্রতিবছর হলে পিঠার স্বাদ নেওয়া যায়। কথায় আছে 'পরের হাতে বানানো পিঠা, দাঁতে লাগে মিঠা'।
জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ (নাসিব)-এর উইমেন কাউন্সিল জেলা শাখার আয়োজনে পিঠা উৎসবে মোট ২০টি স্টল রয়েছে। পিঠা উৎসবের আমেজে মেতেছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা মেলা। আগামী ২৯ জানুয়ারি রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। পিঠা মেলায় বিভিন্ন স্টলে প্রায় ১০০ জাতের পিঠা রয়েছে।
এসজি