ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কয়েক ঘণ্টায় ১৬ দুর্ঘটনা

অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ও ভূঞাপুরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ১৮ জন আহত ও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর: ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার পোষ্টকামুরী চরপাড়া, দুল্যা, ইচাইল, কুরনী, শুভূল্যা ও ধল্যা নামকস্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। অ্যাম্বুলেন্স, মালভর্তি ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেট কার, যাত্রীবাহী বাসসহ কমপক্ষে ১৬টি যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হয়। এতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।
মির্জাপুর গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লাহ টুটুল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মহাসড়কের ধল্যা-মনসুর এলাকায় ঢাকামুখী লেনে পিকআপভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি বাসের হেলপার। তার মরদেহ থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে কুয়াশার কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই দিন সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ধল্লা থেকে মির্জাপুর চরপাড়া এক কিলোমিটারে অন্তত ১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ কাজ করছে।
ভূঞাপুর: ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়কের উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের জগৎপুড়া এলাকায় ড্রাম ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষে ইশরাক (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় ইশরাকের বাবা আবু সাঈদ (৫০) ও সোলায়মান (৫৫) নামে আরও ২ জন আহত হয়েছে। নিহত ইশরাক জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার থল গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। সোলায়মান কুষ্টিয়া ভেড়ামারা মল্লুক চাঁনের ছেলে। তিনি যমুনা ফার্টিলাইজার সার কারখানায় কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, সকালে ইশরাক তার বাবার সঙ্গে সরিষাবাড়ী থেকে সিএনজিতে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, পথিমধ্যে জগৎপুড়া এলাকায় পৌঁছালে ড্রামবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে ইশরাকের মৃত্যু হয়। এতে তার বাবাসহ আরও এক সিএনজি যাত্রী আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ট্রাক জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে যায়।
এসজি
