'নৌকা নয়, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিলাম'
'আপনারা জানেন, এখানে আমার নামের নাম মাসুদুল হক মাসুদ। আপনাদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, বিগত সময়ে আপনারাই কিছুদিন আগে, এক বছর হয় নাই, তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচিত করেছেন, আমরা তাকে সমর্থন দিয়েছি। যদিও দলীয় মনোনয়ন উনাকে দেওয়া হয়নি, দলীয় মনোনয়ন যেহেতু আমার একক কার্যক্রম না। এটা একটা সাংগঠনিক বিষয় থাকে।
'তারপরে এমপি সাহেবের একটা বিষয় থাকে। যে কারণে আমাদের পক্ষ থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হয় নাই। তবে, আমাদের নৈতিক সমর্থন ছিল এবং আমরা আমাদের নৈতিক সমর্থন দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান বানাইছি। আর যদি সরাসরি করাইতাম তাহলে কি হইত, তাইলে ভোটে মানে, নির্বাচনে কি হতো দেখতেননি। আমরা আশা করি ওনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আপনাদের খেদমত করার জন্য, দলীয় কার্যক্রম করার জন্য। আপনারা তাকে সহযোগিতা করবেন, পাশে থাকবেন এবং আমরা তার সাথে আছি...'।
গত ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কৃত ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ আয়োজিত সিরাজকান্দি বাজারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ এসব কথা বলেন। তার বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভ হলে তা মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বসে।
এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানান, বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে দেনদরবার করছেন। এদিকে, গতকাল সোমবার ২২ আগস্ট নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে পুর্নবাসন স্কুল মাঠে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল-২ (ভুঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান দাদু ভাইসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের উপস্থিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হকের মাসুদকে সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির বলেন, নিকরাইল ইউনিয়নে যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল তার কোন রাজনৈতিক ব্যাকরাউন্ড ছিল না। টাকার বিনিময়ে মাসুদ পদ কিনে বালুর ব্যবসা করছে। তার কাজই হচ্ছে বালুর ব্যবসা করা। পরে আওয়ামী লীগের পিঠে ছুড়ে মেরে চলে গেছে। আপনাদের বিভিন্ন যড়যন্ত্রের কারণে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যড়যন্ত্র করেই নিকরাইলে নৌকাকে হারানো হয়েছে।
এএজেড