সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সিনাবহ খন্দকার পাড়া এলাকায় ঈদের আগের দিন বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে শতাধিক বসতঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের পর এলাকাজুড়ে নেমে আসে কান্নার রোল, হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঈদের আনন্দের বদলে শত শত মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।

রবিবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা বন বিভাগের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুর দিকে এলাকাবাসী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালিত হয়। চারটি বুলডোজারের সাহায্যে একে একে শতাধিক বসতঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই ঘরের ভেতর থেকে আসবাবপত্র বের করার সুযোগ পাননি, মালামালসহ ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বন বিভাগ মাত্র একদিন আগে শনিবার বিকেলে মাইকিং করে জানায় যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এত কম সময়ের মধ্যে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি, ফলে তারা অসহায় অবস্থায় পড়েছেন।

এক ভুক্তভোগী বলেন, "কাল ঈদ, আমাদের ঘরে একমুঠো চাল পর্যন্ত নেই। আমরা ছোট ছোট সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তার আগেই আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিলো।"

আসমা বেগম নামে আরেকজন জানান, "আমরা ঘরবাড়ি তৈরির সময় বন বিভাগের লোকদের সাথে আলোচনা করেই কাজ করেছি। এখন তারা হঠাৎ এসে আমাদের সবকিছু গুঁড়িয়ে দিলো।"

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন সিনাবহ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বনভূমি দখল করে বসবাস করা হচ্ছিল। দখলদারদের সরে যেতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, এরপরও তারা দখল ছাড়েনি বলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

চন্দ্রা রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, "সরকারের নির্দেশক্রমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে ঈদের আগের দিন অভিযান চালানো কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ঈদের পরও আমরা পুনরায় অভিযান পরিচালনা করবো।"

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "যারা ঘর তুলেছে, তারা টাকা দিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো টাকা নেইনি।"

অনেক ভুক্তভোগীর দাবি, তাদের জমির বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বন বিভাগ কোনো যাচাই না করেই তাদের বসতভিটা ভেঙে দিয়েছে। আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তি বলেন, "আমার বাড়ি শত বছরের পুরোনো, আমার জমির কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। কিন্তু তারা কিছু না দেখেই আমার ঘর ভেঙে দিয়েছে।"

উচ্ছেদ অভিযানের সময় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বন বিভাগের লোকজনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে বন বিভাগের এফডিএম (নৌ চালক) মিনহাজির ওপর হামলা চালানো হয়, এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে বন বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

বন বিভাগ জানিয়েছে, দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বনভূমি পুনরুদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। তবে ঈদের আগের দিন এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান কতটা ন্যায়সংগত, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অন্তত এক সপ্তাহ সময় পেলে তারা ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে পারত বলে মনে করছেন অনেকে।

স্থানীয়দের দাবি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের অভিযানের সময় ও প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করে। বিশেষত ধর্মীয় উৎসবের সময় এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের ওপর চরম দুর্ভোগ বয়ে আনে।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা