বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদল নিয়ে পোস্ট করায় ইবি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া

ছবিঃ সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা এবং পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে ক্যাম্পাসে ধাওয়া দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনায় খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে তাকে একটি গাড়িতে করে নিরাপদে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধাওয়াকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন নিয়েও সমালোচনা করে সম্প্রতি শহীদুল ইসলাম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
এদিন বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনে ভর্তিসংক্রান্ত একটি বৈঠকে অংশ নেন সব বিভাগীয় সভাপতি। এতে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন জানতে পেরে একদল শিক্ষার্থী সভাস্থলের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আওয়ামীপন্থি অন্য শিক্ষকরা সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
তবে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রশাসন ভবন থেকে বের হয়ে ভ্যানে করে বিভাগের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তাকে পেছন থেকে কিছু শিক্ষার্থী ধাওয়া দিলে দ্রুত তিনি নিজের অফিস রুমে চলে যান। ধাওয়াকারীরা বিভাগীয় সভাপতির কক্ষের সামনে গিয়েও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘তার (শহীদুল ইসলাম) বিরুদ্ধে বিতর্কিত কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আপাতত কিছুদিন তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপদ থাকবেন বলে মনে করছি। তাই তাকে বাইরে পৌঁছে দিলাম।’
ধাওয়াকারীদের অভিযোগ, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদুল ইসলাম প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন। ওই সময় শাপলা ফোরামের ব্যানারে করা মিছিলে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি এখনও আওয়ামী লীগের পক্ষে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চলিয়ে যাচ্ছেন। নতুন করে গত ৭ মার্চেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট করেন তিনি।
এ বিষয়ে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত ছয়টি আবাসিক হল ও স্থাপনার নাম ৫ মার্চ পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন করা হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের নামে। মুসলিম লীগ নেতা শাহ আজিজুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিলেন। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।
