বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বেনাপোলে আছিয়ার ধর্ষকদের দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

মাগুরার মেয়ে আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বেনাপোলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে শার্শা উপজেলা ঐক্য স্বেচ্ছাসেবী পরিবার।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বেনাপোল হাইস্কুলের সামনে সংগঠনটির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ অংশ নেন। তারা ধর্ষকের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে ফাঁসির দাবি জানান এবং দেশে ধর্ষণ প্রতিরোধে আইনি ব্যবস্থা আরও কঠোর করার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন যশোররিয়ান ব্লাড ফাউন্ডেশনের পরিচালক আব্দুর রহমান সুমন, ডোনেশন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাব্বি হোসেন, টিম মানবতার প্রতিষ্ঠাতা মামুনসহ আরও অনেকে। তারা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে হলে ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোর ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা বলেন, সমাজে ধর্ষণের মতো অপরাধের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়া, ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের মানসিক ও সামাজিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তারা।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার কারণে অনেক অপরাধী পার পেয়ে যায়, যা ভবিষ্যতে আরও বড় অপরাধের জন্ম দেয়।

বক্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ দমনে আরও কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে, যাতে অপরাধীরা কোনোভাবেই পার না পায়।

মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত সকলে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার ও এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

Header Ad
Header Ad

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (ইনসটে অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম)। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে আগামীকাল (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য উক্ত শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মেইলটি করা হয়।

মেইলে উল্লেখ করা হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৫ ব্যাচের সেমিস্টার পরীক্ষা চলছে। এই সেমিস্টারের প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এই কোর্স না শুধু প্রতিটি কোর্সের পরীক্ষারই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছ এক নারী শিক্ষার্থীকে এগুলো দিয়েছেন। মেইলের সঙ্গে বিগত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত কিছু পিডিএফ সংযোজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি পিডিএফের মেটাডাটা উল্লেখ করা হয়।

মেটাডেটা বিশ্লেষণে শিক্ষক কতৃক সরবরাহ করা পিডিএফ ফাইল তৈরির ডিভাইস, তারিখ উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, 'এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।'

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, 'আমরা উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছি। তবে এই বিষয়টি যেহেতু বেনামি মেইল থেকে আসা তাই আমরা সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না যদি শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ না দেয়।'

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও প্রভাষক জাকিয়া জাহান মুক্তা বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবো। অভিযোগটি ভিত্তিহীন নাকি সত্য, তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।'

পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর আমরা শিক্ষকরা মিলে এই ব্যাচের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নূরুল করিম চৌধুরী বলেন, 'প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে এ সংক্রান্ত একটি মেইল পেয়েছি। আমরা ঐ বিভাগের চেয়ারম্যানসহ কথা বলেছি। আগে বিভাগের একাডেমিক কমিটি বিষয়টি দেখবে। তারপর এই বিষয়ে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, 'আমাদের কাছে এখনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। বিভাগ বা শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।'

Header Ad
Header Ad

লাকিকে গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন

ছবি: সংগৃহীত

গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তার ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারসহ পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী এ ঘোষণা দেন।

শরিফ ওসমান হাদী অভিযোগ করেন, গত ১৪ বছরে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আলেমদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার মতে, লাকি আক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করা না হলে এই আন্দোলন চলবে।

ইনকিলাব মঞ্চের ঘোষিত পাঁচটি দাবি হলো:

১. ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা এবং মিথ্যা মামলাকারীর বিচার করা।

২. পুলিশের উপর হামলাকারী ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মব তৈরি করা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা।

৩. শাহবাগের কসাই লাকী আক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করে ২০১৩ সালের সব ষড়যন্ত্র উন্মোচিত করা।

৪. জাতিসংঘকে অন্তর্ভুক্ত করে শাপলা চত্বরে ও অন্যান্য গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করা।

৫. জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবেদ, ঢাবি শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা আক্তার ঝুমা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের। তারা দাবি করেন, শাহবাগের আন্দোলনকারীরা নতুন করে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে এবং এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি পূরণ না হলে তারা এই আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।

Header Ad
Header Ad

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে। বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সই করা এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান অভিযোগ করেন যে, ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকা অনুমোদিত প্রেস থেকে ছাপানো হচ্ছে না, বরং প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে। তার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ডিক্লারেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

অফিস আদেশ অনুযায়ী, ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে থাকা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে। ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩-এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পত্রিকাটির প্রকাশনার অনুমোদন এখন থেকে আর কার্যকর থাকবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
লাকিকে গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো
টাঙ্গাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: ১ লাখ টাকায় সালিশের রায়, অভিযুক্ত গ্রেফতার
শেখ হাসিনা-ইমরান এইচ সরকারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১৯ দেশের মিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন
ধর্ষণচেষ্টার কারণে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে খুন: পুলিশ
বাম্পার ফলনেও লোকসানের মুখে আলুচাষীরা
জাতীয় নাগরিক পার্টি নির্বাচন বিলম্ব করতে গোলমাল করছে: জয়নুল আবদিন ফারুক
যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ
পাঁচ দফা দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘটে চিকিৎসকরা, রোগীদের ভোগান্তি
৩ দিন পর গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সালমান-আতিকুল-মহিবুল
আজ ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর অনেক এলাকায়
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে 'ডাক্তার' লেখা যাবে না: হাইকোর্ট
মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি, দুবার বন্ধ হয়েছে হৃৎস্পন্দন
খাদ্য অধিদপ্তরে ১৭৯১ জনের বিশাল নিয়োগ, এসএসসি পাসেও আবেদনের সুযোগ
বিরামপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজন আটক