টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সালিশি বৈঠকে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা বিএনপির এক নেতাসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় শোলাকুড়া বাজারের প্রায় ৭০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়, যার ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সাকরাইল ও সুলিয়া গ্রামের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, একটি ওরশকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই মধ্যে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকের সময় হঠাৎ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদের মাথায় ইটের ঢিল ছোড়া হয়। এরপরই মুলিয়া ও সহদেবপুর গ্রামের মানুষজন সাকরাইল গ্রামের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করা হয় এবং একাধিক দফায় সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—উপজেলা বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, তানভীর, বিপ্লব, জয়, জাহান, শাহিনুর ইসলাম ও শফিকুর রহমান।
এ বিষয়ে আহত বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ বলেন, "আমি সালিশ বৈঠকে বসার পর কিছু ছেলে হঠাৎ আমার মাথায় ইটের ঢিল মারে। রক্ত বের হতে দেখে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যাই। আমার সমর্থকদের মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছে।"
এ ঘটনায় কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
