মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আম গাছের ডাল চুরি করলো ভারতীয়রা, ক্ষমা চাইলো বিএসএফ  

ছবিঃ সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশিদের আম গাছের ডাল কাটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বিএসএফ ও ভারতীয়রা।

এ সময় বিজিবি স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তাদের এই কার্যক্রমকে রুখে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে দুইজনের নাম নিশ্চিত করেছে এলাকাবাসী।

আহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঝাইটন আলীর ছেলে আসমাউল (১৮) এবং একই এলাকার বাবু (২৬)।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরণগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি জানিয়েছে, বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঘটা ঘটনায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ।

স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে বিএসএফ ও শতাধিক ভারতীয় মিলে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে এবং বাংলাদেশ প্রান্তের ১২ থেকে ১৫টি আম গাছ কেটে ফেলে। পরে বিজিবির টহল দল মাইকিং করে স্থানীয়দের সহযোগিতার আহ্বান জানান।

এ সময় স্থানীয়রা বিজিবিকে সহযোগিতা করতে সীমান্ত এলাকায় ছুটে আসেন। দুই পাশে উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিএসএফ সদস্যরা ৪টি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। স্থানীয় ভারতীয়রা পাথর ছুড়ে মারে। এতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। পরে ভারতীয়রা কাটা গাছ ও ডালপালা ফেলে পালিয়ে যায়।
বিনোদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির সহযোগিতার মাইকিং শুনে বিজিবিকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসি।

এ সময় বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকরা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, ককটেল ও পাথর নিক্ষেপ করে। এছাড়া ভারতীয়রা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার স্লোগান দেয়। পরে আমাদের পাল্টা ধাওয়ায় তারা কাটা গাছ ফেলে পালিয়ে যায়।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঘটা ঘটনায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ। বর্তমানে পরিস্থিতির স্বাভাবিক আছে।

Header Ad
Header Ad

রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ রাজি হয়েছে। তবে শর্তাবলির বিষয়টি পরিষ্কার করেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রাখাইনের মানবিক করিডর দেয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির এ আহ্বান জানান।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ বিষয়টি জাতির সামনে স্পষ্ট করা দরকার। কারণ এর সঙ্গে অনেক নিরাপত্তা বিষয় জড়িত থাকতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর দেয়ার বিষয়ে ঢাকা রাজি বলে জানান।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে।...যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করব।’
তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশ্য ‘মানবিক প্যাসেজের’ শর্তাবলি প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, মিয়ানমারের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যা কিছু করা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে।

রাখাইনে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্যাভাবসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার সংকট দেখা দেয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ বাংলাদেশের কাছে ‘মানবিক প্যাসেজ’ চায়। বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গত মার্চে ঢাকা ও কক্সবাজারে সফরের সময় বাংলাদেশকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানান।

রাখাইন ও আশপাশের এলাকার স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সংগ্রামরত ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের (ইউএলএ) অস্ত্রধারী শাখা উইং আরাকান আর্মি ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গত বছর (২০২৪) ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই শুরু করে। রাজধানী সিটোয়ে ও বন্দরনগরী চকপু ছাড়া রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।

Header Ad
Header Ad

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা শুরুতে ১২তম ও প্রধান শিক্ষকরা দশম গ্রেড পাবেন। ফলে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে শিক্ষকদের।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রমতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি’র সুপারিশ এবং আদালতের রায়ের আলোকে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সুপারিশ করা উন্নীত গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বেতন স্কেল উন্নীতকরণের চেকলিস্ট অনুযায়ী প্রস্তাব দিতে অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অধিদপ্তরকে এ চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, পরামর্শক কমিটি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শতাধিক সুপারিশ করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে কমিটি ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত করে শুরুর পদ ‘শিক্ষক’ করার সুপারিশ করা হয়ে। এক্ষেত্রে শিক্ষক হিসেবে শুরুতে বেতন গ্রেড হবে ১২তম।

এরপর দুই বছর পর চাকরি স্থায়ীকরণ ও আরও দুই বছর পর তারা ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হবেন। তখন তাদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম। এছাড়া পরামর্শক কমিটি প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড দশম করার সুপারিশ করে।

এরই মধ্যে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড দশম করতে বলা হয়েছে। এখন পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ও আদালতের রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, নিয়মানুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সবার উদ্দেশে একটি ছোট ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উমামা ফাতেমা তাঁর ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।

তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, সবার উদ্দেশ্যে একটা ছোট ঘোষণা, আমি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমার অনেক পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এই দলটির সঙ্গে আছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই বলে জানান উমামা। তাই এনসিপি সংক্রান্ত পরামর্শ, সাংগঠনিক আলাপ বা প্রস্তাবনা আমার কাছে উপস্থাপন না করার অনুরোধ রইল। এতে আপনার, আমার দুইজনেরই সময় বাঁচবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল
দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি
ভারতের সামরিক আক্রমণ আসন্ন,পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি পাকিস্তানের
কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি
নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম