রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মাইকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও পরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দুইজন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে মাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বালিয়া গ্রামের মাঠে গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। আগের দিন একই মাঠে আরেকটি অনুষ্ঠান করেন মাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে রফিকুল ইসলাম ও আসলাম হোসেনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
বুধবার ওই অনুষ্ঠানে মাইকে “যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই” গানটি বাজানো হয়। এতে বিএনপির আরেক পক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ হন। হট্টগোল তৈরি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু রাতে এ নিয়ে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
আসলাম হোসাইনের অভিযোগ, রাতে তার বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এতে তার দুই ভাই আহত হয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। রফিকুল ইসলাম বিভেদ তৈরির জন্য আওয়ামী লীগের লোকজনদের নিয়ে বিএনপির দলীয় ব্যানারে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। আওয়ামী লীগের লোকজনদের নিয়ে তিনি হামলা করেছেন।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর গান বাজানোর বিষয়টি তার জানা নেই। এ রকম গান বাজানো হয়নি বলে জেনেছেন। যদি বাজেও সেটাও প্রতিপক্ষের ইন্ধনে হতে পারে। হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মজিদ জানান, পুলিশ সন্ধ্যায় গিয়ে মাইকসহ অপারেটরকে থানায় নিয়ে এসেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (অপারেটর) জানিয়েছেন ভুল করে মাইকে বঙ্গবন্ধুর গান বাজিয়েছেন। মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা আসলাম হোসেন থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন।