২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু। তার খালাসের খবরে রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরম্ন করে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদড়্গণি করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম শাপলা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিন্টু মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান তালুকদার গিয়াস, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আলমগীর হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রাজিব হোসেন কফিল, নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাগীর হোসেন মন্ডল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর থেকেই সে কারাগারে আটক ছিলেন। তিনি বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বড় ভাই।
আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বাবরের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী শিশির মনির।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাক ভর্তি অস্ত্রের চালান আটক করা হয়। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা হয়।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় দেন। ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা পরেশ বড়ুয়া, তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর আসামিদের আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে গত ২৪ ডিসেম্বর বাবরসহ ছয় আসামি খালাস পান। আজ ওই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলাতেই খালাস পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন দিতে ব্যর্থ হলে একসঙ্গে মিলে যেভাবে হাসিনার পতন ঘটিয়েছি প্রয়োজন হলে সেভাবে আবার প্রোক্লেমেশন আদায় করে নেব’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রোক্লেমেশন দিতে আপনাদের বাধা কোথায়? কারা বাধা দিচ্ছে সেগুলো আপনারা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। যদি ব্যর্থ হন তাহলে উপদেষ্টার কাতার থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসুন।’
মঙ্গলবার দুপুরে (১৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে পথসভা ও গণসংযোগে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা যাদের উপদেষ্টা বানিয়েছি। আমাদের প্রতিনিধি হয়ে যেসব উপদেষ্টা সরকারে গিয়েছে। আমরা আপনাদের বলতে চাই, আপনারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আপনারা যদি কোনো কারণে মনে করেন প্রোক্লেমেশন দিতে এবং জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আপনাদের রাষ্ট্রীয় কোনো বাধা রয়েছে সেটি আপনারা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। আমরা যেভাবে আগস্ট মাসে রাস্তায় নেমে এসেছিলাম ঠিক একইভাবে আবার রাস্তায় নেমে আসব।’
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের ভাষা যদি বুঝতে আপনারা ব্যর্থ হন, তাহলে আওয়ামী লীগের মতোই আপনাদের পরিণতি হবে। সুতরাং ফ্যাসিবাদী বিরোধী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী যেসব মনস্তাত্ত্বিক চিন্তা রয়েছে, সবকিছুর সংমিশ্রণে আমাদের পরবর্তী বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা বিপ্লবী শক্তি, স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই-আমাদের হারানোর কিছুই নেই। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হবে কি-না, সেই সিদ্ধান্ত নতুন করে নেয়ার কিছুই নেই। সেটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গত ৫ই আগস্ট হয়ে গেছে। সুতরাং যারা আবার নতুন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির পুনর্লিখন করতে যাচ্ছেন, তাদের বলতে চাই-এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হবে কি-না সেটা এখন প্রাসঙ্গিক আলাপ নয়।’
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইলের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদের ক্রয়কৃত প্লাষ্টার বালুর স্তুপ। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
সিরাজগঞ্জের বালু মহাল থেকে কেনা ব্যবসার উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন মজুতকৃত ৩ টি স্তুপ করে রাখা প্রায় ১০ কোটি টাকার আস্তর (প্লাষ্টার) বালুকে অবৈধ বালু হিসাবে জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সেই আস্তর বালু গোপন নিলামের মাধ্যমে প্রায় ৪৯ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম।
গত ৬ জানুয়ারি উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক মাসুদের নিজস্ব ও লিজ নেওয়া জমিতে বালু ঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন এসিল্যান্ড মো. তারিকুল ইসলাম। পরের দিন গত ৭ জানুয়ারি ১০ কোটি টাকার বালু ৪৮ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ (ভ্যাট ব্যাতিত) টাকায় গোপন নিলামে স্থানীয় জহুরা এন্টারপ্রাইজের কাছে বিক্রি করেছেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদের স্ত্রী শেফালী মাসুদ জানান, প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট প্লাষ্টার (নির্মাণকাজে ব্যবহৃত) বালুকে ২৬ লাখ ১২ হাজার ৮০০ ঘনফুট ধরে এবং বালুর ধরণ ভিটি বালু দেখিয়ে নিলাম দেওয়া হয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা ঘনফুট। অথচ প্রতি ঘনফুট বালু সাধারণত বিক্রি হয় ১০ থেকে ১৪ টাকায়। দায়িত্বরত কর্মকর্তা অসৎ উদ্দেশ্যে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ নিলাম দিয়েছেন।
এদিকে গোপনে নিলামের বিষয়ে জানাজানি হলে উপজেলা ও জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন সুধীমহল।
নিলাম আইন অনুযায়ী, নিলাম পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ এর নিদের্শক্রমে নিলাম ডাকের কমপক্ষে ৭ কার্যদিবস পূর্বে ২টি জাতীয় দৈনিক এবং ১টি স্থানীয় দৈনিকে নিলামের বিজ্ঞপ্তি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে লিখিত চিঠি প্রদান ও সংশ্লিষ্ট দফতরের ওয়েবসাইটেও তা প্রকাশ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে নিলামের তারিখ, ক্যাটালগ প্রদানের তারিখ, ক্যাটালগের মূল্য, পণ্য পরিদর্শনের তারিখ-সময়, জামানতের পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে। এবং পণ্য পরিদর্শনের তারিখ নিলাম অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ২ কার্যদিবস আগে হতে হবে। কিন্তু এসব আইনের কোন কিছুই মানা হয়নি জব্দকৃত ওই বালু নিলামের ক্ষেত্রে।
অপরদিকে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় থেকে উপজেলা সার্ভেয়ার মো. রফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামকে বালু ঘাটে রাখা স্তুপকৃত বালুর ধরণ ও পরিমাপের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনটি স্তুপে রাখা হয়েছে মোটা বালু, যা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরদের মতে, সেখানে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট বালু রয়েছে। সিরাজগঞ্জের মেসার্স এস কন্সট্রাকশন থেকে এই বালু কেনা হয়েছে এমন অসংখ্য রশিদ উপস্থাপন করেন ভুক্তভোগীরা।
পলশিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন, কয়েক মাস আগেই সিরাজগঞ্জ মহাল থেকে বালু কিনে এনে চেয়ারম্যান তার নিজের জায়গা ও অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে বালু রেখেছে। প্রতি সিএফটি বালু কেনা পড়েছে ৮টাকা। বর্তমানে বিভিন্ন ঘাটে প্রতি সিএফটি বালু বিক্রি হচ্ছে ১২-১৪ টাকা। অথচ এসিল্যান্ড এর দাম ধরেছেন ১ টাকা ৮৫ পয়সা।
একই এলাকার নূরুল ইসলাম বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক এলাকায় থাকি। কোনো মাইকিং করা হলে কেউ না কেউ শুনতো বা জানতো। এছাড়া কোনো পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে সেটিও জানা যেতো। এসিল্যান্ডের অফিসে নিলামের বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে রাখলেও জানা যেত। তাও টাঙায়নি। ঘটনাস্থলেও কোন নিলামের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় নাই। বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে গোপন নিলাম করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনটি বালু স্তুপের মধ্যে একটি স্তুপের বালু পা দিয়ে পরিমাপ করেছি। অন্য ২টি শুধু দেখেছি। এতে আনুমানিক সবমিলিয়ে ২৬ লাখ ঘনফুট নির্ধারণ করেছি। অন্যান্য বিষয় এসিল্যান্ড স্যার জানেন। যদিও একদিন পরেই তার বক্তব্য পরিবর্তন করেন সার্ভেয়ার। নতুন বক্তব্যে তিনি জানান, ফিতা ও চেইন টেনেই বালু পরিমাপ করেছি। এ কাজে তাকে আরও ২ জন সহায়তা করেছে। তবে, ৩টি বালুর স্তুপের কোনটিতেই মাপামাপি হয়নি বলে প্রত্যক্ষ্য দর্শিদের জোড়ালো দাবি ।
উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, বালুর ধরণ সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছিল। পরে আমার দফতরের লোক পাঠালে সে নমুনা নিয়ে আসে। নমুনা দেখে ভিটি বালু মনে হয়েছে। আমি সেটি বলে দিয়েছি।
আইনানুযায়ী নিলামের দিন তারিখ উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দিয়ে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু এ নিলামে তা কোন কিছুই মানা হয়নি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাইল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কবে কোথায় কিভাবে বালু নিলাম হয়েছে তা জানা নেই। তাছাড়া নিলাম অনুষ্ঠানের মৌখিক বা লিখিত কোনো চিঠি পাইনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অনুযায়ী বালু জব্দ করে নিলাম দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ বাল্কহেডের মাধ্যমে বালু পরিবহন করে সেখানে স্তুপ করে রাখা হয়েছিল তাই এটি অবৈধ। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি জমিতে মজুদ অবৈধ। তাই এটিও অবৈধ। এছাড়া বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মোতাবেক জন দুর্ভোগ ও পরিবেশ দূর্ষণ করায় এটি অবৈধ। কোন ব্যক্তির জমিতে বালু রাখলেও প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন। সুতরাং আইনের ব্যত্যয় হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু মেপে তারপর নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, বালু আইনের বিধি মোতাবেক তিনি নিলাম করেছেন। যদি সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হন তাহলে তিনি আপিল করতে পারবেন। সেই সুযোগ তার রয়েছে। এটির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কারও দোষ প্রমাণ হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।