বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২১ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান: ৬টি গোডাউন সিলগালা ও জরিমানা

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে বাজার মনিটরিং অভিযানে ৬ টি গোডাউন সিলগালা করে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) জেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় শহরের বড়বাজার এলাকায় এই অভিযান চালায় ।

অভিযানে মেসার্স জনি স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানকে পুর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও অননুমোদিত ও নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য বিক্রয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্য ও শিশুখাদ্য বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: হামিদুর রহমান জনিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪১, ৫১, ৫৫ ধারায় ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়।। এসময় অননুমোদিত নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্যে ভর্তি ৬টি গোডাউন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এই শিশুখাদ্যগুলো দোকান মালিক সমিতি, চেম্বার অফ কমার্স, সাংবাদিকবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন ভোক্তাদের উপস্থিতিতে টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে।

ভোক্তা অধিকার চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: হামিদুর রহমান জনিকে কয়েক বছর আগে একই অপরাধে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এর পরেও সংশোধন না হয়ে তার নকল ভেজাল শিশুখাদ্যের ব্যবসা আরও অধিকতরভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও সকল উপজেলাগুলোতে তিনি এই নকল ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশুখাদ্য ডিলার হিসেবে সাপ্লাই দেন।

আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ১ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট চার লাখ (৪,০০,০০০) টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রয়, ভাউচার সংরক্ষণ ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: রাশেদুজ্জামান, ক্যাব প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্পর সেনাবাহিনীর একটি টিম। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

Header Ad

ঋণের নামে অর্থ আত্মসাত

ইসলামী ব্যাংকের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

ইসলামী ব্যাংকের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দুদকে তলব। ছবি: সংগৃহীত

ঋণের নামে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ব্যাংকটির ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তলবকৃত ব্যক্তিদের আগামী ১০ থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ অন্যান্য তথ্যাদি জমা দিতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে দুদক। বুধবার (৬ নভেম্বর) দুদক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, চাকতাই শাখার গ্রাহক মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাডেট সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসকে ঋণের নামে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

এ ক্ষেত্রে ঋণ প্রস্তাবনা, সুপারিশ, অনুমোদন, বিতরণ, পরিদর্শন ও মনিটরিংয়ের সঙ্গে জড়িত ২৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক।

যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার আলী ও ওমর ফারুক খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহের আহমেদ চৌধুরী, এ এ এম হাবিবুর রহমান, হাসনে আলম, আব্দুল জাব্বার, সিদ্দিকুর রহমান, কাজী মো. রেজাউল করীম, মিফতাহ উদ্দিন, এ এফ এম কামালুদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, জেকিউএম হাবিবুল্লাহ।

এছাড়া তালিকায় আরও আছেন- মনিটরিং বিভাগের প্রধান এসভিপি খালেকুজ্জামান, একই বিভাগের এসএভিপি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম, বিনিয়োগ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাব্বির, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, ফরিদ উদ্দিন, সাইদ উল্লাহ, আবু সৈয়দ মোহম্মদ ইদ্রিস, আলতাফ হোসাইন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের।

চিঠিতে উল্লিখিত ব্যক্তিদের দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে বিতরণকৃত ঋণের তথ্যসহ ব্যক্তিগত তথ্য এবং লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলা হয়েছে।

Header Ad

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী

ছবি: সংগৃহীত

তেজগাঁও, মতিঝিল, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা চারটি পৃথক মামলায় খালাস পেয়েছেন আলোচিত ধর্মপ্রচারক রফিকুল ইসলাম মাদানী, যিনি ‘শিশুবক্তা’ নামে পরিচিত। বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে মামলাগুলো থেকে তাকে খালাস দেন।

মামলাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, “সাক্ষীরা আদালতে ঘটনার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষীদের আদালতে উপস্থাপন করলেও অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থ হন।” এই প্রমাণের অভাবের কারণে বিচারক রফিকুল মাদানীকে সব মামলার দায় থেকে মুক্তি দেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল নেত্রকোনায় নিজ বাড়ি থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) রফিকুল মাদানীকে আটক করে এবং পরদিন তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই আইনে তেজগাঁও, মতিঝিল ও পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোতে তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রচেষ্টা এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল।

রফিকুল মাদানী পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে আপিল করে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। এবার সব মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়ায় তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক তৈরি হলো।

Header Ad

ট্রাম্পের দলেও ড. ইউনূসের বন্ধু আছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নতির শিখরে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিক দুই দলেই ড. ইউনূসের বন্ধু আছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ট্রাম্পের জয়ে সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে মনে করি আমরা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে দেওয়া ট্রাম্পের টুইট সম্পর্কে জানতে চাইলে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বাংলাদেশ ইস্যুতে টুইট করেছেন তখন তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। আমরা মনে করি, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উনাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি নিশ্চয়ই এসব খতিয়ে দেখবেন। এ দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর খুব বেশি অতিরঞ্জিত।

প্রেস সচিব বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন সেই টুইট করেছেন তা তিনি জানেন। এটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে বলেছি। আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

এদিকে গতকাল রাতে চট্টগ্রামের ইসকনের ঘটনা বিষয়ে প্রেস সচিব জানান, এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনারকে জানিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসলামী ব্যাংকের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় খালাস পেলেন ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী
ট্রাম্পের দলেও ড. ইউনূসের বন্ধু আছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
সবার আগে দেশ তারপর সেনাবাহিনী, শেষে নিজের স্বার্থ: মেজর জেনারেল মাসীহুর রহমান
শপথ নিলেন পিএসসির নতুন চার সদস্য
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
পাবনায় শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও হিরো আলম একই মামলায় আসামি
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দামকে টকশোতে আমন্ত্রণ, ক্ষেপলেন হাসনাত-সারজিস
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বরখাস্ত: স্থলাভিষিক্ত হলেন ইসরায়েল কাটজ
পাকিস্তান সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার নতুন অধিনায়ক জস ইংলিস
'বন্ধু' ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন মোদি
প্লাস্টিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
শুক্র ও শনিবারেও পরিবহন সেবা পাবে কুবি শিক্ষার্থীরা
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান: ৬টি গোডাউন সিলগালা ও জরিমানা
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা
ভারতে পালানোর সময় বেনাপোলে ভোলার যুবলীগ নেতা আটক
রিপাবলিকান পার্টির 'নতুন তারকা' ইলন মাস্ক: ট্রাম্প
ঢাকায় রাস্তা ও ফুটপাতে দোকান বসানোর নিষেধাজ্ঞা: চাঁদাবাজি দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস