বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩০০ কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ নওগাঁর ৮ সমবায় সমিতি!

৩০০ কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ নওগাঁর ৮ সমবায় সমিতি। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পুকুরের মাছ, খেতের ফসল বিক্রি করে তিল তিল করে ১৬ লাখ টাকা জমিয়েছিলেন নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম (৫০)। টাকাগুলো চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে কয়েক ধাপে দোয়েল সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি সমিতিতে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রেখেছিলেন।

৮ মাসের লভ্যাংশসহ তা বেড়ে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। কিন্তু দোয়েল সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি গত ২৫ অক্টোবর রাতারাতি বন্ধ করে পালিয়ে যান উদ্যোক্তারা। এত টাকার সঞ্চয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় জাহিদুলের বৃদ্ধ মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

জাহিদুল বলেন, ‘সমিতি বন্ধ হয়ে খবর পাওয়ার পর আমার মা গত শনিবার স্ট্রোক করেন। স্ট্রোক করার পর এখনও মা পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেনি। তিল তিল জমানো টাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নাওয়া-খাওয়া নেই। স্বপ্ন ছিল জমানো টাকা দিয়ে নওগাঁ শহরে কিছু জমি কিনে একটা বাড়ি করব। কিন্তু এখন আমি সর্বশান্ত। জায়গা-বাড়ি করা তো দূরের কথা এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাই মুশকিল হয়ে যাবে।’

দোয়েল সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতিতে টাকা রেখে সঞ্চিত টাকা খুইয়েছেন নওগাঁ সদর, রাণীনগর, আত্রাই ও বদলগাছী উপজেলার অন্তত ৪০০ গ্রাহক। গ্রাহকের আমানতের ২২ কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে দোয়েল সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা।

শুধু দোয়েল সমিতিই নয়; গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হচ্ছে অনেক সমিতি। এতে দরিদ্র মানুষ সমবায় সমিতির মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার বদলে নিঃস্ব হচ্ছে। ভাঙছে তাঁদের স্বপ্ন।

একটি সরকারি অফিসে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন শহিদুল ইসলাম (৬৫)। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর পেনশন হিসেবে ৮ লাখ টাকা পান তিনি। দুই বছর আগে পেনশনের সমুদয় টাকা তিনি সুরমা মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রাখেন। প্রতি মাসে লাখে তিন হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার শর্তে তিনি ওই টাকা জমা রাখেন। টাকা জমা দেওয়ার পর থেকে প্রথম দিকে মাসে মাসে নিয়মিত লভ্যাংশ দিচ্ছিল। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সমিতির কর্মকর্তারা লভ্যাংশ দেওয়া নিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। এরমধ্যে গত মার্চ মাসে সমিতির নির্বাহী পরিচালক ছবেদুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা সমিতির কার্যালয়ে তালা দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। থানায় অভিযোগ করেও গত ৭ মাসেও সঞ্চিত টাকা ফেরত পানননি শহিদুল ইসলাম। একইভাবে ওই সমিতির চার শতাধিক গ্রাহকের অন্তত ৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সমিতির নির্বাহী পরিচালক ছবেদুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

মাদারগঞ্জ উপজেলার মাহফুজা বেগম। সত্তরোর্ধ্ব এই নারী লাঠিতে ভর দিয়ে এসেছেন টাকা আদায়ের মানববন্ধনে। ‘শতদল সমবায় সমিতি’তে রাখা টাকার জন্য ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। মাহফুজা বেগম বলেন, ‘৭০ হাজার টাকা তোলার কত চেষ্টা করলাম, তাও দিলো না। এখন আমার আছে শুধু এক আল্লাহ। আর কিছু নাই।’

একই অবস্থা সম্প্রতি বন্ধ হওয়া জগৎসিংপুর সূর্যমুখী বহুমুখী সমবায় সমিতির দুই শতাধিক গ্রাহকের। জগৎসিংহপুর এলাকার বাসিন্দা আকলিমা বিবি (৭০)। স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার চার বছর ধরে ধাপে ধাপে জমা করেছিলেন ওই সমিতিতে। গত জুলাই মাসে সমিতির নির্বাহী পরিচালক মুকুল হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। এখন তিনি পাগল প্রায়।

আকলিমা বিবি বলেন, ‘সন্তান নাতি-নাতনিদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সূর্যমুখী সমবায় সমিতিতে টাকাগুলা জমা থুছিলাম। গত জুলাই মাসে হঠাৎ করে একদিন দেখি সমিতির অফিস তালা দেওয়া। পরিচালক মুকুল ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ নাই। মুকুলের বউ-ছাওয়ালও ভ্যাগে গেছে। এখন জমানো টাকা ফেরত ল্যাওয়ার জন্য থানা, ইউএনও অফিস ও ডিসি অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরোছি। কিন্তু কোনো কাম হছে না।’

শুধু আকলিমা, শহিদুল বা জাহিদুলই নয়, এমন হাজার হাজার মানুষের অন্তত ৩০০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমবায় সমিতির উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা। সারাজীবনের কষ্টের টাকা হারিয়ে দিশেহারা মানুষগুলো। আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘পরিবারের জন্যই তো টাকা জমা রেখেছিলাম। এখন তো প্রয়োজনের সময় টাকা না পেয়ে আমার পরিবারই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছর নওগাঁয় জেলায় আটটি সমবায় সমিতির উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দিয়ে হঠাৎ করে কার্যক্রম বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে গেছেন। ওই আটটি সমবায় সমিতি হচ্ছে, নওগাঁ সদর উপজেলায় সুরমা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, ডলফিন সমবায় সমিতি, জগৎসিংহপুর সূর্যমুখী বহুমুখী উন্নয়ন সমবায় সমিতি, বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন ও মেঘনা সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, মহাদেবপুর উপজেলার ব্যতিক্রম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং মান্দা উপজেলার আল আরাফাহ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড। এসব সমবায় সমিতির উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচ হাজার গ্রাহকের ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। লাগাতার আন্দোলন ও মামলা করেও গ্রাহকেরা তাঁদের সঞ্চিত টাকা ফেরত পাচ্ছেন না।

আত্মগোপনে থাকা দোয়েল সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর থেকে সমিতির সদস্যরা সবাই একসঙ্গে আমানতের টাকা ফেরত চাইতে শুরু করে। সবাই একসঙ্গে জমা টাকা ফেরত চাওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যাই। গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসিক ও স্থায়ী আমানত হিসেবে আমার সমতিতিতে প্রায় ২১ কোটি সঞ্চয় আছে। সেই টাকা থেকে ১৬ কোটি টাকা ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের কাছ থেকে ঋণ দেওয়া আছে। সেই টাকা তুলতে না পারায় সদস্যদের টাকা ফেরত দিতে পারছি না। কিন্তু সদস্যরা তা মানতে চান না। টাকা না পেলে অনেকেই আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। নিরাপত্তার কারণে গত শুক্রবার থেকে আমি আত্মগোপনে আছি। তবে প্রশাসন আমাকে নিরাপত্তা দিলে আমি এলাকায় ফিরে আমার সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকদের সব টাকা ফেরত দেব। কারও টাকা আত্মসাৎ করব না।’

ভুক্তভোগীরা জানান, জেলা ও উপজেলা কার্যালয় থেকে সমবায় সমিতি হিসেবে নিবন্ধন নেওয়ার পর সমিতির উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তা বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষদের প্রলুব্ধ করে অবৈধভাবে ব্যাংকের আদলে মাসিক ও বার্ষিক আমানত প্রকল্প, স্থায়ী বিনিয়োগ ও স্থায়ী আমানত নামে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে টাকা রাখতে শুরু করে। টাকা জমা রেখে গ্রাহকদের প্রতি মাসে মুনাফা দিতে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। ধীরে ধীরে সমিতির গ্রাহকসংখ্যা ও আমানতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এক সময় গ্রাহকদের আমানতের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায় সমিতির উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা।

নওগাঁ জেলা সমবায় সমিতি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ১১টি উপজেলায় নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সংখ্যা ১ হাজার ৬২০টি। এর মাধ্যমে ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ৪৫০টি সমিতি।

গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা নিয়ে একের পর এক সমবায় সমিতির লাপাত্তা হওয়ার বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন নওগাঁর সাবেক সম্পাদক বেলাল হোসেন বলেন, ‘প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সমবায় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের অসর্তকর্তার কারণে এসব হচ্ছে। এতে নিরীহ ও অসহায় মানুষ সমবায় সমিতির খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। এসব সমস্যা উত্তরণে নিবন্ধন দেওয়ার আগে আরও ভালো করে যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন। নিবন্ধন দেওয়ার পর সমবায় কার্যালয়কে সমিতিগুলোকে ভালো করে মনিটরিং করতে হবে। এছাড়া প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদারকি বাড়াতে হবে।’

গ্রাহকের টাকা সমিতির লাপাত্তা হওয়ার বিষয়ে জেলা সমবায় কর্মকর্তা খোন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নওগাঁতে ৪৫০টির মতো ঋণদানকারী সমিতির কার্যক্রম বর্তমানে চলমান আছে। এর মধ্যে কয়েকটি সমবায় সমিতি সম্প্রতি গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত না দিয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তাঁদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে এসব সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে ও থানাতেও একাধিক মামলা চলমান আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা উৎপাদনশীল খাতে না খাটিয়ে অনেক সময় সমিতির কর্মকর্তারা জমিজমা কিংবা বাড়ি-গাড়ি কিনে থাকেন। এসব করতে গিয়ে সমিতিগুলো দেউলিয়া হয়ে যায়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সমিতি পরিচালনার কারণে গ্রাহকেরা যখন লভ্যাংশ কিংবা আমানতের টাকা ফেরত চান তখন তাঁদের টাকা দিতে পারছে না সমিতিগুলো। আগামীতে কোনো সমবায় সমিতি যাতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের মনিটরিং কার্যক্রম বাড়ানো হবে।’

Header Ad
Header Ad

চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  

ছবিঃ সংগৃহীত

কারখানা খুলে দেয়া ও ব্যাংকিং সুবিধা চালুর দাবীতে গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভণ-ভাঙচুরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা ৫টি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকে আগুন দেয়। এছাড়াও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বেক্সিমকো গ্রুপের কয়েকটি কারখানার ৪২ হাজার শ্রমিক দাবী আদায়ে গণ সমাবেশ ঘোষণা করে। ওইদিন তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ ঘটনার পর আজ বিকেল ৩টার দিকে সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে তারা চন্দ্রা নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে ৫টি বাস ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত অফিসার জানান, আমাদের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরবর্তী খবর না আসা পর্যন্ত কিছু জানাতে পারবো না।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ২ এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ সৃষ্টি করেছে। সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তি (আবু সালেহ) এনআইডি কার্ড থেকে নেওয়া।ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে পরিচয় মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মেহগনি গাছে ফাঁস নেওয়া ব্যাক্তির। তার নাম আবু সালাহ (৪৫) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নগরকসবা গ্রামে। থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তার ছোটভাই আবু রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তার ছোটভাই আবু রায়হান ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত তার বড় ভাই আবু সালেহ, তবে বাড়িতেই থাকতেন। তিন বছর যাবৎ বাড়ি ছাড়া। একেক সময় একেক জায়গায় থাকতেন। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নয়বাড়ি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করতেন আবু সালেহ। সেখান থেকেই বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে নেশা করা শুরু করেন। গাজা,ইয়াবার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত প্যাথেডিনও নেওয়া শুরু করেন তিনি।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা খবর পান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিপরীত পাশে ফুটপাতে একটি মেহগনি গাছের চূড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের সহায়তায় গাছ থেকে মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতে। মানসিক সমস্যাও ছিল তার।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় সে ওই মেহগনি গাছের চূড়ায় উঠে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন তিনি।

এসআই বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডির ক্রাইম সিন হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি মাদকাশক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পাঁচ বছর যাবৎ তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। ঢামেকের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক ঢাকা পোস্টের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি ঢাকা পোস্টের কোনো প্রকৃত প্রকাশনা নয়। ফটোকার্ডে ঢাকা পোস্টের লোগো এবং প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘১৯ জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ থাকলেও, ঢাকাপোস্টের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া ফটোকার্ডটির ফন্ট ডিজাইন এবং শিরোনামের শেষে দাঁড়ি দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোও ঢাকা পোস্টের প্রচলিত ফটোকার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উপরন্তু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বা সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা বা মন্তব্যের নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।

তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে বলা যায়, ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!