ঢাকাপ্রকাশে সংবাদ প্রকাশের পর ঘর পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা
গত ৭ জানুয়ারি মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপ্রকাশে সংবাদ প্রকাশের পর ঘর ও টাকা পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আনু।
এর আগে ‘বঙ্গবন্ধু স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে আছেন মধু বেচে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় ঢাকাপ্রকাশে। তার এক মাসের মধ্যে বরিশাল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভূমি ও গৃহহীন প্রকল্পের একটি ঘর ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার সহায়তা পেতে যাচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আনু।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা অর্থ দেওয়ার সময় এ কথা জানান জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হোসেন চৌধুরী।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ ঢাকাপ্রকাশকে জানান, সংবাদ প্রচারের বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। পরে ভিটেবাড়ি হারানো মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আনুর এলাকায় গিয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর। পরে জেলা প্রশাসন অফিসে ডেকে তাকে নগদ ৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। এরপর তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার জানান, ৮৮ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধার অসহায়ত্বের সংবাদ আমরা জানতে পেরে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। তার বাড়ি-ভিটা দেখে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের একটি ঘর তাকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। কিছু দাপ্তরিক কাজ বাকি আছে, সেগুলো সেরে তাকে একটি ঘর দেওয়া হবে।
আনোয়ার হোসেন আনু জানান, বীর উত্তম শাহজাহান ওমরের নেতৃত্বে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন। স্বীকৃতি না পেয়ে ৮৮ বছর বয়সে এসে ভিটেবাড়ি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও জানান, সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম যাচাই-বাছাইয়ের সময় অর্থ না দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় টেকেনি আনোয়ার হোসেন আনুর নাম।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর হাত থেকে সনদ। বর্তমানে মধু বিক্রি করে কোনো রকমে জীবন ধারণ করছেন! সে সময় ডান পায়ে লাগা গুলির ক্ষত আজও তাকে তিলে তিলে কষ্ট দিচ্ছে। সেই দিনের স্মৃতি ভুলতে পারেন না তিনি। রাতে ঘুমের ঘোরেও বর্বর নির্যাতনের চিত্র চলে আসে নিদ্রায়।
এসএন