রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিসেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, ১২০ কিমি গতিতে চলবে ট্রেন

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর মূল কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন স্থাপনও সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের ফিনিশিং কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে, পরীক্ষার পর চলতি বছরের ডিসেম্বরেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। উদ্বোধনের পর এই সেতুতে ট্রেন চলবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে।

যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ অংশে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে নির্মিত হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। দুটি প্যাকেজে শুরু হওয়া প্রকল্পের ৯৬ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে দুটি প্যাকেজে রেলওয়ে সেতুর কাজ শুরু হয়। এখন সেতুর পূর্ব-পশ্চিম পাশের স্টেশন নির্মাণ ও এ্যাপ্রোচ লাইন স্থাপনসহ সব কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং সেতুটি পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু’ যমুনা নদীর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ থেকে পূর্বে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পর্যন্ত বিস্তৃত, যার দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬,৭৮০ কোটি টাকা, এবং দুটি প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে জাপানের পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসানোর কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক জানান, অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করা, প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সেতুর ফিনিশিং কাজ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটি নির্মাণে জাপানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে ব্রডগেজ রেল সর্বোচ্চ ১২০ কিমি গতিতে এবং মিটার গেজ রেল ১০০ কিমি গতিতে চলবে। পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এই সেতু চালু হলে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর এবং খুলনার নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করবে।

 

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম

পুলিশের ৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর। ছবি: সংগৃহীত

উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।

অবসরে পাঠানো চারজন হলেন- এন্টি টেররিজম ইউনিট কর্মরত ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ পুলিশের কর্মরত ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া, এনডিসি ও আমেনা বেগম।

 এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে এই চারজনকে অবসর প্রদান করা হলো। 

তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। 

এর আগে বিতর্কিত শেষ তিন সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা তিন সচিবসহ ২২ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক