বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৩১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডিসেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, ১২০ কিমি গতিতে চলবে ট্রেন

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর মূল কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন স্থাপনও সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের ফিনিশিং কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে, পরীক্ষার পর চলতি বছরের ডিসেম্বরেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। উদ্বোধনের পর এই সেতুতে ট্রেন চলবে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে।

যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ অংশে বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে নির্মিত হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। দুটি প্যাকেজে শুরু হওয়া প্রকল্পের ৯৬ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে দুটি প্যাকেজে রেলওয়ে সেতুর কাজ শুরু হয়। এখন সেতুর পূর্ব-পশ্চিম পাশের স্টেশন নির্মাণ ও এ্যাপ্রোচ লাইন স্থাপনসহ সব কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং সেতুটি পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু’ যমুনা নদীর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ থেকে পূর্বে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পর্যন্ত বিস্তৃত, যার দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬,৭৮০ কোটি টাকা, এবং দুটি প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে জাপানের পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসানোর কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক জানান, অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করা, প্ল্যাটফর্ম তৈরি এবং স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে সেতুর ফিনিশিং কাজ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, সেতুটি নির্মাণে জাপানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে ব্রডগেজ রেল সর্বোচ্চ ১২০ কিমি গতিতে এবং মিটার গেজ রেল ১০০ কিমি গতিতে চলবে। পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এই সেতু চালু হলে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর এবং খুলনার নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করবে।

 

Header Ad

জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চসহ জাতীয় আটটি দিবস বাতিলে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকার শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনাবিরোধী কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও চেতনাবিরোধী কাজ করে আসছে। সুপরিকল্পিতভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্টে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের শত্রুজ্ঞান করছে। জাতীয় রাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করছে, মিথ্যা মামলায় গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশে নৈরাজ্যবাদ কায়েম করেছে। সরকারের অদক্ষতা ও অনাচারে অতিষ্ঠ মানুষ ইতোমধ্যে বলতে শুরু করেছে, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা।’

আরও বলা হয়, বাংলা ও বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন ইতিহাসের সন্তান জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার বিশ্বস্ত সহকর্মীরা, দেশের মুক্তিকামী জনতা ও তার পরিবারের অবদান অমোচনীয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার হচ্ছে মুক্তির লড়াইয়ের সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও প্রতীকী স্থাপনাসমূহ। এসবের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত জাতীয় দিবসসমূহ রাষ্ট্রাচার থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা এহেন প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক জাগরণের ভাষণ দিবস, ১৭ মার্চের শিশু দিবস এবং ১৫ আগস্টের মতো শোক পালনের দিবস রয়েছে। আমাদের জাতীয় ইতিহাস থেকে এসব দিবসের তাৎপর্য কোনো বিবেচনাতেই অস্বীকার করা যাবে না। রিসেট বাটন চেপে কেউ আমাদের ‘দাবায়া রাখতে পারবা না।’ আমাদের প্রত্যাশা হিংসা ও বিদ্বেষের বিপরীতে সকলের যাবতীয় ও জাতীয় ভুলগুলো অন্ধকারে হারিয়ে যাক, আমাদের অন্যায়গুলো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াক এবং সকল অপশক্তি বিনাশের জন্য আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হোক ‘সত্য বল সুপথে চল।’ সরকারের বিদ্বেষে বাতিল হতে যাওয়া দিবসগুলো বাঙালি বরাবরের মতো সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পরম মমতায় পালন করে দৃঢ়ভাবে বলে উঠবে, ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে।’

‘রিসেট বাটন চেপে বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলার মাধ্যমে বিভেদ ও প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তির রাজনীতিকে পরিপুষ্ট করতে চাওয়ার এহেন অভিপ্রায় বাঙালি জাতি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সমগ্র জাতি ও মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এহেন হীন পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব দেবে। ইনশাআল্লাহ্‌।’

এদিকে, সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শিগগিরই এসব দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

Header Ad

‘আগে যারা আব্বু আম্মুকে কটু কথা বলতো, তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে’

ছবি মার্জ : ঢাকাপ্রকাশ

‘ছোট বেলা থেকেই ফুটবল দেখলে নিজের ভিতর অন্য রকম অনুভুতি কাজ করতো। আমার গ্রামে কোন মেয়ে না থাকায় আমার সমবয়সী সব বন্ধু-বান্ধব, ভাই, ভাতিজা ওদের সাথেই খেলতে যেতাম। তার জন্য আব্বু-আম্মুর অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। মাঝে মধ্যে ছেলেদের সাথে খেলতে যাওয়ায় মানুষের কটু কথায় আম্মু অনেক মাইর দিছে তবুও ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা আমাকে আটকে রাখতে পারতো না ঘরে। আব্বুর সাপোর্ট ছিলো আগে থেকেই, কিন্তু আম্মু যখন বারণ করেও আমায় আটকে রাখতে পারেনি তখন থেকে আম্মু ও সাপোর্ট করতো। আগে যে মানুষগুলো আব্বু আম্মু কে কটু কথা বলতো তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে।’

নওগাঁ জেলার প্রথম প্রমীলা ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশ সাফ প্রমীলা ফুটবল দলের পক্ষে নেপাল খেলতে যাওয়ার পূর্বে আইরিন খাতুন ঢাকাপ্রকাশকে এভাবেই বলছিলেন নিজের অনুভূতি আর প্রত্যাশার নানা কথা।

আইরিন খাতুন বলেন, ‘আমার কোন টিম ছিলো না, আর আমাদের গ্রামে এখন পর্যন্ত কোন মেয়েদের টিম হয় নাই। টিম না থাকায় কোথাও খেলতে পারতাম না, অনুশীলন ও হতো না। পরে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে আলম ভাই ছেলেদের অনুশীলন করাতো ওখানেই যেতাম মাঝে মধ্যে। প্রতিদিন যাওয়া সম্ভব হতো না, আমার বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিলো মাঠ এবং আব্বুর সামর্থ্যও ছিল না। তখন ও অনেক মানুষের অনেক কতা শুনতে হতো বুঝেন-ই তো গ্রামের মানুষ।’

আইরিন বলেন, “একদিন আমাদের এলাকার পাশে মেয়েদের দুইটা টিমের প্রীতি ম্যাচ ছিলো। আমি জানার পর আমার বাবাকে বলছিলাম ওই টিমে আমি খেলতে পারবো কি না একটু কথা বলার জন্য। বাবা অনেক লাজুক প্রকৃতির মানুষ লজ্জা পায় অনেক, আমাকে বললো ওরা যদি অপমান করে, তোমাকে খেলতে না দেয়। তখন আমি বললাম বাবা তুমি একবার বলেই দেখো। তখন বাবা অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর বললো, তোমার বড়আব্বু তো একজন শিক্ষক সে ভালো করে বুঝায় বলতে পারবে আমি ওনাকে বলে দেখি উনি কথা বললে হয়তো ভালো হবে। তারপর আব্বু কল দিলো আমার বড়আব্বুকে, সে কল রিসিভ করে শুনার পরে বললো তার কাজ আছে সে যেতে পারবে না! অজুহাত ছিলো মাত্র, সে কিন্তু বিকেলেও খেলা দেখতে গেছিলো! ( বড়আব্বুর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। তারপর আব্বু কল কেটে দিয়ে সাহস করে আমাকে নিয়ে ওই টিমের উদ্দেশ্য রওনা দিলো, টিমের কোচের সাথে কথা বললো, বলার পর কোচ আমাকে টিমের সাথে রেখে মাঠে নেয় এবং বলে আমার গ্রামেই যেহেতু খেলা তাই তিনি আমাকে হাফ টাইমের পর মাঠে নামাবেন। আমিও খুব খুশি হইছিলাম। হাফ টাইমের পর আমাকে মাঠে নামায় এবং আমার খেলা দেখে কোচ খুশি হয়। খেলা শেষে কোচ ( মো. বেলাল হোসেন,দিনাজপুর) আমাকে বলে, পরে কোন খেলায় আমাকে ডাকলে আমি খেলবো কি না। আমি এক কথায় উত্তর দিলাম আমি অবশ্যই যাবো। কারন এতদিন পর আমি একটা টিম পাবো ভাবতেই খুশি লাগছিলো। পরে যখন কোন খেলা হতো তখনি আমাকে ডাকতো এবং আমিও খেলতে যেতাম, কখনো আম্মু আবার কখনো আব্বু সাথে যেতো। কিছুদিন দিনাজপুরেও প্রাক্টিস করেছি। বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব ১৭ খেলেছি। পরে কোচ(বেলাল হোসেন, দিনাজপুর) আমাকে ঢাকা লীগে খেলার ব্যাবস্থা করে দেন।”

আইরিনের মা-বাবা

আইরিন খাতুন বলেন, ‘প্রথম লীগে ইনজুরির কারনে দুই ম্যাচে খেলছিলাম তাও ১০ মিনিট মতো হবে। তারপর আবার রাজশাহী বিভাগের হয়ে ঢাকাতে অনুর্ধ ১৭ খেলি। ওখান থেকে ৪০ জনকে বাছাই করে বিকেএসপিতে একটা ক্যাম্প করা হইছিলো, ওখান থেকে ১৫ জনকে স্পেনে পাঠানোর কথা ছিলো। ১৫ জনের মধ্যে ১জন আমিও ছিলাম। এই খবর শুনে আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে একটা সাইকেল উপহার দিয়েছিলো। এখন কিন্তু আগের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেই, বদলি হয়ে গেছে। দ্বিতীয় বার নিজেই টিম খুজে নিয়েছিলাম এবং লীগের প্রতিটি ম্যাচ প্রথম ১১ তে খেলেছিলাম, ক্লাবের কোচ আমার খেলা অনেক পছন্দ করতো। তারপর ১বছরেরও বেশি সময় লীগ বন্ধ ছিলো। আবার লীগ শুরুর কথা চললে আগের কোচ আমার কাছে আবদার করে এবং অনেক অনুরোধ করে শেষবার তাদের ক্লাবে খেলতে। অনেকবার বলাই আমি না করতে পারিনি, ওই ক্লাবেই আবার খেলি এবং বাংলাদেশ বয়ঃভিত্তিক জাতীয় দলে খেলার জন্য নির্বাচিত হই। ওই বছরে আমি আমার ক্লাব টিমের অধিনায়ক ছিলাম। বয়ঃভিত্তিক জাতীয় দলে খেলার পর চ্যাম্পিয়ন হই অনুর্ধ ২০ এ, তারপর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দলের ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন চালিয়ে গেছি এবং এবার সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৪ খেলতে এসেছি।’

শিক্ষা জীবন কোথায় থেকে শুরু প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার জন্মস্থান নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ২নং হাতুড় ইউনিয়নের সাগরইল গ্রামে। বাবা কৃষক আব্দুল আলিম ও মা গৃহিণী ফিরোজা বেগম। বেড়ে উঠা গ্রামে, খেলা শুরুটাও মহাদেবপুরেতে। সব কিছুই মহাদেবপুর কেন্দ্রিক। আমার প্রাথমিক স্কুল জীবন সাগরইল এবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং জাহাঙ্গীরপুর মডেল হাই স্কুল মহাদেবপুর থেকে এইচএসসি পাশ করি। ময়মনসিংহ তারাকান্দা ভাষা সৈনিক শামসুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সবাই আমার জন্য এবং আমাদের টিমের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা বাংলাদেশকে আরো একটি ট্রফি উপহার দিতে পারি।’

Header Ad

বিদায়ী টেস্ট খেলতে আগামীকাল দেশে ফিরছেন সাকিব

দেশে ফিরছেন সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ী টেস্ট খেলতে বৃহস্পতিবারের (১৭ অক্টোবর) মধ্যে দেশে ফিরবেন সাকিব আল হাসান। আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাকিব মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসছেন।

মিরপুরে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের ক্যারিরায়েরর শেষ টেস্ট খেলতে দেশে আসছেন সাকিব আল হাসান বলে জানিয়েছেন বিসিবির নির্বাচক হান্নান সরকার।

বিসিবির নির্বাচক হান্নান সরকার এবং সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

হান্নান সরকার নিজের ফেসবুকে সাকিবের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, সাকিব আল হাসান, আশা করছি মিরপুরে তার শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলবেন। এই ম্যাচের পর তার লাল বলের ক্রিকেট মিস করবে বিশ্ব ক্রিকেট। তুমি চিরকাল মনে থাকবে.... কিংবদন্তি। বরাবরের মত শুভ কামনা। সেই সঙ্গে লাভ ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

ঘরের মাটিতে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সাকিব। যদিও টাইগার এই অলরাউন্ডারের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। সরকারের তরফে সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছিল আগেই। এবার বিসিবির তরফেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেল।

এদিকে সাকিবকে নিয়েই প্রথম টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমেরিকা থেকে দেশে ফিরছেন সাকিব। ঢাকায় নেমেই টিমের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।

সিরিজের প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে ২১ অক্টোবর থেকে। ভেন্যু হিসেবে থাকছে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম। এরপর সিরিজের শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ২৯ অক্টোবর থেকে। যার ভেন্যু হিসেবে থাকছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের এই দুই টেস্ট।

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, জাকের আলি অনিক, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি
‘আগে যারা আব্বু আম্মুকে কটু কথা বলতো, তারাই এখন এসে ভালো কথা বলে’
বিদায়ী টেস্ট খেলতে আগামীকাল দেশে ফিরছেন সাকিব
গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
খুনিদের বিচার করতে ড. ইউনূসকে সরকারে বসানো হয়েছে: ফারুক
ইংল্যান্ডের নতুন কোচ হলেন টমাস টুখেল
ক্যারিবীয়দের ৮৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা
৬ বছর পর মুখ্যমন্ত্রী পেল জম্মু-কাশ্মীর, শপথ নিলেন ওমর আবদুল্লাহ
মাওলানা ভাসানীর অবদান অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ: তথ্য উপদেষ্টা
কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ
অভিযোগ ওঠা ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত
আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
এইচএসসি’তে জিপিএ-৫ পেলেন তিশা, ‌‘অভিনন্দন হুররাম’ বললেন মুশতাক
বাচ্চা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দীপিকা
ডিসেম্বরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু, ১২০ কিমি গতিতে চলবে ট্রেন
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
জাতীয় শোকসহ ৮টি দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত, আহতের সংখ্যা ৯৯ হাজার ছাড়াল
পাচারকৃত টাকা ফেরাতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
ঢাকায় এসে পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল