বিচ্ছেদের পর দুধ দিয়ে গোসল করে শুদ্ধ হলেন সবুজ মিয়া
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
৬ বছরের প্রেম ৪ বছরের সংসারের পর বিচ্ছেদ হওয়ায় অবশেষে দুধ দিয়ে গোসল করে শুদ্ধ হলেন, রুদ্রনগরের সবুজ মিয়া। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বাবা-মা কে না জানিয়ে ২০১৮ সালে দর্শনা থানাধীন রুদ্রনগর গ্রামের মোঃ মিন্টু মিয়ার ছেলে মোঃ সবুজ মিয়া বিয়ে করেন নিজ পছন্দের পাত্রীকে। বিয়ের শুরুতে বেশ সুখে শান্তিতে থাকলেও বিয়ের দেড় বছরের মাথায় সবুজের বাবা ও মাযের কাছ থেকে আলাদা হতে হবে বলে জানায় তার স্ত্রী । ৬ বছরের প্রেম এবং সংসার জীবনের সাড়ে ৪ বছরের মাথায় আলাদা হওয়া নিয়ে শুরু হয় দন্দ্ব, অশান্তি। পরিশেষে গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর দেওয়া তালাকনামা হাতে আসে। এরপর সবুজ নিজের অতীত ভুল ছিলো মনে করে দেড় মন দুধ দিয়ে গোসল করে শুদ্ধতা অর্জন করেছে বলে জানান।
সবুজ মিয়া আরও জানান, স্ত্রীর অশান্তির কারণে আমি তাকে নিয়ে ঢাকা চলে যাই। ঢাকাতে প্রায় সাড়ে ৩ বছর বেশ ভালোই ছিলাম। তারপর আবার গ্রামের বাসায় ফিরে আসি আমরা। গ্রামের বাসায় আসার পর থেকে আবার শুরু হয় অশান্তি। আমাকে মানসিক ভাবে বেশ অশান্তি দিতে শুরু করে আমার স্ত্রী। কিন্তু আমি আমাদের মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক সহ্য করে তাকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। তার সকল চাওয়া পাওয়া আমি পূরণ করেছি সব সময়। কিন্তু আমার স্ত্রী সবসময় আমাকে মানসিক অশান্তির মধ্যে রাখতো। কিন্তু গত রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আমাদের ডিভোর্স হয়। যার কারণে আমি আজ দুধ দিয়ে গোসল করে ঘরে উঠলাম। আজ আমি খুব খুশি এবং পাপ মুক্ত হলাম। কারণ দীর্ঘ দেড় বছর আমার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে আমাকে সহ আমার পরিবারকে।
জানা গেছে, সবুজ মিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার রুদ্রনগর গ্রামের মোঃ মিন্টু মিয়ার ছেলে। প্রেম করে ৬ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা শহরের কানা পুকুর পাড়ায় জনৈক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি।
তার এই দুধ দিয়ে গোসল করার খবর শুনে গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ সেখানে দেখতে ভীড় জমায়।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, সবুজ মিয়া প্রেম করে বিয়ে করে। বিযের পর থেকে বউ নিয়ে সে এ পর্যন্ত তার বাবা-মায়ের সাথে একসাথে সংসার করতে কোন ভাবেই তার বউকে রাজি করাতে পারে না। দীর্ঘদিন যাবৎ সে মানসিক অশান্তির পর সব শেষে আবার প্রায় দেড় বছর মামলা চালিয়ে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। রবিবার তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আজ সে দুধ দিয়ে গোসল করছে বলে আমরা দেখতে আসলাম।