রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী

ফাইল ছবি

এবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিষ্টি ছানামুখী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়া দেশের আর কোথাও ছানামুখী তৈরি হয় না। এই মিষ্টির খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মিষ্টান্ন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ডিপিডিটি কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেয়।

কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কোনো একটি পণ্য চেনার জন্য জিআই স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনকে নিশ্চিত করে। ডিপিডিটিতে ছানামুখী ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নম্বর ৪১।

২৪ সেপ্টেম্বর ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো জিআই সনদে উল্লেখ রয়েছে, ভৌগোলিক নির্দেশক (যার নমুনা এতদসঙ্গে সংযুক্ত আছে) নিবন্ধন বইয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের নামে ২৯ ও ৩০ শ্রেণিতে জিআই-৭৫ নম্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি পণ্যের জন্য চলতি বছরের ৮ এপ্রিল থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন জেলা প্রশাসক (১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত) মো. শাহগীর আলম প্রথমে ও পরে সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান গত ২ এপ্রিল ‌‘ছানামুখী’ মিষ্টান্নকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ডিপিডিটির রেজিস্ট্রারের কাছে ১০ পৃষ্ঠার একটি আবেদন পাঠান। সেখানে ছানামুখী মিষ্টান্নের বৈশিষ্ট্য, ভৌগোলিক নাম, ছানামুখীর বর্ণনা, উৎপাদনের প্রদ্ধতিসহ নানা বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, জেলা তথ্য বাতায়নে পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে উল্লেখ আছে এই ছানামুখীর নাম। ছানামুখীর উৎপত্তি ব্রিটিশ রাজত্বকালে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এক কেজি ছানামুখী তৈরিতে গাভির সাত-আট লিটার দুধ লাগে। প্রতি কেজি ছানামুখীর দাম ৭০০ টাকা।

ভোলাগিরি মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী নান্টু মোদক জানান, এক কেজি ছানামুখী তৈরিতে গাভির সাত থেকে আট লিটার দুধ লাগে। প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে ছানায় পরিণত করতে হয়। এরপর পানি ঝরে পড়বে এমন টুকরিতে ছানা রাখতে হবে। ওই ছানা পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে সব পানি ঝরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যাওয়া ছানা ছোট ছোট করে প্রায় সমান আকৃতির কাটতে হবে। এরপর পানি, চিনি ও এলাচির মিশ্রণে তৈরি করা শিরায় ছানা ছেড়ে দিয়ে নাড়তে হবে। ওই শিরা থেকে ছানা তুলে ঠান্ডা করা অর্থাৎ শুকানোর ব্যবস্থা করতে হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ছানামুখী জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারিভাবে ছানামুখীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। জেলার ব্র্যান্ডবুকেও একে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।বিদেশি অতিথিসহ মন্ত্রী পর্যায়ের যারাই আসেন, ছানামুখী দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

ছানামুখী নিয়ে প্রচলিত ইতিহাস হলো, মহাদেব পাঁড়ে নামে ভারতের কাশিধামের এক কারিগরের হাত ধরে এর জন্ম। মহাদেব পাঁড়ে তার বড় ভাই দুর্গা প্রসাদের সঙ্গে কলকাতায় এসে মিষ্টির দোকানে কাজ শুরু করেন। দুর্গা প্রসাদের মৃত্যুর পর মহাদেব পাঁড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েন। ঘুরতে ঘুরতে চলে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তখন তিনি পৌর এলাকার মেড্ডার শিবরাম মোদকের দোকানে কাজ শুরু করেন। শিবরামের দোকানে বানানো মহাদেব পাঁড়ের সেই ছানামুখী কয়েক দিনের মধ্যেই আলোচনায় চলে আসে। দীর্ঘদিন পর অন্য দোকানদাররাও ছানামুখী বানানো শুরু করেন।

Header Ad

সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুতে পাল্টা শর্ত জুড়ে দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কখনো ব্যবসায়ী হিসেবে, কখনো খোলোয়াড় আবার কখনো বা রাজনীতিবীদ। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে অনেকটা বিপাকে পড়েন সাকিব। যার কারণে অবস্থান করছেন দেশের বাইরে। দলের সঙ্গেও যোগ দিচ্ছেন সেভাবেই। এরইমধ্যে ভারতের কানপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের মাটিতে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চান বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই তারকা। যদিও টাইগার ক্রিকেটে অবশ্য মাঠ থেকে বিদায়ের নজির খুব একটা নেই।

সাকিবের জন্য বিষয়টি যে খুব একটা সহজ নয় তা তিনি নিজেও জানেন। বিশেষ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণের চোখে অবস্থান বদলেছে সাকিবের। ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকেই আত্মগোপনে আছেন, অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ঢাকার আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে সাকিবের নামে। সেই সূত্রে সাকিব জানিয়েছিলেন, দেশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলেই অক্টোবরে মিরপুরে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে নামবেন তিনি। শুধু তাই নয়, খেলা শেষ করে নিরাপদে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তাটাও চেয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ পুরো ব্যাপারটি ঠেলে দিয়েছেন সরকারের কোর্টে। তিনি বলেছেন সাকিবের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি বোর্ড দেখবে না।

আজ রোববার শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, 'সাকিব আল হাসানের পরিচয় দুটি, এটি মনে রাখতে হবে। তিনি একজন খেলোয়াড়। সে হিসেবে তার যতটা নিরাপত্তা দেয়া দরকার সেটা দেয়া হবে। অপরদিকে তিনি একজন রাজনীতিবিদও। আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতি করেছেন। মানুষের মধ্যে এই দুই পরিচয় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। এখন খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের একজন খেলোয়াড়কে যতটুকু নিরাপত্তা দেয়ার দরকার ততটুকু আমরা দেব।'

এসময় সাকিবের প্রতি অনেকটা শর্ত আরোপের সুরে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে যদি ক্ষোভ থাকে, তাহলে নিজেকেই তার সংশোধন করতে হবে। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সাকিবকেই স্পষ্ট করতে হবে।

আসিফ মাহমুদ যোগ করেন, ‘রাষ্ট্রের জায়গা থেকে রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিককেই নিরাপত্তা দিতে বাধ্য এবং সেটা আমরা অবশ্যই করব।’

'তার বিরুদ্ধে যে হত্যা মামলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই বলেছি এবং আইন মন্ত্রণালয়ও বলেছে, তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে প্রাথমিকভাবেই নাম বাদ দেয়া হবে।'

উপদেষ্টা আসিফ বলেন, তার (সাকিব আল হাসান) রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে জনগণের মধ্যে যদি ক্ষোভ থাকে, তাহলে…। মনে করুন, আমার নিরাপত্তার জন্য পাঁচজন পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন গানম্যান থাকেন। আমার উপরে যদি দেশের ১৬ কোটি জনগণের ক্ষোভ থাকে, তাহলে তারা আমাকে কী নিরাপত্তা দেবেন?

তিনি বলেন, 'জনগণের যদি কোথাও ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা আমাকে রিডিউস করতে (কমাতে) হবে আমার কথা দিয়ে। আমার মনে হয়, তার নিজের জায়গা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, রাজনৈতিক জায়গা থেকে, তার যে রাজনৈতিক অবস্থান, তা নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। অলরেডি মাশরাফি বিন মুর্তজা কথা বলেছেন।'

এসময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাও টেনে আনেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, 'শেখ হাসিনাকেও নিরাপত্তা দেওয়া যায়নি, তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। সে জায়গায় রাজনৈতিক বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করি। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের দায়িত্ব এবং সে দায়িত্ব আমরা পালন করি।'

ভারতের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন পরিকল্পনা

ভারতের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন পরিকল্পনা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগকে পুনরায় শক্তিশালীভাবে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা শুরু করেছে ভারত। ইতোমধ্যে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে ভারতের বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত এবং বর্তমান কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল "বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় প্রকল্পসমূহ এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন।"

প্রথমেই বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রকল্পগুলোর সফল এবং বাধাহীন বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। পাশাপাশি শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ভারতের স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকগুলো পুনর্বিবেচনা করা হলেও, সম্পাদিত চুক্তিগুলো থেকে সরকার যেন সরে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।

২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের "মিনিটস অব দ্য মিটিং" জার্মানি ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম "দ্য মিরর এশিয়া"র হাতে পৌঁছে, যা তারা প্রকাশ করেছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ওবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ), বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশন এবং ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস (আইডিএসএ)-এর প্রতিনিধিরা। এছাড়া, সাংবাদিক ও একাধিক বিশিষ্ট অধ্যাপককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মতামত দিতে।

বৈঠকে আলোচনার মূল কেন্দ্রে ছিল আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন পরিকল্পনা। বৈঠকে উপস্থিত একজন প্রতিনিধি উল্লেখ করেন যে, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে যদি নির্বাচন হয়, তবে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। তবে, বিএনপি ক্ষমতায় এসে জনপ্রিয়তা হারাতে পারে এবং বাংলাদেশের দ্বি-দলীয় রাজনৈতিক বাস্তবতায় তখন জনগণের সমর্থন আওয়ামী লীগের দিকে ঘুরে যাবে।

আলোচনায় শেখ হাসিনার ২০০৯ সালের ভূমিধ্বস বিজয়ের উদাহরণ তুলে ধরা হয়। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরানোর জন্য বর্তমানে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া এবং আসন্ন নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়া হয়। বৈঠকে একজন থিঙ্ক ট্যাংক প্রতিনিধি বাংলাদেশে গিয়ে ভারতের অরাজনৈতিক বন্ধুদের পরামর্শ নেয়ার প্রস্তাব করেন, যাতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।

একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ৫ আগস্টের আগে এবং পরে দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা আশ্রয় নিয়েছেন এবং তারা ভারতের সাহায্য চেয়েছেন সংগঠিত হতে। তবে ভারতে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিতে হলে "অল পার্টি পার্লামেন্টারিয়ান কমিটি"-র অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

বৈঠকে উপস্থিত একজন বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালেও আওয়ামী লীগ ভারতে বসে দল পরিচালনা করেছে। কলকাতা ও আগরতলায় তারা মিটিং করেছে, এমনকি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সংকটকালে ভারতে দলীয় কর্মকাণ্ড চালানোর ইতিহাস নতুন নয়। তিনি ভারতে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত হওয়ার অনুমতি দেয়ার পক্ষে মত দেন।

তবে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অবসরপ্রাপ্ত এক কূটনীতিক সতর্ক করেন যে, ভারতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম যেন গোপনে হয় এবং তা গণমাধ্যমে প্রকাশ না পায়। অন্যথায়, ভারতের বর্তমান সরকারের সাথে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তিনি আরও যোগ করেন, ২০১৪ সাল থেকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার অভিযোগ ভারত অস্বীকার করলেও আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে এ বিষয়ে গর্ব করেছেন। এ কারণে, আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে যথাযথ দিকনির্দেশনা দেয়ার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ভুটানকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শেষ বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব ২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শুরুটা খারাপ হলেও জয় দিয়ে শেষ করলো বাংলাদেশ। অবশেষে শেষ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেলো লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। নিজেদের শেষ ও চতুর্থ ম্যাচে ভুটানকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলার দামালরা।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামের ল্যাচ ট্রে স্টেডিয়ামে এই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে বাছাইপর্বের এ গ্রুপে গুয়াম ও ভুটানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। ৪ ম্যাচে পয়েন্ট ৪ নিয়ে গ্রুপের তৃতীয় সেরা দল হয়ে বাছাইপর্ব শেষ করল তারা। একটি জয়ের বিপরীতে তাদের হার দুটো, ড্র করেছে একটি ম্যাচে।

এদিন ম্যাচের চার মিনিটে আসাদুল মোল্লার অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মিরাজুলের পাস থেকে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে আচমকাই শট করে বসেন আসাদ। ভুটান গোলরক্ষককে চমকে দিয়ে বল গিয়ে জালে জড়ায়। এরপর বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ভুটান। তবে ফিনিশিংয়ে অভাবে গোল পাচ্ছিল না তারা। কিন্তু ৭০তম মিনিটে সমতায় ফেরে ভুটান।

রক্ষণভাগ থেকে দারুণ এক বল বাড়ান ভুটান ডিফেন্ডার, সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন আসাদুল ইসলাম সাকিব। তবে বলটা পোস্টে লেগে জাল না জড়ালেও গোললাইন পেরিয়ে যায়। যার ফলে সমতায় ফেরে ভুটান।

এরপর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু সাফল্য পায় একদম শেষের দিকে এসে। ৮৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে মইনুল ভুটানের গোলরক্ষকে পরাস্ত করলে বাংলাদেশ আবার এগিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ের বাকি চার মিনিট ও ইনজুরি সময়ের চার মিনিটে কোনো বিপদ না হওয়ায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ সংবাদ

সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুতে পাল্টা শর্ত জুড়ে দিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
ভারতের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন পরিকল্পনা
ভুটানকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শেষ বাংলাদেশের
২৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৫ হাজার কোটি টাকা
সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনা নিখোঁজ
শাহজালাল বিমানবন্দরের চারপাশকে ‘সাইলেন্ট জোন’ ঘোষণা
সাগর-রুনি হত্যা মামলায় লড়বেন আইনজীবী শিশির মনির
উবার ও পাঠাওকে ৪০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ
তিস্তা ও অন্যান্য নদীর পানিতে রংপুরসহ ৫ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
জয়কে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানের সাজা স্থগিত
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী
নওগাঁয় ভোররাতে যুবদল নেতার বাড়িতে ডাকাতি, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ
ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
উন্নয়ের নামে মহাসাগর চুরি করেছেন হাসিনা: রিজভী
‘দেশ আমাদের সবার, কোন দল কিংবা ব্যক্তির নয়’- জামায়াতে ইসলামীর আমীর
আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘বাংলা মিশন’: হাসিনাত্তোর বাংলাদেশে ‘র’-এর পরিকল্পনা
চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন