শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাপ-ছেলের ত্রাসের রাজত্বের অবসান, স্বস্তিতে দলীয়রাও

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে ক্ষমতার সর্বোচ্চ অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে মিতুল হাকিমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, মিতুল হাকিমের নেতৃত্বে এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের বিপক্ষে কেউ কথা বললে চরম মূল্য দিতে হতো। লুট করেছেন কোটি কোটি টাকা। রেহাই পাননি জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীরাও।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টানা ১৬ বছর জিল্লুল হাকিমের দাপট দেখেছেন পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দির মানুষ। বাপ-বেটার সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে। খুনের অভিযোগও কম নয়। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে তাদের সেই ত্রাসের রাজত্বের অবসান হয়েছে।

এতদিন ভয়ে মুখ না খুললেও এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকে জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নৌকার টিকিটে ৫ বার সংসদ সদস্য হন জিল্লুল হাকিম। এক সময় মাত্র ৫০ হাজার টাকার জন্য মনোনয়ন কিনতে পারছিলেন না। অথচ অবৈধ উপায়ে এখন তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক! ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন আলিশান মার্কেট।

আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে এতো দূর এলেও দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও রেহায় পাননি তার নির্যাতন থেকে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট কারচুপির মাধ্যমে নিজেদের আশীর্বাদপুষ্টকে জিতিয়ে নিতেন জিল্লুল ও তার ছেলে। তাদের বিপক্ষে কথা বললেই চরম মূল্য দিতে হতো। নিজ দলের শত শত নেতাকর্মীকে এলাকাছাড়া করে রেখেছিলেন তারা। বাবা-ছেলের পালিয়ে যাওয়ার পর এখন মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন রাজবাড়ী-২ আসনের বাসিন্দারা। তাদের নির্যাতনে এলাকা ছাড়া মানুষ ৫ আগস্টের পর থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার বিভিন্ন পদে নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও বিভিন্ন অফিস থেকে ১৫ শতাংশ করে কমিশন নিতেন জিল্লুল হাকিম। অবৈধ নিয়োগে সহায়তা না করায় ১১ বছর এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে কর্মস্থলে ঢুকতে দেননি তিনি। তার বেতন-ভাতাও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী নাদের হোসেন। রাজনীতি করতেন জিল্লুল হাকিমের সঙ্গেই। তবে প্রতিবাদ করতেন জিল্লুলের সমস্ত অন্যায়ের। ফলে ক্ষমতাধর জিল্লুলের বাঁকা নজরে পড়েন কৃষক লীগের এ নেতা। ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে তাকে। মামলা করেও কোনো বিচার পায়নি পরিবার।

পরিবারের দাবি, জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে মিতুল হাকিমের নির্দেশেই সন্ত্রাসীরা মুন্সী নাদের হোসেনকে হত্যা করে।

নাদের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সী বলন, ‘আমার বাবা এলাকায় খুবই জনপ্রিয় একজন রাজনীতিবীদ ছিলেন। জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে তারা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। বাবা হত্যার বিচার চাওয়ায় তারা আমাকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। জিল্লুল হাকিম তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিচার কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। ফলে এখন পর্যন্ত আমি বাবা হত্যার বিচার পাইনি।’

জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর অপকর্ম নিয়ে ২০১৭ সালে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন পাংশা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এজন্য চরম মূল্য দিতে হয় তাকে। লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে কয়েক টুকরো করা হয় তার হাত-পা। মামলা করলেও পরে তা তুলে নিতে হয় তাকে।

সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। এ হামলার নির্দেশদাতা জিল্লুল ও তার ছেলে মিতুল। আমি এ হামলার বিচার চাই। আর এ ঘটনার কারণেই আমার বাবা মারা গেছেন। এ কারণে আমার পরিবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো তাদের ভয়ে রয়েছে আমার পরিবার, কারণ তাদের অসংখ্য ক্যাডার বাহিনী আছে।’

জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলের নির্দেশ অমান্য করে ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর পাংশা উপজেলা পরিষদে একটি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার শিডিউল কিনতে যান তাদেরই দলের কর্মী হৃদয় মীর। এ অপরাধে হাতুড়ি দিয়ে পিয়ে এবং পায়ের রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় এই যুবককে।

হৃদয় মীর বলেন, ‘মিতুল হাকিমের পালিত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বাম পায়ের গোড়ালির ওপরের রগ কেটে ফেলে। আমি চিৎকার করলে তারা আমার মুখের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকিয়ে আমার দুইটি দাঁত ভেঙে ফেলে। পরে হাতুড়ি দিয়ে আমাকে মারপিট করে এবং ধারালো চাপাতি দিয়ে আমার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়।’

পাংশা বয়রাট মাজাইল ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসার সহকারী একটি শূন্য পদে জিল্লুল হাকিম অবৈধভাবে নিয়োগ দিতে চায়। আমি সেই কাগজে স্বাক্ষর না করার কারণে জিল্লুল হাকিমের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে অফিসে আটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে আমাকে মাদ্রাসায় ঢুকতে দেয়নি। প্রভাব খাটিয়ে এই দীর্ঘ সময় ধরে আমার বেতন-ভাতাও বন্ধ করে রেখেছে। আমি তার কাছে বছরের পর বছর ঘুরেছি। এটা নিয়ে কোনো সমাধান করেনি। বরং যখনই তার কাছে গিয়েছি তখনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও তার ছেলের ক্যাডার বাহিনী আমার ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।’

পাংশা বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক এস এম আতাউল্লাহ শামীম রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রাতে জিল্লুল এবং তার ছেলের মোটরসাইকেল বাহিনী এসে আমাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। আমার অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। একমাত্র আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। এখন সময় এসেছে তাই এ সন্ত্রাসী বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে আমি মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।’

জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে মিতুল হাকিম তাদের ক্যাডার বাহিনীকে গোপন অস্ত্র দিয়েছিল বলেও দাবি করেন এ শিক্ষক।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে জিল্লুল হাকিমের পাংশা পৌর শহরের বাড়িতে গেলে বাড়ির গেট তালাবদ্ধ দেখা যায়। জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে মিতুল হাকিমের ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক এই রেলমন্ত্রী, তার ছেলে মিতুল হাকিমসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে তিনটি ও বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি জিল্লুল ও মিতুলের। গাঢাকা দিয়েছে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীও।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত