সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারী সেই আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল খানের বাড়ী টাঙ্গাইল। তিনি টাঙ্গাইল পৌর শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
শ্যামল খান সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শাস্তি চেয়েছেন টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় মনসুর বিন সাইদ বুলবুল বলেন, আইন উপদেষ্টার সাথে এই দুর্ব্যবহার করা শ্যামল খানের ঠিক হয়নি। আমরা তার শাস্তি দাবি করছি।
একই এলাকার মামুন বলেন, বিগত দিনে জাতীয় নির্বাচনের সময় শ্যামল খান দেশে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের টাকা দিতেন। তিনি আওয়ামী লীগের ডোনার ছিলেন। সেই টাকা দিয়ে অবৈধভাবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তিনি যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন তা টাঙ্গাইলের জন্য মানহানিকর। আমরা তার বিচার চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মো. আল আমিন বলেন, ড. আসিফ নজরুল খান একজন সম্মানিত ব্যক্তি। ২৪ এর অভ্যুত্থানের একজন যোদ্ধা। রবিবার (১০ নভেম্বর) শ্যামল খানের বাসার অভিমুখে কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ ঘটনায় শ্যামলা খানের ভাই কামরুল হাসান খান বাবুল বলেন, তিনি প্রায় ৩০ বছর যাবত সুইজারল্যান্ডে বসবাস করে আসছেন। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে শ্যামল খান চতুর্থ। শুনেছি তিনি বিগত ১০ বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল। গাড়ি বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন। উপদেষ্টা জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত হেনস্তাকারীরা তাকে বিরক্ত করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানসহ অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা সেখানে নেতৃত্ব দেন।