ভূঞাপুরে পুলিশের মামলার আসামি ৮০০, এলাকা পুরুষশূন্য
আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ বালুর ঘাট দখলকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার এবং নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ গ্রুপের মধ্যে দফায় দাফায় সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ থেকে ২০ জন আহতও হয়।
এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলা করেন।
মামলায় ভূঞাপুর থানার স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং মাসুদুল হক মাসুদের গ্রুপের নুর আলম মণ্ডল নুহুকে এক নম্বর, ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার গ্রুপের আব্দুল করিম মেম্বারকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। এ ছাড়া ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭০০-৮০০ জনকে আসামি করা হয়।
ওই দিন রাতেই মামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় নিকরাইল ইউনিয়নের পুনবার্সন, সারপলশিয়া, পলশিয়া, সিরাজকান্দি, ন্যাংড়া বাজার ও পাটিতাপাড়াসহ আটটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে গ্রেপ্তার আতঙ্ক। এতে দিনের বেলায় দুই-চারজনের দেখা মিললেও রাতে কেউ বাড়ি থাকছে না। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, বালু ঘাটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিকরাইলে সাবেক ও বর্তমান চেয়রাম্যানের লোকজনে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ৬ থেকে ৭ জন পুলিশ আহত হয়। এ সময় গুলি করার কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ছাড়া সংঘর্ষের সময়ের ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আশা করছি, দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে। বালু ঘাট ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ, গত বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বাগানবাড়ী নামক এলাকায় বালু ঘাট দখল ও আধিপত্য নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। উভয়পক্ষের আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। এরপর থেকেই এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।
এফএস