বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির তথ্য ও সংখ্যা নিয়ে বিভ্রাট
বঙ্গোপসাগরের গভীরে প্রবল ঝড়ের কবলে পড়া ট্রলার, জেলেদের নিখোঁজ ও নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রাট সৃষ্টি হয়েছে। জেলে, ট্রলার মালিক সমিতি ও কোস্টগার্ড কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যে এ বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়।
তবে নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, জেলে ও কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ঠরা।
বাংলাদেশ ফিসিং বোট মলিক অ্যাসোসিয়েসন ও বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, "ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে এফবি মায়ের দোয়া, এফবি আনিছ ও এফবি ইলিয়াস নামের ট্রালারের নাম জানা গেছে।"
এফবি মায়ের দোয়া ও এফবি আনিচ ট্রলার মালিকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, "জেলেদের কাছ থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ ট্রলার ডুবির খবর পাওয়া গেছে ও ২৫ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং ৩০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।"
তবে তার ধারণা, ট্রলার ডুবির ঘটনার প্রায় ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পরও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের খবর না পাওয়ায় তাদের বেঁচে না থাকার সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে, দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, মোট কতগুলো ট্রলার সাগরে ডুবে গেছে এখনো শতভাগ নিশ্চিতভাবে তার তথ্য জানা যায়নি। তবে মাঝিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার ডুবে গেছে বলে তথ্য পেয়েছেন তারা।
পাথরঘাটা ও বরগুনার জেলেদের বিষয়ে তথ্য জানতে যোগাযোগ করা হলে কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোন পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হারুন-অর রশিদ বলেন, "ট্রলার ডুবির ঘটনার কোনো তথ্য আমাদের স্টেশনে এখন পর্যন্ত আসেনি।"
অপরদিকে, যোগাযোগ করা হলে কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোন স্টেশনের লেফটেন্যান্ট মো. রুস্তুম বলেন, "ট্রলার ডুবির খবর পাওয়ার পর রাত থেকে আমাদের পেট্রলিং টিম সাগরে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২টি ট্রলার এবং ৩ জেলেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের পেট্রলিং টিম বর্তমানে নেটওয়ার্কের বাহিরে থাকায় এর চেয়ে আপডেট জানাতে পারছি না। সর্বশেষ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গণমাধ্যমকে জানানো হবে।"
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবন সংলগ্ন গভীর সমুদ্রের ফেয়ার বয়া এলাকায় একাধীক মাছধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বেশকিছু জেলে উদ্ধার হলেও অনেক জেলে এখনো নিখোঁজ আছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য ট্রলার মালিক সমিতি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
এমএ/এমএসপি