দুই গৃহবধূর হাত ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক স্বামীদের বিরুদ্ধে
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের খামারনাচকৈড় মহল্লায় ব্লেড দিয়ে দুই গৃহবধূর হাত ও ছুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীদের বিরুদ্ধে! এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই দুই গৃহবধূর নাম সুখি ও সুমি খাতুন। তারা ওই মহল্লার হযরত আলী মোল্লার মেয়ে। বর্তমানে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
সুখি ও সুমি দাবি করেন, সুমির বিয়ে হয়েছিল চাঁচকৈড় পুড়ানপাড়া মহল্লার সবুজ আলীর সঙ্গে। সুখিরও বিয়ে হয়েছিল একই মহল্লার আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। সুখির স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সুখি ও আলমগীরের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অপরদিকে পারিবারিক কলহে সবুজ আলীও নাটোর কোর্টে গিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি সুমিকে তালাক দেয়।
তারা আরো জানান, শুক্রবার রাতে সবুজ, আলমগীর ও আলমগীরের দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা তাদের বাড়িতে এসে ডিভোর্স পেপারে সাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। সাক্ষর না দিতে চাওয়ায় সুমিকে মারধর করে সবুজ। এ সময় প্রতিবাদ করলে সকলে মিলে সুখির দুই হাত ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়। এরপর তারা সুখির চুল কেটে পুড়িয়েও দেয়। এ সময় তারা দুই-বোনই আহত হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মা বাদী হয়ে থানায় নিয়মিত মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এদিকে দুই গৃহবধূর অভিযোগ অস্বিকার করে সবুজ ও আলমগীর জানান, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কেননা তাদের সঙ্গে সংসার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বিচ্ছেদের পর আর কোনও সম্পর্ক নেই।
কেএম/এসআইএইচ