বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ৮৭ জনের নামে সিলেটে মামলা

শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) সিলেট মেট্রোপলিটন ১ম ও দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট নগরের ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কলবাখানি এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে জুবের আহমদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট নগরের কোর্ট পয়েন্ট ও বন্দরবাজার এলাকায় ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা নির্বিচারে গুলি বর্ষণের ঘটনায় বাদী নিজেও গুলিবিদ্ধ হন। আওয়ামী লীগ সরকারের ৭ জন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, সাবেক আইজিপি, এমপি, মেয়রকে আসামি করা হয়েছে। আসামি হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (৭৬), তার বোন শেখ রেহানা (৭০), সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (৭৪), সাবেক স্বারাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (৭৩), সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ (৬১), সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুর রহমান (৬৮), সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান (৭৩), সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম (৭০), সাবেক সংসদ সদস্য ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু (৭৫), ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন (৭৭), সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর রশিদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান।

আসামির তালিকায় আরও আছেন- সাবেক ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ওরফে ভিপি শামীম, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ, বিয়ানীবাজারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি দে, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার ও মেয়রের এপিএস সাজলু লস্কর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, তার সহযোগী পাঙ্গাস, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, হবিগঞ্জের ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজের ছেলে রুহুল আমিন শিবলু, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য কামরান আহমদ, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রেদুয়ান আহমদ, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা জনি, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, সিসিকের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম।

এছাড়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি তাহমিন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার, সদস্য নেতা শাহ ফয়েজ, সৈয়দ তকিউর রহমান, আনিছ মাহমুদ, আব্দুল হামিদ তৌহিদ, নুর ইসলাম, মইনুল ইসলাম, মিসা সুমন, সিলেট সিটি করপোরেশনের বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবুল ফজল খোকন, দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার আলী, সিলাম ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল মিয়া, সিলাম ইউপি জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বাবুল মিয়া, শাহ দেলোয়ার মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আশরাফ খান মাসুম, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, ১৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শেবুল আহমদ ওরফে সাগর, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াসুর রহমান দিনার, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নজরুল ইসলাম ও মঈন উদ্দিন, কানাইঘাট উপজেলার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মকরম আলী, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ফয়সল আহমদ, উপজেলার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, কানাইঘাট ইউপির ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, নগরের মাছিমপুর এলাকার দিপু আহমদ, সিসিকের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুগনি খোকা, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিমাদ আহমদ রুবেল, সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক বতু শাহ, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হামিদ তাহমিদ।

এছাড়া অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ক্রাইম ও উত্তর) সাদেক দস্তগীর কাউছার, অতিরিক্ত উপ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, সহকারি পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী) মিজানুর রহমান, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আবু সুফিয়ান, কোতোয়ালির থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন, কোতোয়ালির ওসি তদন্ত ফজলুর রহমান, বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, এসআই কাজি রিপন সরকার, কনস্টেবল সেলিম মিয়া, কনস্টেবল আজহার, কনস্টেবল ফিরোজ ও উজ্জলসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০/৬০০ জনকে আসামি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি