রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ | ২১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিরামপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দোকান বরাদ্দের নামে কোটি টাকা ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় সরকারি অর্থায়নে নির্মিত একটি গ্রোথ সেন্টারে দোকান বরাদ্দের নামে দোকানিদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

২০ আগস্ট, মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ২ নম্বর কাটলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের কাটলা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের ঘনিষ্ট সহচর ইউনুছ আলী মণ্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ‘গ্রামীণ হাটবাজার উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় ২০২৪ সালের এপ্রিলে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৯ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয়ে কাটলা বাজারে গ্রোথ সেন্টারের ওই ভবন নির্মাণ করা হয়। গ্রোথ সেন্টারের নিচতলায় ৫টি শেডে ৩৮টি উন্মুক্ত দোকান ও দ্বিতীয় তলায় ২৪টি দোকানঘর রয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে গ্রোথ সেন্টারের দোকানগুলো স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ দেয়ার কথা ছিল। ওই জায়গায় গ্রোথ সেন্টার নির্মাণের পূর্বে স্থানীয় ৫৪ জন খুচরা ব্যবসায়ীর শাকসবজি, মুদিদোকানসহ বিভিন্ন দোকান ছিল। তাঁদের অগ্রাধিকারভিত্তিক দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গ্রোথ সেন্টারের ভবনটি নির্মাণের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের ঘনিষ্ট সহচর ইউনুছ আলী মণ্ডলের কাছে হস্তান্তর করেন।

চেয়ারম্যান গ্রোথ সেন্টারের নিচতলায় বিভিন্ন শেডে দোকান বরাদ্দের জন্য ৩৮ দোকানদারের কাছ থেকে অবৈধভাবে দোকানপ্রতি দেড় থেকে ৩ লাখ টাকা নেন। এ ছাড়া গ্রোথ সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় নির্মিত ২৪টি দোকান বরাদ্দ দিতেও তিনি বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেন। চেয়ারম্যান নিজে ও তাঁর আস্থাভাজন কামরুজ্জামান ও সোহেল রানার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এভাবে দোকান বরাদ্দের নামে কোটি টাকার বেশি ঘুষ নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে গ্রোথ সেন্টার নির্মাণের আগে সেখানকার দোকানদারদের মধ্যে যাঁরা নতুন শেডে দোকান বরাদ্দ নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে পারেননি, তাঁদের ওই গ্রোথ সেন্টারে দোকান বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে ব্যবসায়ীরা তাঁদের কাছ থেকে চেয়ারম্যানের অন্যায়ভাবে নেওয়া টাকাগুলো ফেরত চাওয়াসহ চেয়ারম্যান ও তাঁর সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দোকানঘর বরাদ্দের নামে ইউনুছ আলী মণ্ডল দোকানদারদের কাছ থেকে দোকানের অবস্থান ও গুরুত্ব অনুযায়ী দোকানপ্রতি সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন।

গ্রোথ সেন্টারে দোকান না পাওয়া স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র বলেন, ‘গ্রোথ সেন্টারের নির্মাণকাজ চলাকালে ইউপি চেয়ারম্যান নতুন মার্কেটে দোকান দিতে চেয়েছিলেন। তখন আমি ও আমার বড় ভাই ধার দেনা করে দুজনে ৩ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকা দিয়েছি। পরে আর সেখানে আমাদের দোকান দেননি। গ্রোথ সেন্টারে দোকান বসাতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান তাঁদের দলীয় লোকজন দিয়ে দোকান বসাতে বাধা দেন। আমি ছোট ব্যবসায়ী ও গরিব মানুষ। সুষ্ঠু তদন্ত করে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আমার টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করে দিন।’

এ বিষয়ে কাটলা হাটবাজার বণিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুল মিয়া বলেন, বাজারে সরকারিভাবে গ্রোথ সেন্টার নির্মাণের আগে দোকানদারেরা যে জায়গায় ছিলেন, তাঁদের সেই জায়গায় দোকান বরাদ্দের কথা ছিল। কিন্তু গ্রোথ সেন্টার নির্মাণের পর মার্কেট উদ্বোধনের আগেই চেয়ারম্যান বিভিন্ন দোকানদারের কাছে অবৈধভাবে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ইচ্ছেমতো জায়গায় দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন। ফলে যাঁরা চেয়ারম্যানকে টাকা দিতে পারেননি, তাঁদের দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়নি। এতে অনেক দোকানদার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মধ্যে আজ ২৭ জন ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অন্যরা কাল–পরশু অভিযোগ করবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী মণ্ডলের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিরামপুর উপজেলার ইউএনও এবং উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নুজহাত তাসনীম বলেন, কাটলা বাজারের সরকারি গ্রোথ সেন্টারে দোকান বরাদ্দের নামে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী মণ্ডলের বিরুদ্ধে ২৭ জন ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর গ্রোথ সেন্টার বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের মধ্যে দোকান বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে।

Header Ad

কেমন হবে আজ গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির পিচ ?

ছবি: সংগৃহীত

টেস্ট সিরিজ শেষ করে ভারতের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। যেখান থেকে পরবর্তী ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে চায় শান্ত’র দল। টেস্টে টাইগাররা ধবলধোলাইয়ের পর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা ঘুরে দাঁড়াতে চায়।

ভারতের গোয়ালিয়রে রোববার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুখোমুখি হবে দুই দল । শ্রীমাণ মাধবার সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে কিছু আলোচনা চলছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণত যেমন পিচ দেখা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না চলা এই মাঠের পিচ এবার কেমন আচরণ করবে- তাই এখন দেখার বিষয়।

এই সিরিজকে বলা হচ্ছে দুই দলের জন্যই এক নতুন শুরু। টাইগাররা যেমন সাকিব আল হাসান পরবর্তী অধ্যায় শুরু করছে এই ফরম্যাটে। অন্যদিকে, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসরের পর তরুণদের সমন্বয়ে গড়া দল নিয়ে ভারত টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে।

গোয়ালিয়রে এদিন আবহাওয়ার খবরে সুসংবাদ মিলেছে দুই দলের জন্যই। বৃষ্টির সম্ভাবনা (৪ শতাংশ) আদতে শঙ্কা জাগানোর মতো নয়। এ ছাড়া তাপমাত্রাও থাকবে অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার সঙ্গে ৮০ শতাংশের কম আদ্রতা থাকবে। ম্যাচ শুরুর সময়ে মধ্যপ্রদেশের শহরটিতে সন্ধ্যায় অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া থাকবে বলে জানা গেছে।

গোয়ালিয়রের মাঠের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে অবশ্য পিচ সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া যায়। এই মাঠে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে ১৪ বছর আগে। সংস্কার করার পর এই মাঠে প্রথমবারের মতো খেলবে দুই দেশ। তবে ঘরের মাঠে ভারতের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে এদিনও রানের পিচ হতে পারে মনে করা হচ্ছে। সবশেষ এক বছরে ভারতের মাঠগুলোয় গড়ে রান উঠেছে ১৯০। আট ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই আগে ব্যাটিং করা দল ২০০–এর বেশি রান তুলেছে। সিন্দিয়া স্টেডিয়ামের পিচ সাধারণত লাল মাটির হয়ে থাকে। যেটি বাউন্স ও পেসারদের জন্য উপযোগী। একইসঙ্গে ব্যাটাররাও রান তোলার ক্ষেত্রে সুবিধা পান।

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এবিপি থেকে জানা যায়, সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাধারণত লাল মাটির পিচ হয়ে থাকে। যা বাউন্স ও পেসারদের জন্য উপযোগী হয়ে থাকে। এখানে ব্যাটাররাও রান তোলার ক্ষেত্রে সুবিধা পায়। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত দুই দল খেলেছে ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, যেখানে ভারত জিতেছে ১৩টি, বাংলাদেশ কেবল ১টি।

Header Ad

আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা সেই যুবলীগ নেতা মুছা গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে চলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিরাজগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করে ভাইরাল হওয়া সেই যুবলীগ নেতা আবু মুছাকে (৪২) কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ সদর কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথা জানানো হয়।

এর আগে সন্ধ্যায় র‌্যাব-১২ এবং র‌্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে কক্সবাজারের সদর উপজেলার পৌর এলাকার কলাতলী বিচ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আবু মুছা সিরাজগঞ্জ শহরের দত্তবাড়ি মহল্লার মৃত ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানুর ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানতে পারেন গ্রেপ্তার আসামি আবু মুছা ওরফে কিলার মুছা বিগত সময়ে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর প্রধান ক্যাডার হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় অস্ত্র ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।

এছাড়াও গত ৪ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ শহরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে হামলা চালানোর কথাও সে স্বীকার করেছে। যার ভিডিও ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ শহরে পৃথক সংঘর্ষ চলাকালে গুলি করে এবং কুপিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার মুছা প্রতিটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গত ২ মাস যাবত গ্রেপ্তার এড়াতে সে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। কক্সবাজার থেকে সুযোগ বুঝে সে সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার এসব মামলার অন্যতম আসামি সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুকে মৌলভীবাজারে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তারা বর্তমানে জেলা যুবদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

Header Ad

৩৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কবলে শেরপুর

ছবি: সংগৃহীত

গত ৩৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কবলে শেরপুর জেলার বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের পাঁচ উপজেলার অন্তত দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভয়াবহ এই বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

রোববার (৬ অক্টোবর) নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নিম্নাঞ্চলের অন্তত দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নালিতাবাড়িতে সড়ক ভেঙে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৬টি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যার কারণে অনেকের বাড়ি-ঘর পানিবন্দি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। ঝিনাইগাতী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সব সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৩৫ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি স্থানীয়রা। এর মধ্যে মহারশীর বাঁধ ভেঙে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী, রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, বনকালি, চতল ও আহম্মদ নগর, ধানশাইল ইউনিয়নের ধানশাইল, বাগেরভিটা, কান্দুলী, বিলাসপুর ও মাদারপুর এবং কাংশা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর চরণতলা, আয়নাপুর, কাংশাসহ প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার দিনভর স্পিডবোট, নৌকা, ভেলা, টিউব ইত্যাদি নিয়ে চলে বন্যায় আটকেপড়াদের উদ্ধার অভিযান। এছাড়াও শুকনা খাবারসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বানভাসিদের মাঝে। এসব কাজে অংশ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

শনিবার সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছিল, পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী, কর্ণঝোড়া, মহারশী, ভোগাই ও চেল্লাখালীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। এদিকে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ছে। তিন উপজেলায় এখনো অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদ।

কৃষি বিভাগ জানায়, বন্যার পানিতে অন্তত ২০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং দেড় হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, জেলার তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ জন। দুর্গতদের উদ্ধারে শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। নতুন নতুন যেসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আমরা তার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পাশপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণেও কাজ করা হচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেমন হবে আজ গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির পিচ ?
আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা সেই যুবলীগ নেতা মুছা গ্রেপ্তার
৩৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কবলে শেরপুর
গাজার কেন্দ্রীয় মসজিদে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৮
কলকাতায় পিকে হালদারের ভাইসহ ৩ সহযোগীর জামিন
কেরানীগঞ্জে রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু, আহত ৪
বিরামপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপি'র শারদীয় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু; আক্রান্ত ৯২৭
ভারতে ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিজের ১৬ বছরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে
সিরাত মাহফিল থেকে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন আবু জাফর কাশেমী
টাঙ্গাইলে কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী
পিটিআই-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাকিস্তান, সেনা মোতায়েন
গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ২৫০০ পুলিশ মোতায়েন
শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার
৩ দিনে পালিয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার নয়, ক্ষতি সাড়ে ১২ কোটি !
এখন থেকে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন: প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
টাকায় থাকছে না শেখ মুজিবের ছবি, নতুন নকশার প্রস্তাব
মাঠ কাঁপিয়ে বেড়ানো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা এখন কোথায়?
নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারই বেশি গুরুত্বপূর্ণ: জামায়াত আমির