শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মহিমাগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি দুই ভুয়া সমন্বয়কের!

অভিযুক্ত শুভ ইসলাম ও আলামিন ইবনে রায়হান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চাঁদার টাকা না দেওয়ায় মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সমন্বয়ক ও সহ সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী দুই যুবক। তবে তাদের কেউ মহিমাগঞ্জের সমন্বয়ক ছিলেন না বলে জানিয়েছেন মহিমাগঞ্জের স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত দুই যুবক হলেন- শালমারা ইউনিয়নের আলামিন ইবনে রায়হান এবং নাকাইহাট ইউনিয়নের শুভ ইসলাম। শুভ অত্র মাদ্রাসার ছাত্র হলেও আলামিন অত্র মাদ্রাসার নিয়মিত ছাত্র নন।

ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে, আল-আমিন মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তদবির নিয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে আসতেন। অধ্যক্ষ তার অবস্থান থেকে সাহায্য করার চেষ্টাও করেছেন। একসময় তার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অধ্যক্ষ আলামিনের থেকে দূরত্ব তৈরি করেন। তারপর থেকেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় উসকানিমূলক কথা বলতে শুরু করেন আল আমিন।

আরেক অভিযুক্ত শুভ ইসলাম আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র। তার বাড়ি নাকাইহাট ইউনিয়নের হওয়ায় নিয়মিত ক্লাস করতেন না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি মাদ্রাসায় যাতায়াত শুরু করেন। ওই সময় শুভসহ কয়েকজন ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে এসে চাঁদা দাবি করেন এবং জুলাই মাসের মাদ্রাসার মেসের টাকা না নেওয়ার জন্য বলেন ও মেস খোলা রাখার জন্য অধ্যক্ষকে চাপ দেন। পরবর্তীতে তৎকালীন সরকারের হল/মেস বন্ধের নির্দেশনা মোতাবেক হল/মেস বন্ধ করে দেয়া হয়।

পরবর্তীতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শুভ আবারও চাঁদার দাবি করতে শুরু করেন, এবার দাবি করেন আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করা অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় শুভগং মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন।

এরপর শুরু করেন ফেসবুকে পোস্ট ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি। বর্তমানে এই পরিস্থিতির সুযোগটা নিয়ে ফেলেন এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক, যার ভিতর অন্যতম মোঃ মাহামুদ হাসান- সহকারী অধ্যাপক এবং মোঃ তাওহীদ ইসলাম- মুহাদ্দিস অত্র মাদ্রাসা। এই ২ জন শিক্ষকের উসকানিতে সমন্বয়ক পরিচয়দানকারীরসহ গুটি কয়েকজন মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যার প্রমাণস্বরূপ, মাহামুদ হাসানের একটি অডিও প্রতিবেদকের কাছে আছে, যেখানে তিনি বলেছেন তোমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করো, স্থানীয় বিএনপি নেতারা কোন কথা বলার সাহস পাবে না, অপর পাশ থেকে অন্যজন বলেন স্যার, আপনাকে কিন্তু থাকতে হবে। মাহামুদ বলেন ১১ টার পরে আমরা থাকবো।

স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এদের কখনোই এই এলাকায় দেখি নাই। নিজেদের পরিচিতি করতেই এসব করছে এই ছেলেগুলো। মাদ্রাসার একজন অভিভাবক বলেন, গত কয়েক বছর থেকে অধ্যক্ষের পদটি স্থায়ী নেই। ৫ বছরের অধিক সময় বর্তমান অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত হিসাবে পরিচালনা করে আসছেন। যতদূর শুনেছি মাদ্রাসার সাবেক এক শিক্ষক অধ্যক্ষ হিসাবে আসতে চায়। তিনি তার পরিচিত শিক্ষক ও কয়েকজন ছেলেদের দারা এই কাজ করাতে পারেন বলে আমার মনে হয়। কারণ, বর্তমান অধ্যক্ষ থাকলে তিনি এই পদে আসতে পারবেন না।

এছাড়াও ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে মহিমাগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা  বলেন, আন্দোলন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এদের কোথাও দেখলাম না, তারা কীভাবে সমন্বয়ক হয়। এরা অনৈতিক বা নিজেদের স্বার্থে কিছু করলে ছাত্ররাই এদের প্রতিহত করবে। বহিরাগত কেউ এলাকার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে এটা আমরা মেনে নেব না।

এছাড়াও মহিমাগঞ্জ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, এরা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এসব করছে। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে এই দুইজন সহ কয়েকজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের দোকান থেকে চাঁদা তুলেছেন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেন। তিনি আরও বলেন, আলামিনের শ্বশুর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক এক সভাপতির বন্ধুর আত্মীয়। আমাদের স্থানীয়দের এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এরা বিএনপি জামাতের লেবাসে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে।

এদিকে মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, এই ছেলেগুলোর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন শত্রুতা নাই। তারা ফেসবুক থেকে পুরাতন কিছু ছবি নিয়ে আমাকে ব্লাকমেইল শুরু করেন। ভয়ভীতি দেখান। আমি চাকরি করি। আল্লাহর অশেষ রহমতে এতো বড় একটা প্রতিষ্ঠান গত ৫ বছর পরিচালনা করে আসতেছি। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার সুবাদে আমার সাথে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ এলাকার সকল মানুষের সাথে আমার সুসম্পর্ক ছিল, এখনো আছেন।

তিনি আরও বলেন, এই ছেলেগুলো শুধু আওয়ামী লীগের লোকজনের ছবি সামনে আনছে কিন্তু আমার সাথে বিএনপি জামাত ঘরনার অনেকের সাথে সুসম্পর্ক আছে সেটা তারা বলতেছেনা। তিনি আরও বলেন, আমাকে এই হয়রানির বিষয়ে আমি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি অবগত করেছি।

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের