বিদেশে পালানো ঠেকাতে শাহ আমানত বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যে জড়িত নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের বিদেশে পালানো ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে তারা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের দুই নেতার বিদেশ যাওয়া ঠেকিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তাদের সোপর্দ করেছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ এবং দেশত্যাগ করেন। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও সহিংসতায় জড়িত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশত্যাগ করতে পারেন, এই তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজনকে দেশত্যাগে বাধা দেওয়া হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট সৌদি আরবে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজকে আটকে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১০ আগস্ট দিল মোহাম্মদ নামে ফেনীর এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়। এ দুজনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনিকে গত ৯ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার ওপর যেসব পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গুলি-হামলা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে।