চুয়াডাঙ্গার শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়নাল আবেদীন ওরফে হাতকাটা নফর'কে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে তাকে দর্শনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জয়নাল আবেদিন নফর ওরফে হাতকাটা নফর দর্শনার পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক প্যানেল মেয়র। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও স্বর্ণ চোরাচালানসহ ৯টি মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টমোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে ওই দিন রাতে নফরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তার বাড়ি থেকে ২টি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি ছুড়ি ও ৬টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। পরে মঙ্গলবার তাকে দর্শনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর জানান, নফরের বিরুদ্ধে স্বর্ণ, মাদক চোরাকারবারী, অবৈধ অস্ত্র, হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন থানায় মোট ৯টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে "ফ্যাসিবাদের কফিন মিছিল" ব্যানারে এই মিছিল শুরু হয়।
মিছিলটি রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে কলাভবন প্রদক্ষিণ করে মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী নানা স্লোগান দেন এবং নিজেদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একটি সংবাদমাধ্যমের আলোকচিত্রী জানিয়েছেন, মিছিল শেষে মধুর ক্যান্টিনের সামনে আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়ে অবস্থান করছেন। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে নানা প্রতিবাদমুখী বক্তব্য দেন।
এ মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা দাবি করেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রক্ষায় এবং রাজনৈতিক পরিবেশকে শুদ্ধ করতে ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের অপতৎপরতা নিষিদ্ধ করা জরুরি।
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্টখ্যাত অভিনেতা আমির খান। শুধু অভিনেতা বললে ভুল হবে, তিনি একজন প্রযোজক তথা পরিচালকও। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বহুবার খবরে শিরোনামে দেখা গেছে এই নায়ককে।
জানা গেছে, এক মানসিক সমস্যার মধ্যে কাটাচ্ছেন আমির খান ও তার মেয়ে ইরা খান। ফলে দুজনকেই দৌড়াতে হচ্ছে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন আমির খান।
সম্প্রতি আমির খান জানিয়েছেন, তিনি তার মেয়ে ইরা খানকে নিয়ে একটি বিশেষ ধরনের থেরাপি নিচ্ছেন। এই থেরাপির মাধ্যমে নাকি বাবা মেয়ের সম্পর্ক আগে থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদী অভিনেতা। মানসিক প্রশান্তি এবং দুজনের সম্পর্কের উন্নতির জন্যই মূলত এই থেরাপি নেওয়া।
বিগত এক বছর ধরে বাবা মেয়ে একসঙ্গে এই থেরাপি নিচ্ছেন। এবার ঠিক কতটা মজবুত হল তাদের সম্পর্ক, সে বিষয়েও কথা বলেন আমির।
সম্প্রতি নেটফিক্সের একটি পডকাস্টে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে গিয়ে আমির খান বলেন, ‘আমি আর আমার মেয়ে জয়েন্ট থেরাপি নিচ্ছি। আমাদের সম্পর্কের মধ্যে কিছু সমস্যার সমাধান করার জন্যই এই কাজ করছি আমি। আমি একটু অস্বস্তিতে ছিলাম ঠিকই, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
আমির আরও বলেন, ‘আমরা দুজনেই বেশ কয়েক বছর ধরে থেরাপিস্ট-এর কাছে যাচ্ছি। এটি সত্যি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে আমাদের জীবনে। আমার মনে হয় সকলেরই থেরাপিস্ট-এর কাছে যাওয়া উচিত যদি জীবনে কোনও মানসিক চাপ বা সম্পর্কে কোনও সমস্যা থেকে থাকে। জীবন এবং সম্পর্কের মান দুটোই উন্নত হয়।’
এই থেরাপি নিয়ে আমির খানের মেয়ে ইরা বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে যে সমস্যা ছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে এই থেরাপি নেওয়ার পর। এটি শুধু আমাদের সম্পর্কের উন্নতি ঘটাচ্ছে না, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়া বাড়ছে ধীরে ধীরে।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির। ২০০২ সালে সেই সম্পর্কের ইতি টানেন তারা। ইরা রিনা এবং আমিরের মেয়ে। ২০০৫ সালে ফের কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির। কিরণ এবং আমিরের সন্তানের নাম জুনায়েদ। তবে দুর্ভাগ্যবশত ২০২১ সালে এই সম্পর্কেও ইতি টানেন আমির।