রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রমাণ হিসেবে বাবার শরীরের এক টুকরা মাংস চাই: আনারকন্যা ডরিন

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি বিশ্বাসই করতে পারছেন না তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। প্রমাণ হিসেবে তিনি তার বাবার ব্যবহৃত জিনিস অথবা অন্তত এক টুকরো মাংস চান।

রবিবার (২৬ মে) দুপুরে কালীগঞ্জের নিজ বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডরিন বলেন, ‘আমার বাবার ব্যবহৃত শার্ট-প্যান্ট, জুতা, হাতের দুটি আংটি, ব্রেসলেট, চশমা ও পকেটে থাকা চিরুনির কিছু একটা প্রমাণস্বরূপ আমাদের দেখাতে হবে। তার ব্যবহৃত আরো অনেক জিনিস ছিল। কিছু না কিছু একটা তো পাওয়া যাবেই। তা না হলে আমার বাবার শরীরের এক টুকরো মাংস ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ হিসেবে আমাকে দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করব কিভাবে যে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে?’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলা হয়। পরে ছুরি বা চাকু কিছু একটা দিয়ে তার শরীরের চামড়া ছাড়ানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তারা।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামের এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে সেখান থেকে বের হন।

এর পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ারুল আজীম। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন।

Header Ad

বৃষ্টির ময়লা পানি কাপড়ে লাগলে নামাজ পড়া যাবে?

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যাপসা গরম আর তাপপ্রবাহের সময় একটু বৃষ্টির জন্য মোটামুটি সবাই চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকে। তবে নগর জীবনে বৃষ্টি পরবর্তী পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর হয় না। কাদা, জমে থাকা পানি স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটায়। কোথাও শান্তিতে হাঁটার উপায় থাকে না। চলাফেরা করতে গিয়ে বৃষ্টির জমে থাকা ময়লা পানি জামা-কাপড়ে লেগে যায়।

নোংরা পানিতে অপবিত্র হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। তাই কাপড়ে বৃষ্টির পর জমে থাকা পানি লাগলে যে-কারো মনেই কাপড়ের পবিত্রতা-অপবিত্রতা নিয়ে সন্দেহ জাগে। এমন কাপড়ে নামাজ হবে কি না—এমন সন্দেহও থেকে যায়।

এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো-

বৃষ্টির কারণে রাস্তায় জমে থাকা পানি নাপাক বা অপবিত্র বলে গণ্য হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই পানিতে স্পষ্ট কোনো অপবিত্র বস্তু দেখা যাবে। স্পষ্ট কোনো অপবিত্র বস্তু দেখা গেলে সেই পানি অপবিত্র বলে গণ্য হবে। এবং তা কারো কাপড়ে লাগলে তা নাপাক হবে।

আর বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে অপবিত্র কিছু দেখা না গেল তা কাপড়ে লাগলে ওই কাপড় নাপাক হবে না। বরং তা পবিত্র বলেই ধর্তব্য হবে। এই কাপড়ে নামাজ হবে। তবে এই কাপড় পরিবর্তন করে নামাজ পড়ার মতো সুবিধা থাকলে তা পরিবর্তন করে নেওয়াই উত্তম।

তবে বৃষ্টির সময় কোথাও পানি জমে যাওয়ার পর যদি সেখানে নাপাক দেখা যায় বা নাপাক ড্রেনের পাশে রাস্তা হয়, আর সেই নাপাক রাস্তায়ও চলে আসে, তাহলে এমন রাস্তায় পতিত পানির ছিটা নাপাক। তাই গায়ে বা কাপড়ে সেই পানি লাগলে ধুয়ে নিতে হবে।

যদি কোনো ব্যক্তিকে প্রতিদিনই ড্রেনের পানি অতিক্রম করতে হয় এবং এ থেকে বেঁচে থাকাও কষ্টকর। তাহলে ওই পানির ছিটা লাগলে (যদি ময়লা দেখা না যায়) মাজুর হিসেবে মাফ পাবার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু নাপাকি দেখা গেলে তা দূর করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।

বৃষ্টির পর রাস্তা কাদা হয়ে যায়, রাস্তার ওই কাদা নাপাক নয়। বিশেষত কাদায় নাপাকি দেখা না গেলে তা পবিত্র। সুতরাং তা কাপড়ে লাগলে কাপড় অপবিত্র হবে না। তাই এ অবস্থায় নামাজ পড়লে তা সহিহ হবে। তবে ধোয়ার সুযোগ থাকলে এমন ময়লা কাপড়ে নামাজ না পড়াই ভালো।

(আলমাবসুত, সারাখসি: ১/২১১; কিতাবুল আছল: ১/৫২; আততাজনিস ওয়াল মাজিদ: ১/১৫৯; আলমুলতাকাত ফিল ফতোয়া, পৃ-২০; রদ্দুল মুহতার: ১/৩২৪, ১/৫৩১; হালবাতুল মুজাল্লি: ১/৫১৩)

বৃষ্টি আল্লাহ তায়ালার রহমত নিয়ে আসে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আল্লাহ আকাশ হতে বারি বর্ষণ দ্বারা মৃতপ্রায় ধরিত্রীকে পুনর্জীবিত করেন; তাতে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তার ঘটান; এতে ও বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং আকাশ পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৬৪)।

আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘আর তিনি আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন, তা দ্বারা তোমাদের জীবিকাস্বরূপ ফলমূল উৎপাদন করেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ২২)।

কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের পর সেই ভিডিও দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় ফরহাদ উজ্জামান নামে এক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এরই মধ্যে আপত্তিকর ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।

রোববার (৩০ জুন) সকালের দিকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আদালতে পাঠানো হয়। এরআগে,ভুক্তভোগীর মায়ের দায়ের করা মামলায় শনিবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর বাজারের নিজস্ব চেম্বার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।

গ্রেপ্তার ডা: ফরহাদ উজ্জান (৩৭) শ্রীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের ছেলে। তিনি একজন ফিজিওথেরাপিদ চিকিৎসক। তার বাবা একজন আইনজীবী।

ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর (১৪) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা-মা শ্রীপুরে ভাড়ায় থেকে মা মানুষের বাড়িতে কাজ করে এবং বাবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

ভুক্তভোগী কিশোরী মা বলেন,' আনুমানিক দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর সে আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে তাদের বাসার কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন আমি বেতন ঠিক করে মেয়েকে তাঁর বাড়িতে কাজ করতে পাঠাই। এর কিছুদিন যাওয়ার পর অভিযুক্ত সুকৌশলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তার বাসায় ও চেম্বারে নিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে আমি ও আমার স্বামী গিয়ে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরপরই আমার মোবাইল নম্বরে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মেয়েকে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর একদিন পর আজ সকালে আমার এক আত্মীয় ফোন করে জানায় মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর আমি থানায় এসে পুলিশকে লিখিত আকারে জানালে পুলিশকে জানাই।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান গণমাধ্যমকে বলেন,' ভুক্তভোগীর মায়ের লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলায় ফরহাদ উজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। '

এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য শাবিপ্রবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। ছবি: সংগৃহীত

সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি ও স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষকরা।

রবিবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে সব শিক্ষকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীরের নেতৃত্ব বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোন ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তাই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাব। এদিন থেকে সব বিভাগের ক্লাস,পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। দাবি আদায় হলে আমরা ক্লাস, পরীক্ষায় ফিরব।

সর্বশেষ সংবাদ

বৃষ্টির ময়লা পানি কাপড়ে লাগলে নামাজ পড়া যাবে?
কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক গ্রেপ্তার
এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য শাবিপ্রবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বাড়ছে তিস্তার পানি, খোলা হলো জলকপাট
সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস
আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪১ লাখ : আইনমন্ত্রী
কাল থেকে ঢাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
মোবাইল নম্বর ভাইরাল, উড়ো ফোনে অতিষ্ঠ শ্রীলেখা
ইসলামি ধারার ৬ ব্যাংকের অবস্থা এখন আরও খারাপ: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন
১০৯ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
এইচএসসি পরীক্ষার দিনে বৃষ্টি হলে সময় বাড়ানোর নির্দেশ
ইসরায়েলকে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিল সৌদি আরব
জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস আজ
আঙুলের নখ বলে দেবে আপনার চরিত্রের গোপন দিক
পরীক্ষায় বসেছে উচ্চমাধ্যমিকের ১৪ লাখ শিক্ষার্থী
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
মার্টিনেজের জোড়া গোলে পেরুকে উড়িয়ে দিল আর্জেনটিনা
রাজধানীতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার নববধূ
কোহলির পর টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানালেন রোহিতও