বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এসএসসির ফল প্রকাশের পর সারাদেশে ৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ছবি: সংগৃহীত

প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। গতকাল রোববার (১২ মে) ফল প্রকাশের পর সারাদেশে ৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। নোয়াখালী, নীলফামারি, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মাগুরা জেলায় এসব ঘটনা ঘটেছে। একই ঘটনায় আরও ৩ শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে বিস্তারিত:

নোয়াখালী: জেলার সদর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১২ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সল্যা ঘটাইয়া গ্রামের কালিতারা বাজার-সংলগ্ন আলী আজম বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। একই দিন রাতে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহত তানজিনা আক্তার ঝুমি (১৬) নোয়াখালী পৌরসভার সল্যা ঘটাইয়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের মেয়ে। তিনি স্থানীয় কালিতারা মুসলিম গার্লস একাডেমি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফখরুদ্দিন মাহমুদ বলেন, রোববার বেলা ১১টার দিকে তানজিনার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। তানজিনা গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় দুপুর সোয়া ১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বসত ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই সময় তার মা রান্না ঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পরে তিনি ঘরে এসে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।

নীলফামারী: জেলার সৈয়দপুরে রাফসান জানি এমিল (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে উপজেলার বাঙালিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাফসান একই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।

পুলিশ ও পরিবার জানায়, এ বছর স্থানীয় লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় রাফসাস। পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার আশা করেছিল সে। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট আসায় কান্নাকাটি করতে থাকে। একপর্যায়ে সে ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।

ঠাকুরগাঁও: জেলার হরিপুরে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় মিতু (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১২ মে) দুপুরে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি উপজেলার কামারপুকুর গ্রামের মুসা আলীর মেয়ে ও কামারপুকুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

মিতুর পিতা মুসা জানান, ৩ ছেলে মেয়ে মধ্যে মিতু তাদের দ্বিতীয় সন্তান। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সে আত্মহত্যা করে।

ঝিনাইদহ: জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার সাবেক বিন্নী গ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় নুপুর আকতার (১৬) নামের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ওই গ্রামের আসাদুল ইসলামের মেয়ে। এবার উপজেলার দুর্লভপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।

পরিবারের সদস্যদের বরাতে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, রোববার ফল প্রকাশের পর ফেল করার খবর পেয়ে নুপুর মনমরা হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের অগোচরে ঘরে ঢুকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।

ময়মনসিংহ: জেলার ধোবাউড়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে শোহেদা আক্তার (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তার সহপাঠী ও পরিবারের স্বজনদের মধ্যে আহাজারি সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে উপজেলার পুরাকান্দলিয়া ইউনিয়নের বতিহালা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ধোবাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল মিয়া বলেন, ‘রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষার্থী শোহেদা আক্তার জানতে পারেন তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। ফলাফল মেনে নিতে না পারায় তিনি নিজ ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। এর আগে তিনি গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিলেন। পুনরায় পরীক্ষা দিয়েও অকৃতকার্য হন।

গোপালগঞ্জ: এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করায় প্রিন্স হাসান মাহাতী নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১২ মে) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের মোহাম্মদ পাড়ায় বোনের বৈশাখী বেগমের ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

প্রিন্স সদর উপজেলার মেরী গোপিনাথপুর গ্রামের শরীফ মহসিন আলী বেল্টুর ছেলে। তিনি এ বছর মেরী গোপিনাথপুর খন্দকার শামসুদ্দিন স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই বিপ্লব কুমার দাস বলেন, প্রিন্স হাসান মাহাতী এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গোপালগঞ্জ শহরের মোহাম্মাদ পাড়ায় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। তিনি গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনের কষ্টে সকলের অগোচরে বোনের ভাড়া বাসার ৫ম তলার একটি কক্ষে দরজা জানালা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

হবিগঞ্জ: জেলায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় এক কিশোরী বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন। একই কারণে পৃথক ঘটনায় বিষ পান করে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও দুই কিশোর।

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক বিভারবী দাস জানান, রোববার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর বিষ পান করার ঘটনায় তিন কিশোর-কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।

এর মধ্যে মাইশা আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আর অপর দুই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মাইশা আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার আদমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার মেয়ে। স্থানীয় দেওয়ান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী দুই বিষয়ে ফেল করেছেন বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক কিশোর শুভ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে একটি বিষয়ে ফেল করেছেন।

অপরদিকে, বাহুবল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কিশোর মেহেদী হাসান স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে একটি বিষয়ে ফেল করায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান, বিষ পান করে হাসপাতালে এক কিশোরীর মৃত্যু হওয়ার কথা জেনেছি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

মাগুরা: এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় কথা সাহা (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী চতুর্থতলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে মাগুরা জেলা শহরে রিমপি সাহা নামে এক আত্মীয়ের বাসায় বসবাসরত চতুর্থতলার ছাদ থেকে সে লাফিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে, পরে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেল চারটার দিকে সে মারা যায়।

কথা সাহা মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুর গ্রামের রাজেশ সাহার মেয়ে। সে মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছিল। রোববার প্রকাশিত ফলাফলে জানা যায় সে অংক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে।

Header Ad

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আখন্দ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভা‌বিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দ।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আখন্দকে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১-এর ধারা ১০ (১) অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে তার যোগদানের তারিখ থেকে নিয়োগ প্রদান করা হলো। ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ হ‌বে ৪ বছর।

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ ও আহতরা এক লাখ টাকা করে পাবেন

ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রত্যেক পরিবার প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা দেওয়া হবে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আহতদের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শহীদদের পরিবারের জন্য চেক হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সমাজের সব স্তরের মানুষ, বাংলাদেশি প্রবাসী, সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ফাউন্ডেশনে অনুদান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবারের সভায় কমিটি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের জন্য একটি অফিস স্পেস এবং এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সমস্ত ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস এবং অন্যান্য নথি এবং স্মারক সংরক্ষণ করা হবে এর মাধ্যমে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে বলেন, সামান্য পরিমাণ অর্থের অনুদানের দলিল করতে হবে এবং দাতাদের তালিকাও সংরক্ষণ করতে হবে। সম্ভব হলে তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটিকে সফল করতে আমাদের অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, আহতদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে। সরকারের চিকিৎসার খরচ ছাড়াও ফাউন্ডেশন আহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমদ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরকারের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে প্রাণ হারানো মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় এ ফাউন্ডেশন। এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠন করা হয় সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ। ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ করা হয় কাজী ওয়াকার আহমেদকে। কার্যনির্বাহী পরিষদে উপদেষ্টাদের মধ্যে আরও আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যোগ হবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

বক্তব্য রাখছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সারজিস বলেন, কোটা আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বক্তব্যকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্ৰেপ্তার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তাই ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টায় শরীয়তপুর পৌঁছান সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। দুপুর ১২টায় ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।

সর্বশেষ সংবাদ

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আখন্দ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ৫ ও আহতরা এক লাখ টাকা করে পাবেন
শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস
নওগাঁর নিতপুর সীমান্ত থেকে ২ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
আবারও মিয়ানমার সীমান্তে গুলি, টেকনাফে আতঙ্ক
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
জিডির বাধ্যবাধকতা থাকছে না হারানো এনআইডি তুলতে
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৬৫ জন
দিনব্যাপী মেরামত শেষে প্রস্তুত মেট্রোরেলের মতিঝিল রুট
সকালে উঠে সামনে নয়, পিছন দিকে হাঁটুন! উপকার জানলে অবাক হবেন
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ
মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫, অবসরে ৬৫ নির্ধারণের প্রস্তাব
শেখ হাসিনাসহ সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
বিটিভির খবর বেসরকারি টিভিগুলোকে প্রচার করতে হবে না: তথ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে সম্মান দেখিয়ে গম্ভীর বললেন ‘আমরা কাউকে ভয় পাই না’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় অনুমোদন পেল ৪ প্রকল্প
রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক