ঈদে দেরিতে বাড়ি যাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমানে গৃহবধূর আত্মহত্যা
ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।
শেরপুরের নকলায় ঈদে গ্রামের বাড়িতে যেতে দেরি হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
উপজেলার জালালপুর এলাকায় বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর নাম তারজিনা আক্তার স্মৃতি, এবং ওই দম্পতির এক ছেলেসন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় স্মৃতির স্বামী তানজিল আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ। তানজিলের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার গুনেরগাথী এলাকায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নকলা থানা পুলিশ জানায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সাহেদানগড়া এলাকার স্মৃতির বিয়ে হয় একই উপজেলার গুনেরগাথী গ্রামের তানজিল আহমেদের সঙ্গে। দেড় বছর আগে পুত্রসন্তান জন্ম দেন স্মৃতি।
প্রায় দুই বছর আগে স্থানীয় বাজারে ওয়ালটনের সেলস অফিসার হিসেবে চাকরি শুরু করেন তানজিন। চাকরির সুবাদে মাস চারেক আগে তিনি শেরপুরের নকলায় বদলি হয়ে আসেন। তার পর থেকে তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে নকলা পৌরসভাধীন জালালপুর এলাকায় সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাবুলের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ আরও জানায়, ঈদের ছুটিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল এ দম্পতির। বাড়ি যাওয়ার জন্য সন্তানকে নিয়ে তৈরি হয়ে থাকেন স্মৃতি, কিন্তু তানজিলের অফিস থেকে ছুটি পেতে রাত আটটা বেজে যায়। পরে বাসায় গিয়ে তানজিল স্ত্রীকে বলেন, ‘ছোট ছেলেকে নিয়ে এত রাতে যাওয়া ঠিক হবে না। রাস্তায় গাড়ির প্রচুর জ্যাম, আমরা সকালে যাব।’
এই কথা বলায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। এরপর একসময় ঘুমিয়ে পড়েন তারা। পরবর্তী সময়ে সেহরি খাওয়ার জন্য তানজিল ভোরে জেগে দেখেন, তার স্ত্রী পাশে নেই। পরে বারান্দায় গিয়ে দেখেন, স্মৃতি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক গৃহবধূকে মৃত বলে জানান।
নকলা থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা গৃহবধূর স্বামী তানজিলকে আটক করেছি। মরদেহ থানা হেফাজতে রয়েছে।
‘দুই পক্ষের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’