বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টা, আহত ৫

ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ২০-২৫ সদস্যের অস্ত্রধারী একটি ডাকাত দল। এই হামলায় আহত হয়েছেন দুই আনসার সদস্যসহ ৫ নিরাপত্তাকর্মী।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের গেটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহত নিরাপত্তাকর্মী। ছবি-সংগৃহীত

তিনি বলেন, রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিলে অস্ত্রধারীরা গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর হামলা করে। নিরাপত্তাকর্মীদের ডাক চিৎকারে আনসার সদস্যরা ছুটে গেলে, ডাকাতরা আনসার সদস্যদের ওপরও হামলা করে। তাদের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৩ জনকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

রামপাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস বলেন, অস্ত্রধারীদের হামলায় ৫ জন আহতের খবর পেয়েছি। পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত ও আটকে অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অথবা স্থানীয় সরকার যেকোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে আবারও নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও সরকারের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার বলেও জানানো হয়েছে প্রস্তাবনায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা:

(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।
(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা ।

(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুন:নির্বাচন করা।

(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটের’ বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুন:নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:

(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিওর ধারা বাতিল করা।

(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) শাস্তি প্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশান্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে।)

(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।

(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।

(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।

(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না ।

(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।

মনোনয়নপত্র:

(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা।

(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।

(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।

(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

২.৩ হলফনামা:

(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।

(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।

নির্বাচনী ব্যয়:

(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।

(খ) সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।

(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।

(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।

২.৬ নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা:

(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি'কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে’ ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।’

(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।

(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।

(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।

(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনি মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনি বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।

Header Ad
Header Ad

র‌্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত ১৬ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) আবাসিক হল থেকে র‍্যাগিংয়ের দায়ে আজীবন বহিষ্কৃত ১৬ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁরা সবাই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ এবং ২৩৪তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শাস্তি প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. পাবন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমেদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামিম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরিফুল ইসলাম, অনিক দাস, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মুজতবা আলী হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের র‍্যাগ দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে সাময়িক বহিষ্কারের পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাঁদের স্থায়ীভাবে সকল আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পরবর্তীতে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তাঁরা শাস্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “রিভিউ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট শাস্তি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। পূর্বের তদন্ত প্রতিবেদন অসঙ্গতিপূর্ণ ছিল এবং শাস্তি পক্ষপাতমূলক মনে হয়েছে। তাই পুনরায় তদন্তের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৩০

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হলেও ইসরায়েলি হামলা থেমে নেই। যুদ্ধবিরতির চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার পরও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মধ্যস্থতাকারীদের বরাতে জানা গেছে, কাতারের রাজধানী দোহায় সম্পন্ন হওয়া চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সব শর্তই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে সহায়তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর গাজায় ইসরায়েল অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালায়। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ অসংখ্য স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি, এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ।

যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইসরায়েলের এসব হামলাকে আন্তর্জাতিক মহল গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করেছে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজায় তার আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তাব
র‌্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কৃত ১৬ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৩০
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক আজ
‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির দাবিকারীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি বৈষম্যবিরোধীদের
পাঁচ মামলায় গ্রেফতার সাবেক এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী
অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান, দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীর কারাগারে
যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জামায়াত আমিরের সঙ্গে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দহগ্রাম সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল ঝুলিয়ে দিলো বিএসএফ
নিলামে উঠছে আওয়ামী লীগ আমলের ৩০ এমপির বিলাসবহুল গাড়ি
ছয় কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত: রিজওয়ানা হাসান
ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন
সংস্কারের আগে ডাকসুর নির্বাচন নয়: ঢাবি ছাত্রদল
বেনাপোলে বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হত্যার বিচার না করতে পারলে আমাদের বাঁচার অধিকার নেই: আইন উপদেষ্টা
অনশনরত এসআইদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা
ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড
বাম চোখে সমস্যা, শিশুর ডান চোখ অপারেশন করলেন চিকিৎসক
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন