বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

লিবিয়ায় বাংলাদেশী চার যুবককে অপহরণ, ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ায় মেডিকেল ভিসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে চার বাংলাদেশি যুবককে দূর্বৃত্তরা কর্তৃক অপহরণ ও নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের ভিডিও পরিবার ও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে স্বজনরা আনোয়ারা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদেরকে ঘটনা জানাতে ভিড় জমায়।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমনের কাছে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেন স্বজনরা।

অপহরণকৃত যুবকরা হলেন, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ ওয়াসিম (২২), মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৮), আব্দুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ঝিনুক (১৯), জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন (১৮)। তার সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম ১৮ লাখ টাকা নিয়ে ৪ যুবককে গত মাসের ১৯ তারিখ লিবিয়ার উদ্দ্যশ্যে পাঠান। দুবাই ও মিশর হয়ে ১৫ দিন পর তারা লিবিয়ায় পৌছায়। সেখানে তারা জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার মিজানুর রহমানের তত্বাবধানে ছিলেন। কিছুদিন পর মিজান তাদর মেডিকেল ভিসায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে মিশরের একটি দালাল চক্রের হাতে বিক্রি করে দেন। এরপর পাসপোর্ট ও ভিসা ছিনিয়ে নেন। সেখানে তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে সেই ভিডিও স্বজনদের মুঠোফোনে পাঠান এবং প্রতিজন থেকে ১০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

বোরহান উদ্দিনের বড় ভাই শাহাবুদ্দিন বলেন, প্রতিদিন তাদের নির্যাতনের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ পাঠাচ্ছে। বুধবার ৩ টার মধ্যে প্রতিজনের জন্য ১ লাখ টাকা করে পাঠাতে বলেন। বাকি টাকা কয়েক দিনের মধ্যে পাঠাতে বলেন। না হলে একজন একজন করে হত্যা করবে বলেছে। আমরা খুবই অসহায় এতো টাকা কিভাবে যোগাড় করবো!

কান্নাজড়িত কন্ঠে জাবেদুর রহিম ঝিনুকের পিতা আব্দুর রহিম বলেন, ধার দেনা ও স্বর্ণলংকার বিক্রি করে জহিরুল ইসলামকে সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়ে ছেলে লিবিয়ায় পাঠিয়েছি। কিন্তু সেখানে আমার ছেলে এতবড় বিপদের সম্মুখীন হবে তা কিছুতেই কল্পনা করি নাই। প্রতিনিয়ত আমার ছেলে সহ চারজনকে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতন করছে। আমরা তাদের উদ্ধারে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের চার যুবককে লিবিয়ায় অপহরণের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনা আমরা ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!

আহত সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টায় নগরীর হেতেম খাঁ এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার দুপুর দেড়টায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আহত সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাফট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

হামলা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাশেদ রাজন বলেন, ‌‘শহীদরা কয়েকজন মিলে মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে মেস করে থাকেন। সেখানে মঙ্গলবার রাত ১১টায় শহীদ রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় অতর্কিতে ২০ থেকে ২৫ জন দুর্বৃত্ত বাড়িতে প্রবেশ করে লোহার রোড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে।’

স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, ‘গতকাল রাতে নুরুল ইসলাম শহীদের উপর যে অতর্কিত হামলা করা হয়েছে তা প্রমাণ করে আমি আপনি এবং বিপ্লবী সবার প্রতি এই হামলা ধেয়ে আসছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টামণ্ডলী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখতে চাই যারা জুলাই অভ্যুত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের সম্মুখ সারির নেতারা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে আপনাদের চেয়ারও খুব বেশিদিন টিকে থাকবে না।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নানা প্রান্তে যারা জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছে তাদের উপর হামলা, গুপ্ত হামলা এবং নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা উপদেষ্টাদের কেন বসিয়েছিলাম? তাদের কি খালি জায়গা পূরণ করতে বসিয়েছি? যতই দিন যাচ্ছে ততই মনে হচ্ছে বিপ্লবটা চুরি হয়ে যাচ্ছে। যারা অপরাধের সাথে যুক্ত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের যদি নিরাপত্তাও না থাকে তাহলে বাংলাদেশে থেকে আমাদের কি লাভ? আমাদের নিরাপত্তার যা কিছু দরকার প্রশাসনকে সেই সব পদক্ষেপ নিতে হবে।’

Header Ad
Header Ad

জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবিঃ সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে তাদের মাঝে কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলাপ হয়েছে কি না সে বিষয়ে জানানো হয় নি।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সুইজারল্যান্ডের জুরিখের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে তিনি সেখানে পৌঁছান। সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারিক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান।

Header Ad
Header Ad

আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ

প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করার গুঞ্জন থাকলেও দলটি ফিরতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (২২ জানুয়ারি) তার নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এই কথা জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করে তিনি জানান, গণহত্যা সমর্থনকারী আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভ্রান্তিতে আছেন যে, দেশ নির্বাচনের দিকে ফিরে গেলে তারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে পারবেন। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার না করলে এবং খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নির্মূল না করা পর্যন্ত এটি সম্ভব না। পাশাপাশি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের সদস্য এবং এর সহযোগীদেরও বিচার হবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন বিদেশি কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, তারা খুব কমই সমঝোতার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন। তারাও বুঝতে পেরেছেন যে, অপরাধীরা যদি তাদের অপরাধ স্বীকার না করে, তাহলে কীভাবে সমঝোতার আহ্বান জানানো যায়? বরং তারা সংস্কার এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার বিষয়ে বেশি সমর্থন জানিয়েছেন।

বছর বছর আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং শেখ মুজিবের একদলীয় শাসনের স্মৃতি মুছে ফেলতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে বলেও স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন শফিকুল আলম।

আরও জানান, বর্তমান প্রজন্ম এবার জেগে উঠেছে এবং তারা স্বৈরশাসনের প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সজাগ রয়েছে। তাদের প্রচেষ্টা প্রতিদিন পুরোনো স্মৃতিকে সতেজ করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ