পাবনায় এক রাতে কবরস্থান থেকে ১৭টি কঙ্কাল চুরি, এলাকায় তোলপাড়
কবরস্থান থেকে ১৭টি কঙ্কাল চুরি, এলাকায় তোলপাড়। ছবি: সংগৃহীত
পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন খাশ আমিনপুর কবরস্থান থেকে ১৭টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন প্রায় কয়েক হাজার উৎসুক জনতা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সেহরির সময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পান।
জানা গেছে, গভীর রাতে মোট ৯ জন দুর্বৃত্ত এসব কঙ্কাল চুরিতে অংশ নেয়। তারা বিভিন্ন কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দলে দলে লোকজন কবরস্থানে আসতে থাকেন। উদ্বিগ্ন লোকজন তাদের স্বজনদের কবরে গিয়ে মরদেহের অবস্থা জানার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
কবরস্থানের পাশের এক বাড়ির রেখা খাতুন নামে এক গৃহবধূ বলেন, তিনি সেহরির আগে ঘুম থেকে উঠে দেখেন কবরস্থান থেকে মোট ৯ জন ব্যক্তি বেরিয়ে যাচ্ছে। তারা কালো প্যান্ট ও কালো গেঞ্জি পড়া ছিল। তাদের কাছে বড় বড় ব্যাগ ছিল। যে ব্যাগগুলো ছোট বড় করা যায়। প্রথমে ৬ জন ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে দ্রুত চলে যান। পরের ৩ জন স্থান ত্যাগ করার আগে একটি ট্রাকের হেডলাইটের আলো পড়লে তারা একটু আড়ালে দাঁড়ান। পরে তারা সবাই কাজীরহাটের দিকে দ্রুত চলে যেতে থাকেন।
তিনি আরও জানান, তিনি বিষয়টি দেখার পর বাড়ির অন্য সদস্যদের ও পাশের লোকজনকে জানান। তখন লোকজন জড়ো হয়ে কবরস্থানে গিয়ে দেখতে পান ১৫টি কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হয়েছে।
চুরি হওয়া এক লাশের স্বজন মাসুদ রানা বলেন, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। মহাসড়কের পাশে এই কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। আমাদের দাবি পুলিশ দ্রুত এই ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
আরেক স্বজন জাহিদ হাসান বলেন, এতো দিন আমরা দেখে আসছি আমাদের দেশে বেঁচে থাকা অবস্থায় মানুষের নিরাপত্তা নেই। এখন দেখছি মরে গেলে মানুষের লাশেরও নিরাপত্তা নেই।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতের কোনো এক সময় কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আজকে সকালে স্বজনরা কবরস্থানে দোয়া করতে গেলে সেখানে কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।