ছেলের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
৬ বছর বয়সী সন্তানের কানের সমস্যা। চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে মোটরসাইকেলযোগে গিয়েছিলেন শিক্ষক- শিক্ষিকা দম্পতি।
কিন্তু চিকিৎসা শেষে সন্তান আর শিক্ষক বাবা বাসায় ফিরলেও জীবিত বাসায় ফিরতে পারলেন না শিক্ষিকা মা।
গতকাল শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের কেশরহাট রায়হান কোল্ড স্টোরেজ এর সমানে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষিকা নাসরিন বেগম নিহত হন।
নিহত নাসরিন বেগম নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা।
এই বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হরিদাস পালের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতর খবরটি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। গত রাতে ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়েছিলো। কিন্তু অভিযুক্ত বাসটি আমরা এখনো সনাক্ত করতে সক্ষম হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি বাসটি সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
চন্দননগর কলেজের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মকুল বলেন, রাজশাহীতে সন্তানের চিকিৎসা শেষে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নিয়ামতপুরে যাচ্ছিলাম এ সময় নওগাঁ থেকে আসা একটি দ্রুতগামী বাস আমার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে আমার স্ত্রী সড়কে পড়ে যায়। এরপর বাসের চাকা তার মুখমণ্ডলের উপর দিয়ে চলে যায়।
এরপর ঘটনাস্থলে আমার স্ত্রী মারা যায়। আজ রবিবার (২৫ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাদ জোহর নামাজ শেষে নিজ গ্রাম চন্দননগরে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আমার ছেলে আর তার মায়ের আদর কোনদিন পাবেনা। আমি অভিযুক্ত বাসটির চালকের উপযুক্ত শাস্তি চাই।